যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প দাবি করেছেন, আমেরিকার স্ট্রাইকেই থেমেছে ১২ দিনব্যাপী ইরান-ইসরায়েল যুদ্ধ। সেই সঙ্গে তিনি যুদ্ধ থামানোর জন্য যুক্তরাষ্ট্রের গত সপ্তাহের হামলাকে ১৯৪৫ সালের হিরোশিমা-নাগাসাকিতে পারমাণবিক বোমা হামলার সঙ্গে তুলনা করেছেন—যা নিয়ে শুরু হয়েছে ব্যাপক বিতর্ক।
ডাচ শহর হেগে এক সাংবাদিক সম্মেলনে ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচি নিয়ে প্রশ্নের জবাবে ট্রাম্প বলেন, ‘তারা (ইরান) এই যুদ্ধের সময় ভয়ংকর অভিজ্ঞতার মধ্য দিয়ে গেছে। আমি মনে করি না তারা আর কখনো পারমাণবিক অস্ত্র তৈরির চেষ্টা করবে। তারা তাদের তেল, মিসাইল ও প্রতিরক্ষা নিয়ে থাকবে। তারা এখন সব হারিয়ে ফেলেছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমরা এখন ইরানের সঙ্গে খুব ভালো সম্পর্কের মধ্যে আছি। আমাদের স্ট্রাইক ব্যর্থ হলে যুদ্ধ থামত না। আমি হিরোশিমা-নাগাসাকির উদাহরণ দিতে চাই না, কিন্তু এটাও একরকম একই রকম ঘটনা—সেই স্ট্রাইকে যুদ্ধ থেমেছিল, এটাতেও তাই হয়েছে।’
হিরোশিমা-নাগাসাকি: ইতিহাসের ভয়াবহ ক্ষণ
১৯৪৫ সালের আগস্টে, দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের শেষ দিকে যুক্তরাষ্ট্র জাপানের হিরোশিমা ও নাগাসাকিতে পারমাণবিক বোমা ফেলেছিল। এতে দুই লাখেরও বেশি মানুষ নিহত হয়, যাদের অধিকাংশই ছিলেন সাধারণ নাগরিক। এই হামলার পরপরই জাপান নিঃশর্তভাবে মিত্রশক্তির কাছে আত্মসমর্পণ করে।
ট্রাম্পের দাবি ও বিতর্ক
ট্রাম্পের এই বক্তব্য আসে এমন এক সময়ে, যখন মার্কিন প্রতিরক্ষা দপ্তর (পেন্টাগন) দাবি করেছে—তাদের স্ট্রাইকে ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচিতে সীমিত প্রভাব পড়েছে। তবে ট্রাম্প এই রিপোর্টকে অস্বীকার করে তার নিজের মালিকানাধীন ট্রুথ সোশ্যাল প্ল্যাটফর্মে লেখেন, ‘ইরানের সব পারমাণবিক সাইট ধ্বংস হয়ে গেছে। এটি ছিল ইতিহাসের অন্যতম সফল সামরিক হামলা।’
তিনি আরও অভিযোগ করেন, ‘সিএনএন ও নিউইয়র্ক টাইমস একসঙ্গে মিলে এই সফল অভিযানকে খাটো করার চেষ্টা করছে।’
সূত্র: হিন্দুস্তান টাইমস।
