
প্রধানমন্ত্রীর মেয়াদকাল ১০ বছরের বিষয়ে জামায়াত, এনসিপিসহ অধিকাংশ দল একমত হলেও বিএনপিসহ তিনটি দল দ্বিমত পোষণ করেছ বলে জানিয়েছেন জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহসভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ। আজ রোববার ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে রাজনৈতিক দলগুলোর দ্বিতীয় ধাপের সংলাপের পঞ্চম দিনের মুলতবি শেষে এসব কথা বলেন আলী রীয়াজ।
অধ্যাপক আলী রীয়াজ বলেন, ‘সারা দিন আলোচনায় আমরা দুটি বিষয় নিয়ে কথাবার্তা বলেছি। এর একটি হচ্ছে— প্রধানমন্ত্রীর মেয়াদ। আরেকটি হচ্ছে— সংবিধানের রাষ্ট্রের মূলনীতি। দীর্ঘ আলোচনা শেষে আমরা সুস্পষ্ট এক জায়গায় এসেছি। একজন ব্যক্তি ১০ বছরের বেশি প্রধানমন্ত্রী থাকতে পারবে না। তবে এ রকম একটি জায়গায় আসার পরেও আমরা এখনো ঐকমত্যে পৌঁছাতে পারিনি। আলোচনার পরে তিনটি দল ভিন্নমত পোষণ করে। তারা বিষয়টি পুনর্বিবেচনার কথা বলেছে। তারা তাদের নির্ধারণী পর্যায়ে আলোচনা করে আবার আলোচনার কথা বলেছে। তারা মনে করে, এই বিষয়ের সঙ্গে অন্যান্য বিষয় যুক্ত, বিশেষ করে এনসিসি গঠন ও উচ্চকক্ষ কীভাবে গঠন হবে। ওই সব সংশ্লিষ্ট বিষয়ে আলোচনার সময় তারা বিষয়টি উপস্থাপন করবে।’
আলী রীয়াজ বলেন, ‘এখন পর্যন্ত আলোচনা যে জায়গায় দাঁড়িয়েছে, প্রধানমন্ত্রীর মেয়াদকাল নিয়ে তিনটি দল বাদে সবাই একমত হয়েছে। তিনটি দল হলো— বিএনপি, এনডিএম, ও বিএলডিপি। এই বিষয়ে তাদের ভিন্ন ভিন্ন কারণে মতপার্থক্য আছে। তবে আমরা আশা করি, এ বিষয়ে সবাই একমত হতে পারবে।’
দ্বিতীয় আলোচনার বিষয় উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘দ্বিতীয় যে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হয়েছে, তা হলো সংবিধান ও রাষ্ট্রের মূলনীতি। সংবিধান সংস্কার কমিশনের পক্ষ থেকে এ বিষয়ে একটি প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল। বিভিন্ন দলের মতামত ও অবস্থান বিবেচনা করে ঐকমত্য কমিশন থেকে একটি নতুন প্রস্তাব হাজির করা হবে। এই প্রস্তাবের মূল লক্ষ্য থাকবে, সাম্য, মানবিক মর্যাদা, সামাজিক সুবিচার ও গণতন্ত্রকে সংবিধানের মূলনীতি হিসেবে উল্লেখ করা বা অন্য কোনো উপায়ে যুক্ত করা। কমিশন থেকে এ বিষয়ে একটি সুনির্দিষ্ট লিখিত প্রস্তাবও তুলে ধরা হবে।’
রাজনৈতিক দলগুলোর অনুরোধে আগামী দুই দিন বৈঠক মুলতবি করে তিনি বলেন, ‘বিভিন্ন রাজনৈতিক দল অনুরোধ করেছে আগামী দুই দিন বৈঠক মুলতবি করার জন্য। দলগুলো তাদের নীতিনির্ধারণী পর্যায়ে আলোচনা করতে চায়। আমরা আশা করছি, এর মাধ্যমে অমীমাংসিত বিষয়গুলো মীমাংসা করতে পারব।’