
পটুয়াখালীর দুমকিতে প্রতিপক্ষকে ফাঁসাতে নিজের মেয়েকে ধর্ষণের নাটক সাজান এক নারী। পরে থানায় মামলাও করেন তিনি। কিন্তু পরে তাকেই কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত।
মামলার তদন্ত ও ডাক্তারি পরীক্ষায় অভিযোগ সম্পূর্ণভাবে মিথ্যা প্রমাণিত হওয়ায় আদালত এ সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
রোববার (২২ জুন) দুপুরে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মোসা. নিলুফার ইয়াসমিন তার জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
আদালত সূত্রে জানা যায়, ২০২৩ সালের ২৩ সেপ্টেম্বর উপজেলার মুরাদিয়া ইউনিয়নের ৫নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা কোহিনুর বেগম দুমকি থানায় একটি ধর্ষণ মামলা দায়ের করেন। মামলায় অভিযোগ করেন, দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ায় তার প্রতিবন্ধী মেয়েকে একা পেয়ে প্রতিবেশীর সহায়তায় এক যুবক ধর্ষণ করেন।
পরবর্তীতে পুলিশি তদন্ত ও মেডিকেল পরীক্ষায় ধর্ষণের কোনো প্রকার আলামত না পাওয়ায় আদালত দুই আসামিকে মামলা থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়।
এ ঘটনার পর গত বছর ৯ সেপ্টেম্বর মানহানি ও হয়রানির অভিযোগ এনে কোহিনুর বেগমসহ সাতজনের বিরুদ্ধে মামলা করেন ভুক্তভোগী যুবক। সেই মামলায় কোহিনুর আদালতে আত্মসমর্পণ করলে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়।
বাদীপক্ষের অন্য আসামিরা হলেন—কোহিনুরের স্বামী কামাল শরীফ, তাদের দুই মেয়ে, ইউপি সদস্য নাসির হাওলাদার, রেবেকা বেগম এবং স্থানীয় চৌকিদার মিজানুর রহমান।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, জমি সংক্রান্ত দীর্ঘদিনের বিরোধ ও ইউপি নির্বাচনে পক্ষে কাজ না করার জেরে প্রতিপক্ষকে ফাঁসাতে এ মিথ্যা মামলা করা হয়।
এ বিষয়ে জানতে স্থানীয় ইউপি সদস্য নাসির হাওলাদারকে তার মুঠোফোনে একাধিকবার কল করা হলেও সেটি রিসিভ হয়নি।