Image description
 

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) শাখা ছাত্রদলের সহ-মানবাধিকার সম্পাদক মোজাম্মেল হোসেন অন্তুকে স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করেছে জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় সংসদ। বহিষ্কৃত নেতা শরীফ উদ্দিন সরকারের পক্ষে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে অবস্থান নেওয়ায় এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে সংগঠনটির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।

 

 

 

শুক্রবার রাতে ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় দপ্তর সম্পাদক মো. জাহাঙ্গীর আলম স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সাংগঠনিক শৃঙ্খলাভঙ্গের সুনির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে মোজাম্মেল হোসেন অন্তুকে প্রাথমিক সদস্যপদসহ সকল সাংগঠনিক পদ থেকে স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করা হয়েছে। ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় সভাপতি রাকিবুল ইসলাম রাকিব ও সাধারণ সম্পাদক নাছির উদ্দীন নাছির এ সিদ্ধান্ত অনুমোদন করেন।

 

এর আগে ইসলামী ছাত্রশিবিরের একটি সংগীত ভিডিওতে মডেলিং করার অভিযোগে ঢাবি ছাত্রদলের ধর্মবিষয়ক সম্পাদক শরীফ উদ্দিন সরকারকে সংগঠন থেকে বহিষ্কার করা হয়। বিতর্কিত সেই ভিডিওটি ৭ বছর আগের হলেও সম্প্রতি তা সামনে এলে ছাত্রদলের অভ্যন্তরে ব্যাপক আলোচনা ও সমালোচনা তৈরি হয়।

 

বহিষ্কৃত শরীফ উদ্দিন সরকারের পক্ষে ফেসবুকে একটি পোস্ট দেন মোজাম্মেল হোসেন অন্তু। সেখানে তিনি লেখেন, ‘শরীফ উদ্দিন সরকার ভাইয়ের সাথে ছাত্রদল স্রেফ দলীয় নোংরামির ইতর মুখটা দেখালো।’

 

এই পোস্টের পর সংগঠন তাকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেয়। তবে তিনি কোনো লিখিত ব্যাখ্যা না দিয়ে ফেসবুকে নিজের অবস্থান ব্যাখ্যা করেন। তিনি লিখেন, ‘কারো প্রতি ঘোরতর অন্যায় করা হইলে সেই অন্যায়ের বিরুদ্ধে কথা বলা যদি আমার সাংগঠনিক শৃঙ্খলাভঙ্গের কারণ হয়, তাহলে এমন শৃঙ্খলে আমি আবদ্ধ থাকতে চাই না।’

 

এদিকে ছাত্রদল মনে করে, এ ধরনের বক্তব্য ও অবস্থান দলীয় সিদ্ধান্তের প্রতি অবজ্ঞা এবং শৃঙ্খলার পরিপন্থী। তাই তাকে স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করে কেন্দ্রীয়ভাবে সকল নেতাকর্মীদের তার সঙ্গে কোনো ধরনের সাংগঠনিক সম্পর্ক না রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

 

বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত ঘোষণার পর অন্তু তার ফেসবুক আইডিতে বহিষ্কারাদেশের কপি শেয়ার করে কেবল একটি শব্দ লেখেন- ‘ধন্যবাদ।’

 

প্রসঙ্গত, শরীফ উদ্দিন সরকারকে বহিষ্কারের ঘটনায় ছাত্রদলের ভেতরে মতবিরোধ আরও স্পষ্ট হয়ে উঠেছে। একপক্ষ দলের এমন সিদ্ধান্তকে ‘রাজনৈতিক নিপীড়ন’ হিসেবে দেখছে্ন, অন্যপক্ষ শৃঙ্খলা রক্ষায় জিরো টলারেন্স নীতির অংশ হিসেবে প্রসংশাও করছেন।