
১৮তম শিক্ষক নিবন্ধন পরীক্ষায় চূড়ান্ত ফলাফলে ‘ফেল করা’ প্রার্থীরা সনদের দাবিতে বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষের (এনটিআরসি) কার্যালয়ের সামনে অবস্থান নিয়েছেন।
রোববার (২৯ জুন) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে রাজধানীর ইস্কাটন গার্ডেন রোডের বোরাক টাওয়ারে এনটিআরসির কার্যালয়ের সামনে অবস্থান নেন তারা।
শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও এনটিআরসিএর প্রতি অনুরোধ জানিয়ে তারা বলেন, ১৮তম শিক্ষক নিবন্ধন পরীক্ষার চরম বৈষম্যমূলক ফল অবিলম্বে সংশোধন করে আমাদের পাস করানো হোক। তা না হলে হাজার হাজার মেধাবী ও পরিশ্রমী তরুণ শিক্ষকের ভবিষ্যৎ ধ্বংস হয়ে যাবে এবং এনটিআরসির ওপর দেশের শিক্ষার্থীরা আস্থা হারাবে।
ফেল করা প্রার্থীরা আরও বলেন, এনটিআরসিএ লিখিত পরীক্ষায় যেহেতু নিজেদের করা ‘প্রশ্নের ধারা ও মানবণ্টন’ বহির্ভূত বিকল্প প্রশ্নবিহীন প্রশ্নপত্রে আমাদের পরীক্ষা নিয়েছে এবং সে লিখিত পরীক্ষায় আমরা পাস করে এসেছি এবং আমাদের বেশিরভাগেরই ভাইভার সনদপত্রে ১২ নম্বর রয়েছে তাই মানবিক বিবেচনায় হলেও পাস করানো হোক।
গত ৪ জুন বিকেলে ১৮তম শিক্ষক নিবন্ধনের চূড়ান্ত ফল প্রকাশ করা হয়। এতে চূড়ান্তভাবে উত্তীর্ণ হন ৬০ হাজার ৫২১ জন প্রার্থী। ফেল করেন ২০ হাজার ৬৮৮ জন। তবে গত ২৩ জুন সংশোধিত ফলাফল প্রকাশ করা হয়। সেই বিজ্ঞপ্তিতে সই করা হয় ১৫ জুন।
সংশোধিত ফলাফলে নতুন করে ১১৩ জনকে পাস ঘোষণা করা হয়। এতে চূড়ান্তভাবে মোট পাস করেন ৬০ হাজার ৬৩৪ জন। তবে সংশোধিত ফলাফল নিয়ে বিতর্কের মুখে পড়েছে এনটিআরসিএ।
জানা যায়, ২০২৩ সালের ২ নভেম্বর ১৮তম শিক্ষক নিবন্ধনের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে এনটিআরসিএ। এ পরীক্ষায় অংশ নিতে রেকর্ড প্রায় ১৯ লাখ প্রার্থী আবেদন করেন। ২০২৪ সালের ১৫ মার্চ এ নিবন্ধনের প্রিলিমিনারি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। প্রিলিতে পাস করেন ৪ লাখ ৭৯ হাজার ৯৮১ জন প্রার্থী।
২০২৪ সালের ১২ ও ১৩ জুলাই ১৮তম শিক্ষক নিবন্ধনের লিখিত পরীক্ষা নেওয়া হয়। লিখিত পরীক্ষার ফল প্রকাশ করা হয় একই বছরের ১৪ অক্টোবর। এতে পাস করেন ৮৩ হাজার ৮৬৫ জন। তাদের মধ্যে মৌখিক পরীক্ষায় অংশ নেন ৮১ হাজার ২০৯ জন।