Image description

ইসরায়েলের আকাশে ইরানি ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র যখন বৃষ্টির মতো ঝরেছে, তখন আকাশেই তার অধিকাংশ ঠেকিয়ে দিয়েছে ‘আয়রন ডোম’। ১২ দিনের যুদ্ধে ইরান প্রায় ৫৩২টি মিসাইল ছুড়েছে ইসরায়েলে, যার মধ্যে ৪২টি মিসাইল ভূমিতে আঘাত হেনেছে। অর্থাৎ প্রায় ৯২ শতাংশ মিসাইল আকাশেই ঠেকিয়ে দিয়েছে ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা। রাশিয়ার ব্যালিস্টিক ও ক্রুজ মিসাইল ঠেকাতে ইউক্রেনের আকাশে গর্জে উঠছে আমেরিকান প্যাট্রিয়ট, জার্মান আইআরআইএস-টি ও ইসরায়েলি ডেভিডস স্লিং। এমনকি পার্শ্ববর্তী দেশ ভারত-পাকিস্তানের অতিসাম্প্রতিক যুদ্ধে পাকিস্তানের ক্ষেপণাস্ত্র ঠেকাতে ভারতে গর্জে উঠতে দেখা গেছে রাশিয়ায় তৈরি অত্যাধুনিক এস-৪০০ কিংবা ভারত-ইসরায়েলের যৌথভাবে তৈরি বারাক-৮। বিপরীতে ভারতীয় ক্ষেপণাস্ত্র ঠেকাতে পাকিস্তান ব্যবহার করেছে চীনে দীর্ঘপাল্লার এইচকিউ ৯/পি ও মাঝারি পাল্লার এলওয়াই-৮০। রাখাইন রাজ্যের ৮০ শতাংশের বেশি এলাকা আরাকান আর্মির দখলে চলে যাওয়ার পর বিপর্যস্ত জান্তা সরকার একের পর এক বিমান হামলা চালিয়ে যাচ্ছে। যার অভিঘাত বাংলাদেশ সীমান্তঘেঁষা অঞ্চলেও স্পষ্ট হয়ে উঠছে। সব মিলিয়ে আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাই পরিণত হয়েছে আধুনিক যুদ্ধের প্রথম ও প্রধান প্রাচীর হিসেবে। প্রতিটি দেশ এখন আকাশকে পরিণত করছে রাডার ও ক্ষেপণাস্ত্র-নিয়ন্ত্রিত প্রতিরক্ষার অভেদ্য দুর্গে।

ভারত ও চীনের আঞ্চলিক প্রভাব বিস্তারের মধ্যে কৌশলগতভাবে গুরুত্বপূর্ণ বঙ্গোপসাগরের উত্তর উপকূলে এবং মিয়ানমারের সীমান্তসংলগ্ন বাংলাদেশ এখন ভূরাজনৈতিকভাবে অত্যন্ত স্পর্শকাতর অবস্থানে রয়েছে। কিন্তু ভূরাজনৈতিকভাবে এমন গুরুত্বপূর্ণ স্থানে থাকা বাংলাদেশের আকাশ কতটা সুরক্ষিত? দেশের সামরিক বাহিনী কতটা প্রস্তুত একটি উচ্চগতির ফাইটার জেট, ক্রুজ মিসাইল বা স্টিলথ ড্রোন মোকাবেলা করতে? তথ্য বলছে আন্তর্জাতিক মানদণ্ডের প্রেক্ষাপটে বাংলাদেশ একটি শক্তিশালী ও পূর্ণাঙ্গ আকাশ প্রতিরক্ষা বলয় গড়ে তুলতে পারেনি। বিশ্বের সামরিক শক্তিগুলো যখন নিজেদের নিরাপত্তা বলয় গঠনে ‘মাল্টি-লেয়ার্ড এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম’-এর ওপর নির্ভর করছে, তখন বাংলাদেশ এখনো মূলত পুরনো স্বল্পপাল্লার প্রতিরক্ষা কাঠামোর মধ্যেই আবদ্ধ।

