Image description

শিক্ষা উপদেষ্টা অধ্যাপক চৌধুরী রফিকুল আবরার বলেছেন, আমাদের অবশ্যই রাজনৈতিক বিশ্বাস থাকবে, রাজনৈতিক দলের সমর্থন থাকবে। কিন্তু রাজনৈতিক দলের নেতিবাচক প্রভাবগুলো আমরা আমাদের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ওপর ফেলতে পারি না। আমাদের মাথায় রাখতে হবে এখানে আমরা মেধার বিকাশ ঘটাতে এসেছি। তাই রাজনৈতিক দলের নেতিবাচক প্রভাব যেন বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবেশকে বিনষ্ট করতে না পারে সেদিকে শিক্ষকদের খেয়াল রাখতে হবে।

রোববার (৬ জুলাই) বেলা ১১ টায় রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের  প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।

শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে শিক্ষা উপদেষ্টা বলেন, 'অবশ্যই তোমরা বিশাল কিছু অর্জন করেছ। কিন্তু তোমাদের সঙ্গে সাধারণ জনগণ শ্রমজীবী মানুষ তারাও এই অর্জনে ভূমিকা রেখেছে। তাদের সমর্থন ছাড়া তোমরা এটা করতে পারতে না। তোমাদের এই সংগ্রামে বিভিন্ন সমাজের বিভিন্ন গোষ্ঠী এগিয়ে এসেছিল। শিক্ষকের মর্যাদা ক্ষুণ্ণ হয় এমন কোন কাজ  করা যাবে না। তোমাদের হতাশা থাকতে পারে, কিছু দাবি দাওয়া থাকতে পারে কিন্তু তার জন্য জনদুর্ভোগকারী কোনো কাজ তোমরা করবে না।

আলোচনায় সভার প্রধান আলোচক বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক এ কে এম আজহারুল ইসলাম বলেন, ছাত্র ও শিক্ষক হিসেবে জীবনে ৬২ বছর আমার রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে কেটেছে। এই বিশ্ববিদ্যালয়ে আমার অসংখ্য স্মৃতি রয়েছে। ১৯৫৩ সালের এইদিনে যে সম্ভাবনা তৈরি হয়েছিল আজকের দিন হলো সেই সম্ভাবনার মহীরূপ। যেসব কারণে এই বিশ্ববিদ্যালয় সৃষ্টি হয়েছিল সে বিষয়ে জানবো এবং সেই জ্ঞানকে আমরা ছড়িয়ে দেব।

বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক সালেহ হাসান নকীবের সভাপতিত্বে সভায় আরও বক্তব্য দেন- উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক মাঈন উদ্দীন খান, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক মতিয়ার রহমান প্রমুখ।

এ সময় ৭২তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর স্মারকপত্রের মোড়ক উন্মোচন করা হয়।

এর আগে সকাল ১০টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসন ভবনের সামনে জাতীয় সঙ্গীত পরিবেশন, বেলুন ও পায়রা উড়ানো, র‍্যালির মাধ্যমে প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর উদ্বোধন করা হয়। এছাড়াও বিকাল ৪টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের স্টেডিয়ামে প্রীতি ফুটবল ম্যাচ এবং রশি টানাটানি খেলার মধ্যে দিয়ে প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর আনুষ্ঠানিকতা শেষ হয়।