
দুই মাসেরও কম সময়ের মধ্যে এসএসসি ও সমমান পরীক্ষার ফল প্রকাশের প্রস্তুতি প্রায় শেষের দিকে। তবে এবারের ফল ঘোষণা হবে সম্পূর্ণ নীরব পদ্ধতিতে, কোনো রকম আয়োজন বা আলাপ-আলোচনা ছাড়াই জানিয়েছেন শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ড. সি আর আবরার। বুধবার (৯ জুলাই) শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে এসএসসি ও সমমানের ফলাফল নিয়ে এক আলোচনা সভায় তিনি এমন সিদ্ধান্ত জানিয়েছেন।
শিক্ষা উপদেষ্টা বলেন, বাহুল্য এড়িয়ে, গতি ও নির্ভুলতা বজায় রেখে ফল প্রকাশ হচ্ছে। ফল প্রকাশে অহেতুক জাঁকজমক নয়, গুরুত্ব পাচ্ছে স্বচ্ছতা। ৯টি সাধারণ শিক্ষা বোর্ড, কারিগরি শিক্ষা বোর্ড এবং মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ড এবার ফলাফল নিজেদের ব্যবস্থাপনায় নির্ধারিত সময়েই প্রকাশ করবে। ফল হস্তান্তরের জন্য কোনো আলাদা অনুষ্ঠান বা মন্ত্রী পর্যায়ের উপস্থিতি থাকছে না।
এর আগে, গত ১০ এপ্রিল ৯টি সাধারণ শিক্ষাবোর্ড, কারিগরি শিক্ষা বোর্ড ও মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ডের অধীনে এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষা শুরু হয়। গত ১৩ মে পরীক্ষা শেষ হয়েছিল। ১৯ লাখের বেশি শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেছে।
প্রসঙ্গত, ৫ আগস্টে সরকার পতনের পূর্ববর্তী সময়ে এসএসসি ও সমমানের ফলাফল প্রকাশে থাকতো বিভিন্ন ধরনের আনুষ্ঠানিকতা। প্রথমে ফলাফলের সারসংক্ষেপ শেখ হাসিনার কাছে তুলে দিতেন শিক্ষামন্ত্রী। পরবর্তীতে অনলাইনে ও এসএমএসে মাধ্যমে ফল পাওয়া যেত।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, ৫ আগস্টে সরকার পতনের পূর্ববর্তী সময়ে এসএসসি ও সমমানের ফলাফল প্রকাশে থাকতো বিভিন্ন ধরনের আনুষ্ঠানিকতা। প্রথমে ফলাফলের সারসংক্ষেপ শেখ হাসিনার কাছে তুলে দিতেন শিক্ষামন্ত্রী। পরবর্তীতে অনলাইনে ও এসএমএসে মাধ্যমে ফল পাওয়া যেত।
সেসময় ফল প্রকাশ হতো ঘটা করে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে, যেখানে শিক্ষামন্ত্রী ছাড়াও উপস্থিত থাকতেন মন্ত্রিপরিষদের অন্য সদস্যরা। ফলাফল ঘোষণা হতো প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে তুলে দেওয়ার পর। এমনকি শিক্ষার্থীদের জন্য ভিডিও বার্তাও প্রকাশ করা হতো। ফলে পুরো প্রক্রিয়াটিই ছিল এক ধরনের রাজনৈতিক প্রচার পর্বের মতো এমনটাই দাবি নেটিজেনদের।
এদিকে ইউনূস সরকারের নীরব, জাঁকজমকহীন ফল প্রকাশ উদ্যোগের প্রশংসা করেছেন অভিভাবক ও শিক্ষার্থীরা। একজন লিখেছেন, ‘ফল প্রকাশে অহেতুক লোক দেখানো আয়োজনের কোনো প্রয়োজন নেই। ইউনূস সরকারের এই পদক্ষেপ প্রমাণ করে, এখন শিক্ষার গুণগত মান এবং কার্যকারিতা নিয়ে ভাবা হচ্ছে। কে কার হাতে ফল তুলে দিলো, সেটা মুখ্য নয়।
আরেকজন লিখেছেন, ফল প্রকাশে এত ঢাকঢোল পিটানোর মানে নেই। দ্রুত, নির্ভুলভাবে ফল প্রকাশ হচ্ছে এটাই বেশি দরকার ছিল। সরকারের এই বাস্তবমুখী সিদ্ধান্ত প্রশংসনীয়। এ সময় শেখ হাসিনা আমলে ফল প্রকাশের সংবাদ সম্মেলন লাইভ অনুষ্ঠান দেখতেই লম্বা সময় চলে যেত বলে অভিযোগ এ শিক্ষার্থীর।