বিশ্লেষকদের মতে, বাংলাদেশের আকাশ প্রতিরক্ষার বর্তমান বাস্তবতা রীতিমতো উদ্বেগজনক। সূত্র জানায়, ২০১১ সালে কেনা চীনের তৈরি এফএম-৯০ স্বল্পপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবস্থাই এখনো সবচেয়ে কার্যকর ভূমিভিত্তিক প্রতিরক্ষা অস্ত্র। এ মিসাইল সিস্টেম ড্রোন, হেলিকপ্টার ও নিচু দিয়ে উড়ে যাওয়া বিমান শনাক্ত ও আঘাত হানার জন্য কার্যকর হলেও উচ্চগতির ফাইটার জেট বা দূরপাল্লার ক্রুজ মিসাইলের বিরুদ্ধে কার্যকর নয়।

বিমান বাহিনীর হাতে আছে ৪৪টি যুদ্ধবিমান, যার মধ্যে ৩৬টি চীনের তৈরি পুরনো মডেলের এফ-৭ ও ৮টি সোভিয়েত যুগের মিগ-২৯। প্রশিক্ষণ কাজে ব্যবহৃত রুশ ইয়াক-১৩০ যুদ্ধবিমান ১৪টি, যা হালকা আক্রমণেও ব্যবহারযোগ্য। এসব বিমানের অনেকগুলোই দ্বিতীয় বা তৃতীয় প্রজন্মের, যার ফলে এরা আধুনিক স্টিলথ বা রাডার-অ্যাভাসিভ প্রযুক্তির মুখোমুখি হলে অকার্যকর হতে পারে। বিমানবাহিনীর বহরে হেলিকপ্টার রয়েছে ৭৩টি। এর মধ্যে রাশিয়ার এমআই সিরিজের ৩৬টি হেলিকপ্টার আছে। সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রে নির্মিত সেসনা, বেলের বিভিন্ন মডেলের হেলিকপ্টার আছে ২৪টি।

01

দেশের আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা প্রসঙ্গে মেজর জেনারেল (অব.) ফজলে এলাহী আকবর বলেন, ‘আমাদের আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা একেবারে জিরো না হলেও জিরোর কাছাকাছি। যে প্রযুক্তি ব্যবহার হচ্ছে আধুনিক সামরিক প্রযুক্তির প্রেক্ষাপটে এগুলোর কার্যকারিতা আছে বলে মনে করি না। এসব বিষয়ে নজর দেয়া জরুরি। পাকিস্তানের জিডিপি আর মাথাপিছু আয় আমাদের তুলনায় কত কম দেখুন। কিন্তু সামরিক শক্তিতে কিছুদিন আগে সেই পাকিস্তান কীভাবে ভারতকে নাকানি-চুবানি খাইয়েছে। সেখানে আমাদের ওপর যদি কোনো আক্রমণ হয় আমাদের বর্তমান ব্যবস্থা মাকড়সার জালের নিরাপত্তা দেবে বলেও আমি মনে করি না।’

তার মতে, ‘গত ১৬ বছরে ডিফেন্সে চাকচিক্যর ওপর যেভাবে নজর দেয়া হয়েছে, প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার দিকে সেভাবে নজর দেয়া হয়নি। আগামীতে যে সরকারই আসুক এদিকে নজর দিতে হবে। মনে রাখতে হবে ডিটরেন্স ছাড়া কূটনীতি জিরো। আপনি সামরিকভাবে সক্ষমতা অর্জন করেন, দেখবেন কূটনীতিতে সবাই আপনাকে গুরুত্ব দেবে, ওয়েলকাম জানাবে। আমাদের না আছে অর্থনীতি, না আছে ফরেন পলিসি, না আছে প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা। বাজেট যেটাই থাকুক সেটার ব্যবহার যথোপযুক্ত বণ্টন করতে হবে। এখন সময় আকাশ প্রতিরক্ষায় মনোযোগ দেয়া।’

