
২০২৪ সালের গণঅভ্যুত্থানে আহত ২০ জুলাই যোদ্ধাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য থাইল্যান্ডের ব্যাংকক পাঠাচ্ছে সরকার। প্রত্যেকের জন্য প্রাথমিকভাবে ২০ লাখ করে ৪ কোটি ২০ লাখ টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। প্রত্যেক জুলাই যোদ্ধার সঙ্গে একজন স্বজনও (অ্যাটেন্ডেন্ট) ব্যাংকক যাবেন। গত ১০ জুলাই (বৃহস্পতিবার) এক সরকারি আদেশ থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
অফিস আদেশ অনুযায়ী, থাইল্যান্ডের রাজধানী ব্যাংককে ভেজথানি হাসপাতালে চিকিৎসা নেবেন আহত জুলাই যোদ্ধারা। সেখানে তাদের ৬০ দিন থাকার ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। তারা সবাই বর্তমানে জাতীয় অর্থোপেডিক হাসপাতাল ও পুনর্বাসন প্রতিষ্ঠানে (নিটোর) চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
এর আগে জুলাই যোদ্ধাদের মধ্যে বিদেশে যাদেরকে চিকিৎসার জন্য পাঠানো হয়েছিল, তাদের অভিযোগ ছিল- পর্যাপ্ত অ্যাটেন্ডেন্ট না থাকায় অনেকে ঠিকমতো চিকিৎসা পাননি বা চিকিৎসা পেতে বেগ পেতে হয়েছে। সেখানে ভাষাগত চ্যালেঞ্জও ছিল। সেজন্য এবার সবার সাথেই অ্যাটেন্ডেন্ট থাকবে। তাদের সঙ্গে বাবা-মা, স্ত্রী, ভাই কিংবা স্বজন যাবেন। যদিও তালিকায় থাকা পাঁচজনের সঙ্গে কোনও অ্যাটেন্ডেন্ট খাকছে না।
ব্যাংককে পাঠানোর জন্য নির্বাচিত জুলাই যোদ্ধাদের মধ্যে রয়েছেন, কাজী মো. জাবের হোসাইন, শাহাদাত হোসেন, ফিরোজ আহমেদ, নাদিম, শাহাদাত হোসেন খান, মো. হাসান, মো. শরীফুল ইসলাম, মো. শাহেনুর ইসলাম, তৌহিদুল ইসলাম, নাসের উদ্দিন এমিলি, মো. ইয়াসির আরাফাত, মোশাররফ হোসাইন, মো. তানভীর হোসেন, মো. আরিফুল ইসলাম, মো. জহুরুল ইসলাম, আশিক হাওলাদার, মো. সজিব হোসেন, ইয়াসিন, শামীম মিয়া ও মো. মোবারক হোসেন।
আহত জুলাই যোদ্ধা কাজী মো. জাবের হোসাইন দ্য ডেইলি ক্যাম্পাসকে বলেন, ‘আন্দোলনের সময় যাত্রাবাড়ীতে আমার শরীরে গুলি লাগে। এরপর দীর্ঘ চিকিৎসায়ও ভাঙা হাড় আর জোড়া লাগেনি। হাঁটুতেও সমস্যা রয়েছে। আশা করছি, ব্যাংককে চিকিৎসা নিয়ে স্বাভাবিক জীবনে ফিরতে পারব। তবে কবে পাঠানো হবে, সে সিদ্ধান্ত এখনও চূড়ান্ত হয়নি।’
আরেক জুলাই যোদ্ধা ইয়াসির আরাফাতের বাবা মো. আব্দুল লতিফ হোসেন দ্য ডেইলি ক্যাম্পাসকে বলেন, ‘যাত্রাবাড়ীতে আন্দোলনের সময় ছেলে আহত হয়। তার বাম হাত ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ব্যাংককে চিকিৎসা পেয়ে ছেলে সুস্থ হয়ে ফিরবে বলে আশা করছি। তার চিকিৎসায় আমাদের অনেক বেগ পেতে হয়েছে। সরকারিভাবে চিকিৎসায় সে স্বাভাবিক জীবনে ফিরুক, সে কামনা করছি। তবে কবে পাঠানো হবে, তা এখনও চূড়ান্ত হয়নি।’