
প্রকাশ্যে দিবালোকে ফিল্মি স্টাইলে বরিশালের বানারীপাড়া উপজেলার চাখার ওয়াজেদ মেমোরিয়াল বালিকা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণীর এক ছাত্রীকে (১৫) অপহরণের ঘটনায় থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে।
এ ঘটনায় অপহৃতা ওই স্কুল ছাত্রীর মা বাদী হয়ে চাখার সরকারি ফজলুল হক কলেজ শাখা ছাত্রদলের সাংগঠনিক সম্পাদক তামজিদ নুসায়ের মিরন সর্দার, সালমান খান হৃদয়সহ পাঁচজনের নামোল্লেখসহ আরো ২/৩ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করে থানায় অপহরণ মামলা দায়ের করেছেন।
ছাত্রদল নেতা মিরন সরদার উপজেলার চাখার ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মনির সরদারের ছেলে ও হৃদয় উপজেলার সলিয়াবাকপুর ইউনিয়নের মাদারকাঠী গ্রামের আব্দুস ছালামের ছেলে।
শুক্রবার (১১ জুলাই) দিবাগত রাতে মামলা দায়েরের সত্যতা স্বীকার করে বানারীপাড়া থানার ওসি মো. মোস্তফা বলেন, অপহৃতা স্কুল ছাত্রীকে উদ্ধার ও অপহরণকারীদের গ্রেপ্তারের জন্য পুলিশের অভিযান চলছে।
এজাহারে জানা গেছে, ১০ জুলাই দুপুর দুইটার দিকে উপজেলার সলিবাকপুর ইউনিয়নের শাখারিয়া গ্রামের চান্দু মোল্লার বাড়ির সামনের রাস্তা থেকে ফিল্মি স্টাইলে ওই ছাত্রীকে অভিযুক্তরা অপহরণ করে নিয়ে যায়।
অপহৃতা স্কুল ছাত্রীর মা সাথী আক্তার অভিযোগ করে বলেন, তার মেয়ে চাখার ওয়াজেদ মেমোরিয়াল বালিকা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণীর ছাত্রী। দীর্ঘদিন থেকে স্কুলে যাওয়া-আসার পথে বখাটে সালমান খান হৃদয় তার মেয়েকে প্রেমের প্রস্তাব দেওয়াসহ নানাভাবে যৌন হয়রানি করে আসছিলো।
এ কারণে তিনি বিগত সাত মাস পূর্বে হৃদয়ের বিরুদ্ধে বরিশাল আদালতে যৌণ হয়রানির অভিযোগে মামলা দায়ের করেন। পরে আদালতে উপস্থিত হয়ে হৃদয় আর কখনো ওই ছাত্রীকে হয়রানি করবেনা মর্মে মুচলেকা দিয়ে রক্ষা পায়।
তিনি আরও বলেন, আদালত থেকে মুচলেকা দিয়ে আসার পর হৃদয় ক্ষিপ্ত হয়ে তার মেয়েকে পুনরায় যৌন হয়রানি করে আসছিলো। এসময় ওই ছাত্রীর নানা জাহাঙ্গীর মিয়া বখাটে হৃদয়ের পরিবারের কাছে বিচার দিতে গেলে উল্টো হৃদয় ও তার বাবা আব্দুস ছালাম মারধর করে তার (জাহাঙ্গীর) ওপর হামলা চালিয়ে রক্তাক্ত জখম করে।
ঘটনার দিন ১০ জুলাই দুপুর দুইটার দিকে ওই ছাত্রী স্কুলের মুল্যায়ন পরীক্ষা শেষে নিকট আত্মীয় কাওসারের মোটরসাইকেলযোগে বাড়ি ফিরছিলেন। পথিমধ্যে সলিয়াবাকপুর ইউনিয়নের শাখারিয়া গ্রামের চান্দু মোল্লার বাড়ির সামনের রাস্তায় পৌঁছলে হৃদয় ও তার বন্ধু চাখার সরকারি ফজলুল কলেজ ছাত্রদলের সাংগঠনিক সম্পাদক তামজিদ নুসায়ের মিরন সরদার, শাওন, ফাহিম সিকদার, ইমন সিকদারসহ ৫/৭ জনের একটি দল মোটরসাইকেলের গতিরোধ করে।
তিনি আরও বলেন, আদালত থেকে মুচলেকা দিয়ে আসার পর হৃদয় ক্ষিপ্ত হয়ে তার মেয়েকে পুনরায় যৌন হয়রানি করে আসছিলো। এসময় ওই ছাত্রীর নানা জাহাঙ্গীর মিয়া বখাটে হৃদয়ের পরিবারের কাছে বিচার দিতে গেলে উল্টো হৃদয় ও তার বাবা আব্দুস ছালাম মারধর করে তার (জাহাঙ্গীর) ওপর হামলা চালিয়ে রক্তাক্ত জখম করে।
ঘটনার দিন ১০ জুলাই দুপুর দুইটার দিকে ওই ছাত্রী স্কুলের মুল্যায়ন পরীক্ষা শেষে নিকট আত্মীয় কাওসারের মোটরসাইকেলযোগে বাড়ি ফিরছিলেন। পথিমধ্যে সলিয়াবাকপুর ইউনিয়নের শাখারিয়া গ্রামের চান্দু মোল্লার বাড়ির সামনের রাস্তায় পৌঁছলে হৃদয় ও তার বন্ধু চাখার সরকারি ফজলুল কলেজ ছাত্রদলের সাংগঠনিক সম্পাদক তামজিদ নুসায়ের মিরন সরদার, শাওন, ফাহিম সিকদার, ইমন সিকদারসহ ৫/৭ জনের একটি দল মোটরসাইকেলের গতিরোধ করে।
তারা টেনে-হিচড়ে ওই ছাত্রীকে ফিল্মি স্টাইলে তাদের সাথে থাকা সিএনজিতে উঠিয়ে অপহরণ করে নিয়ে যায়। এ সময় বাঁধা প্রধান করায় কাওসারকে মারধর করে তার মোটরসাইকেলের চাবি ছিনিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়।
খবর পেয়ে ওই ছাত্রীর ফুফা মোস্তফা মোল্লা ও ফুফু রুনু বেগম ঘটনাস্থলের অদূরে রাস্তায় বাঁধা প্রদান করলে বখাটেরা তাদেরকেও মারধর করে ওই ছাত্রীকে নিয়ে যায়।
অভিযোগের বিষয়ে চাখার সরকারি ফজলুল হক কলেজ শাখা ছাত্রদলের সাংগঠনিক সম্পাদক তামজিদ নুসায়ের মিরন ও সালমান খান হৃদয়ের ব্যবহৃত মোবাইল ফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করা হলেও তা বন্ধ থাকায় কোন বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
তবে অপহরনের অভিযোগ অস্বীকার করে সালমান খান হৃদয়ের বাবা আব্দুস ছালাম স্থানীয় সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, যতদূর জেনেছি প্রেমের সম্পর্কে তার ছেলের সাথে ওই স্কুল ছাত্রী অজানার উদ্দেশ্যে পাড়ি জমিয়েছে।