আধুনিক প্রতিরক্ষা ব্যবস্থায় ড্রোন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। সামরিক সূত্রে জানা গেছে, বাংলাদেশের সামরিক বাহিনীর কাছে ৪৪টি ড্রোন রয়েছে। এর মধ্যে ৩৬টিই স্লোভেনিয়ায় নির্মিত ব্রামর সি ফোর আই। তুরস্কের তৈরি বায়রাখতার টিবি টু আছে ছয়টি। গত বছরই এগুলো যুক্ত হয়। বাংলাদেশ নৌবাহিনীর কাছে সাবমেরিন রয়েছে দুটি। দুটিই চীনের তৈরি এবং ২০১৭ সালে এগুলো নৌবাহিনীতে যুক্ত হয়। ওয়্যারপাওয়ার বাংলাদেশে এ সাবমেরিনগুলোকে ‘অ্যাটাক সাবমেরিন’ হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে।

এছাড়া আন্তর্জাতিক সামরিক গবেষণা প্লাটফর্ম গ্লোবাল ফায়ার পাওয়ার অনুযায়ী, বাংলাদেশ নৌবাহিনীর কাছে সব মিলিয়ে নৌযান রয়েছে ১১৭টি। এর মধ্যে সাতটি ফ্রিগেট বা রণতরী আছে বাংলাদেশের। সঙ্গে আরো আছে ছয়টি কর্ভেট যুদ্ধজাহাজ। ফ্রিগেটগুলোর চারটির নির্মাতা চীন, দুটির যুক্তরাষ্ট্র আর একটি দক্ষিণ কোরিয়ার। কর্ভেট জাহাজগুলোর মধ্যে চারটি চীনের, দুটি যুক্তরাজ্যের। গ্লোবাল ফায়ার পাওয়ারের তথ্য বলছে, বাংলাদেশের সামরিক বাহিনীর কাছে রয়েছে ৩২০টি ট্যাংক। এছাড়া বাংলাদেশের সামরিক বাহিনীর কাছে সব মিলিয়ে ৪৬৪টি কামান রয়েছে বলে জানিয়েছে গ্লোবাল ফায়ার পাওয়ার। এর মধ্যে স্বয়ংক্রিয় কামান রয়েছে ২৭টি। বাংলাদেশের অ্যান্টি এয়ার ক্রাফট গান বা বিমান বিধ্বংসী কামানের উৎস দুটি দেশ। এর মধ্যে সুইজারল্যান্ডের একটি এবং চীনের চারটি সিরিজের কামান রয়েছে। এছাড়া বাংলাদেশের সামরিক বাহিনীর কাছে মাল্টিপল রকেট লঞ্চার সিস্টেম (এমএলআরএস) আছে ৭৭টি। এর মধ্যে চীনের তৈরি ৪৯টি এবং তুরস্কের দুই ধরনের মোট ২৮টি এমএলআরএস রয়েছে তাদের ভাণ্ডারে।

02

এ বিষয়ে এয়ার ভাইস মার্শাল (অব.) মাহমুদ হোসেন বণিক বার্তাকে বলেন, ‘আধুনিককালের যুদ্ধে এখন আর কেউই সরাসরি গ্রাউন্ড ট্রুপ নামায় না। আক্রমণটা হয় আকাশসীমায়। যে কারণে সামরিক বাহিনীর শক্তিশালী আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা থাকা অনস্বীকার্য। সোজা কথায় স্কাই সুপিরিয়রিটি বা আকাশে যার কর্তৃত্ব থাকে যুদ্ধে এগিয়ে থাকে তারাই।’

