
১২ দেশের শুল্ক সংক্রান্ত চিঠিতে সই করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। এতে বলা আছে যুক্তরাষ্ট্রে রপ্তানি করা পণ্যের ওপর তারা কি হারে শুল্কের মুখোমুখি হবে। এই চিঠিগুলো সোমবার (৭ জুলাই) ওইসব দেশের কাছে পাঠানো হবে।
এয়ার ফোর্স ওয়ান বিমানে নিউ জার্সির পথে যাওয়ার সময় সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন ট্রাম্প। এ সময় তিনি চিঠিগুলোতে যেসব দেশের কথা উল্লেখ আছে, তাদের নাম প্রকাশ করতে রাজি হননি। তাছাড়া বাংলাদেশ এই তালিকায় রয়েছে কি না তাও জানা জায়নি বা প্রকাশ করা হয়নি।
গত এপ্রিল মাসে ট্রাম্প সর্বনিম্ন ১০ শতাংশ শুল্ক ও সর্বোচ্চ ৫০ শতাংশ পর্যন্ত বাড়তি শুল্কের ঘোষণা দেন বিভিন্ন দেশের ওপর। যদিও ওই বাড়তি শুল্ক ৯০ দিনের জন্য স্থগিত রাখা হয়েছিল, যাতে আলোচনার মাধ্যমে সমাধান পাওয়া যায়। এই সময়সীমা ৯ জুলাই শেষ হচ্ছে।
ট্রাম্প বলেন, ‘আমি কিছু চিঠিতে সই করেছি, এগুলো সোমবার পাঠানো হবে, সম্ভবত ১২টি। ভিন্ন ভিন্ন দেশের জন্য ভিন্ন ভিন্ন হারে শুল্ক নির্ধারিত হয়েছে।’
ট্রাম্প শুরুতে বলেছিলেন, তিনি বিভিন্ন দেশের সঙ্গে আলাদাভাবে শুল্ক সংক্রান্ত আলোচনা চালাবেন। তবে জাপান ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের মতো প্রধান বাণিজ্য অংশীদারদের সঙ্গে বারবার ব্যর্থতার মুখে পড়ার পর তিনি সেই প্রক্রিয়া থেকে সরে এসেছেন।
ট্রাম্প আরও বলেন, চিঠি পাঠানো অনেক সহজ, এটা অনেক বেশি কার্যকর।
প্রশাসনের এই কৌশল পরিবর্তনের পেছনে রয়েছে দ্রুত সময়ের মধ্যে সম্পূর্ণ বাণিজ্য চুক্তি করা কঠিন হওয়া। সাধারণত এ ধরনের চুক্তি সম্পন্ন করতে বছরের পর বছর লেগে যায়।
এখন পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্র দুটি দেশের সঙ্গে চুক্তি সম্পন্ন করেছে। যুক্তরাজ্যের ১০ শতাংশ শুল্ক রাখা হয়েছে এবং কিছু খাতে বিশেষ ছাড় দেওয়া হয়েছে যেমন গাড়ি ও বিমান যন্ত্রাংশ।
তাছাড়া ভিয়েতনামের সঙ্গে শুল্ক কমিয়ে ২০ শতাংশে আনা হয়েছে, যেখানে আগে ৪৬ শতাংশের হুমকি ছিল। চুক্তির অধীনে যুক্তরাষ্ট্রের অনেক পণ্য শুল্কমুক্ত প্রবেশাধিকার পাবে ভিয়েতনামে।
অন্যদিকে ভারতের সঙ্গে প্রত্যাশিত চুক্তি হয়নি এবং ইইউ’র কূটনীতিকরা জানিয়েছেন, তারা যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি করতে পারেননি এবং বর্তমান অবস্থা বজায় রাখার চেষ্টা করছেন, যাতে শুল্ক বৃদ্ধির ঝুঁকি এড়ানো যায়।