
টুডে রিপোর্ট
বিগত ১৬ বছর স্বৈরাচারী আওয়ামী লীগ সরকারের শাসনামলে বাংলাদেশে ভারতীয় গোয়েন্দা সংস্থার অস্বাভাবিক প্রভাব ছিল সার্বক্ষণিক আলোচনার বিষয়। হাসিনা নেতৃত্বাধীন এই সরকার ছিল বাংলাদেশের স্বাধীনতা পরবর্তী সময়ে সবচেয়ে বেশি ভারতঘনিষ্ঠ। সম্প্রতি অন্তবর্তী সরকারের বিভিন্ন তদন্ত প্রতিবেদনে উঠে আসে দেশের অভ্যন্তরে শুধু রাজনীতি নয় বরং সশস্ত্র বাহিনীতেও ছিল ভারতীয় প্রভাব। এমনকি সামরিক গোয়েন্দা সংস্থার কার্যালয়েও ছিল তাদের ওয়ার্ক স্টেশন। এর মধ্যেই নতুন করে আলোচনায় এসেছে সশস্ত্র বাহিনী পরিচালিত ‘মিলিটারি ইনস্টিটিউট অব সাইন্স এন্ড টেকনোলজি’তে (এমআইএসটি) ভারতীয় সামরিক কর্মকর্তাদের নিযুক্ত থাকার বিষয়টি।
সামরিক এই প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়টির ওয়েবসাইটে প্রবেশ করে দেখা যায় তুমুল ভারতবিরোধী সমালোচনা এবং আশঙ্কার পরও সেখানে কর্মরত আছেন ভারতীয় সামরিক কর্মকর্তারা। এমন পরিস্থিতিতে দেশের গুরুত্বপূর্ণ সামরিক তথ্য ভারতে পাচার হওয়ার ঝুঁকি অনুভব করছেন সচেতন নাগরিকরা।
এমআইএসটির ওয়েবসাইটে দেখা যায় বিশ্ববিদ্যালয়টির কম্পিউটার সাইন্স এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগে সিনিয়র ইন্সট্রাক্টর হিসেবে কর্মরত আছেন ভারতীয় সেনা কর্মকর্তা কর্নেল অরিন্দর চ্যাটার্জি। একই বিভাগে ইন্সট্রাক্টর ক্লাস-বি হিসেবে কর্মরত আছেন ভারতীয় নৌবাহিনীর কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট কমান্ডার টি গোপি কৃষ্ণ।
এছাড়া, বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যারোনটিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগে সিনিয়র ইন্সট্রাক্টর হিসেবে কর্মরত আছেন ভারতীয় বিমানবাহিনীর কর্মকর্তা গ্রুপ ক্যাপ্টেন সিদ্ধার্থ শঙ্কর পাটনায়েক ও গ্রুপ ক্যাপ্টেন এ এন সোমান্না। এর আগে বিভাগটিতে বিদেশী শিক্ষক হিসেবে কর্মরত ছিলেন ভারতীয় বিমানবাহিনীর কর্মকর্তা গ্রুপ ক্যাপ্টেন এ এল গোলানী ও গ্রুপ ক্যাপ্টেন কার্তিকিয়ান।