সাম্প্রতিক ইরান-ইসরায়েল যুদ্ধের উদাহরণ টেনে তিনি বলেন, ‘ইসরায়েলি হামলায় ইরানের ক্ষয়ক্ষতি বেশি হওয়ার কারণ তেহরানের এত শক্তিশালী আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা ছিল না। যে কারণে তারা ইসরায়েলের আক্রমণগুলো সেভাবে ঠেকিয়ে দিতে পারেনি। আর ইসরায়েল ইরানের শক্তিশালী ক্ষেপণাস্ত্রগুলো আকাশে ঠেকিয়ে দিয়ে তারা ক্ষয়ক্ষতি কমিয়ে এনেছে। যদি আমাদের মুক্তিযুদ্ধের কথাই ধরি, পাকিস্তান চূড়ান্ত পরাজিত হয় শেষ ১৩ (৩ ডিসেম্বর থেকে ১৬ ডিসেম্বর) দিনের যুদ্ধে। যেখানে সবচেয়ে বেশি ভূমিকা রেখেছে বিমান হামলা।’

আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা একটি সমন্বিত প্রক্রিয়া। যেখানে উচ্চগতির ফাইটার জেট, ক্রুজ মিসাইল কিংবা দূরপাল্লার বোমারু বিমানের বিরুদ্ধে কার্যকর প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হলে মধ্য ও দীর্ঘপাল্লার সমন্বিত ব্যবস্থা আবশ্যক জানিয়ে মাহমুদ হোসেন বলেন, ‘বাংলাদেশের আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা অন্ততপক্ষে এমন হওয়া উচিত যাতে সমুদ্রসীমার ২০০ নটিক্যাল মাইল পর্যন্ত পৌঁছাতে পারে বা নজরদারি করা যায়। মিসাইল সিস্টেমটা ওভাবে উন্নত হতে হবে। এর সঙ্গে ফাইটার এয়ার ক্রাফট থাকতে হবে। এগুলো ব্যয়সাপেক্ষ বিষয় কিন্তু ইচ্ছা থাকলে সম্ভব।’ স্থানীয়ভাবে মেধাবী কর্মকর্তা তৈরির ওপর জোর দিয়ে তিনি বলেন, ‘আকাশ প্রতিরক্ষায় উচ্চতর গণিত, পদার্থ থেকে শুরু করে প্রকৌশল পর্যন্ত সবই অন্তর্ভুক্ত। ভারত-পাকিস্তানে সবচেয়ে মেধাবীরাই বিমান বাহিনীতে আসে। অথচ আমাদের কোনো বিশ্ববিদ্যালয়ে মিলিটারি স্টাডিজ ডিপার্টমেন্ট পর্যন্ত নেই।’

বাংলাদেশের আকাশ প্রতিরক্ষায় সবচেয়ে বড় যে ফাঁকটি রয়েছে, তা হলো মাঝারি ও দূরপাল্লার সারফেস টু এয়ার মিসাইল সিস্টেম। এর অনুপস্থিতির কারণে দেশের আকাশসীমা পুরোপুরি উন্মুক্ত থাকবে উচ্চমাত্রার হামলার সামনে। ভারত এরই মধ্যে এস-৪০০ ট্রায়াম্প সিস্টেম মোতায়েন করেছে, যার ফলে তাদের আকাশসীমা ৪০০ কিলোমিটার পর্যন্ত সুরক্ষিত। মিয়ানমারও সংগ্রহ করেছে এসইউ৩০এসএমই এবং জেএফ-১৭ যুদ্ধবিমান। এমনকি ভিয়েতনামের মতো মধ্যম শক্তির দেশেও এখন ড্রোন ও মিসাইল প্রতিহত করার স্বয়ংক্রিয় ব্যবস্থা আছে। এ বাস্তবতার সঙ্গে তাল মেলাতে পারছে না বাংলাদেশ। বাংলাদেশের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা এখনো নিচু দিয়ে উড়ে যাওয়া হেলিকপ্টার ঠেকানোর স্তরে সীমাবদ্ধ।

