Image description

৫ লাখ টাকা যৌতুকের দাবিতে মেয়ে সামিয়া বেগমকে হত্যা করে লাশ গুম করা হয়েছে, এমন অভিযোগে আদালতে মামলা করেন মা আসমা বেগম। কিন্তু পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) তদন্তে জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে সেই সামিয়াকে।

ঘটনার শুরু আশুগঞ্জ উপজেলার তালশহর পশ্চিম এলাকায়। সামিয়াকে চলতি বছরের জানুয়ারিতে বিয়ে দেন মো. আল-আমিন নামে এক যুবকের সঙ্গে। কিছুদিনের মধ্যেই স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে মনোমালিন্য শুরু হয়। হঠাৎ সামিয়া নিখোঁজ হয়ে গেলে মা আসমা বেগম আদালতে অভিযোগ করেন, যৌতুকের দাবিতে তার মেয়েকে হত্যা করে লাশ গুম করেছে স্বামী ও তার পরিবারের সদস্যরা।

এ অভিযোগে তিনি নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের ১১(ক)/৩০ ধারায় আশুগঞ্জ ট্রাইব্যুনাল-২-এ একটি মামলা (পিটিশন নং-৭৪/২০২৫) দায়ের করেন। মামলায় আসামি করা হয় স্বামী আল-আমিন, তার ভাই মামুনসহ আরও কয়েকজনকে।

আদালত মামলাটি তদন্তের নির্দেশ দেন পিবিআইকে। এরপর আদালতের নির্দেশে পিবিআই তদন্ত শুরুতে ঘটনাস্থল পরিদর্শনসহ বিভিন্ন তথ্য-উপাত্ত ও সাক্ষ্য সংগ্রহ করে নিশ্চিত হন সামিয়া নিখোঁজ নন, বরং তিনি স্বেচ্ছায় বাড়ি ছেড়েছেন।

এরপর পিআইবি ব্রাহ্মণবাড়িয়া এবং আশুগঞ্জ থানা পুলিশের সহায়তায় ফেনী জেলার সদর মডেল থানার একটি এলাকা থেকে সামিয়াকে জীবিত উদ্ধার করা হয়।

সামিয়াকে আদালতে উপস্থাপন করা হলে ২২ ধারা অনুযায়ী দেয়া জবানবন্দিতে তিনি জানান, ‘আমার স্বামীর সঙ্গে ঝগড়া হওয়ায় আমি কাউকে কিছু না জানিয়ে ঢাকার সাভারে খালার বাসায় চলে যাই। আমাকে কেউ অপহরণ করেনি, হত্যার চেষ্টা করেনি।’