আকাশ প্রতিরক্ষায় উন্নয়নে রাডার ব্যবস্থাও আবশ্যক। সামরিক সূত্র জানায়, ড্রোনের মতো হুমকি মোকাবেলায় কাউন্টার ড্রোন সার্ভিল্যান্স ব্যবস্থা কেনা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। চলতি মাসে বিমান বাহিনীর আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থায় যুক্ত হয়েছে নতুন রাডার ‘জিএম ৪০৩ এম’। বাংলাদেশ সামরিক শক্তির সূচকে (জিএফপি ইনডেক্স ২০২৪) বিশ্বে ৩৭তম অবস্থানে থাকলেও অস্ত্র আধুনিকায়নের দিক থেকে এখনো অনেক পিছিয়ে। ২০০৯ থেকে ২০২৩ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশ বিশ্বে ২৮তম বৃহৎ অস্ত্র আমদানিকারক হলেও তা মূলত ভূমি যুদ্ধের উপকরণে সীমাবদ্ধ থেকেছে।

বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর আর্মি এভিয়েশনে কর্মরত ছিলেন কর্নেল (অব.) মোহাম্মদ সোহেল রানা। সার্বিক বিষয়ে তিনি বণিক বার্তাকে বলেন, ‘আমাদের সশস্ত্রবাহিনীর নীতি কাউকে আক্রমণ করা নয়, বরং ডিফেন্সিভ। এটাই আমাদের পলিসি। এটা করতে হলে আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা শক্তিশালী করতে হবে। এক্ষেত্রে আমরা একবারে লোয়ার টায়ারেই আছি। তবে গত ১০ বছর এ খাতে বেশ নজর দেয়া হয়েছে। ডিফেন্সিড রাডার বসানো হয়েছে। হোস্টাইল এয়ারক্রাফট বা শত্রু বিমান শনাক্তে প্রতিরক্ষাব্যবস্থা অ্যাডাপ্ট করা হয়েছে। সেনাবাহিনীতেও মিসাইল ব্যাটারি সংযুক্ত করা হয়েছে। তবে উন্নতির অবকাশ রয়েছে। গোলাবারুদ অনেক পুরনো। আধুনিক আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা একটা ইন্টিগ্রেটেড সিস্টেম। যেটা আমরা করতে পারছি না। যার অন্যতম কারণ অর্থ। প্রতিরক্ষা বাজেটের কম অংশ এখানে ব্যয় করা হয়।’

সাবেক এ সেনা কর্মকর্তা সাম্প্রতিক সময়ে ভারত-পাকিস্তান, রাশিয়া-ইউক্রেন, ইরান-ইসরায়েল যুদ্ধের উদাহরণ টেনে বলেন, ‘আমাদের কিন্তু এখানে থেকে অনেক কিছু শেখার আছে। বড় শিক্ষা হচ্ছে আধুনিক ও শক্তিশালী আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা গড়ে তুলতেই হবে।’ অস্ত্র কেনার ক্ষেত্রে বন্ধুরাষ্ট্র নির্বাচনের দিকেও নজর দেয়া উচিত বলে মত দেন তিনি।

এছাড়া দেশে প্রতিরক্ষা শিল্প গড়ে ওঠেনি জানিয়ে তিনি বলেন, ‘ভারত-পাকিস্তানে এরই মধ্যে একটা ডিফেন্স শিল্প গড়ে উঠেছে, যেটা আমাদের এখানে হয়ে ওঠেনি। এখানে বেসরকারি বিনিয়োগ এলে একটা বড় শিল্প গড়ে উঠত। এখানে একটি বড় ঘাটতি রয়ে গেছে। সবকিছুতে সেনাবাহিনী ও সরকারের ওপর দোষ চাপিয়ে দিলে হবে না। সবারই এগিয়ে আসতে হবে। একাডেমিশিয়ান ও গবেষকদের সঙ্গে সামরিক বাহিনীর যোগাযোগ ও সমন্বয়ের ক্ষেত্রেও উন্নতির অবকাশ রয়েছে।’