Image description

 

পাবনায় রাক্ষুসে রুপ নিয়েছে যমুনা নদী। বেড়া উপজেলায় ভাঙন প্রতিরোধে ব্যবস্থা গ্রহণ না করে ভাঙনের আশঙ্কায় নাম মাত্র টাকায় নিলামে বিক্রি করা হয়েছে এলাকার একমাত্র প্রাথমিক বিদ্যালয়টি। ভাঙন রোধে কোনো কাজ না করে গ্রামের একমাত্র প্রাথমিক বিদ্যালয়টি নিলামে বিক্রি করায় ক্ষুব্ধ স্থানীয়রা। 
 
গত বছরের ভাঙন আতংকের ছাপ এখনও বয়ে বেড়াচ্ছে বেড়া উপজেলার চর নাগদাহ নিম্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয়টি। গত বছর ভাঙন আতঙ্কে স্কুলটির কয়েকটি ভবনের টিনের চালসহ আসবাবপত্র সরানো হয়। সে বছর স্কুলটি রক্ষা পেলেও চলতি বছর অসময়ে যমুনা নদীর ভাঙন হুমকিতে পড়ে এলাকার একমাত্র ১৯ নং চর সাড়াশিয়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়টি। ভাঙ্গন প্রতিরোধে ব্যবস্থা গ্রহণ না করে যে কোনো সময় নদী গর্ভে বিলীন হয়ে যাবে এমন আশঙ্কায় প্রাথমিক বিদ্যালয়টির একটি চারতলা ও একটি দ্বিতলা ভবন নিলামে বিক্রি করা হয়। 
 
চর নাগদাহ উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক লুৎফর রহমান বলেন, বর্তমানে যমুনা নদীর ভাঙন আতঙ্কে আছে চর নাগদাহসহ বেশ কয়েকটি গ্রামের কয়েক হাজার পরিবার। গত কয়েক বছরে নদী ভাঙনে বিলীন হয়েছে এলাকার শত শত বিঘা ফসলি জমি। ঘর হারা হয়েছে শত শত পরিবার। বসবাসের শেষ সম্বল হারিয়ে নিঃস্ব হয়েছেন অনেকেই। ভাঙন রোধে আমরা পানি উন্নয়ন বোর্ডসহ বিভিন্ন দপ্তরে আবেদন করেছি। কিন্তু, কোনো কাজ হয়নি। 
 
বেড়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোরশেদুল ইসলাম বলেন, প্রাথমিক বিদ্যালয়টির দুইটি ভবন নদী গর্ভে বিলিন হওয়ার সম্ভবনা আছে কি না, সেটি যাচাই-বাছাই করার জন্য বিভিন্ন দপ্তরের সম্বনয়ে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। তদন্ত কমিটির প্রতিবেদনে প্রাথমিক বিদ্যালয়টির দুইটি ভবন নদী গর্ভে বিলিন হওয়ার সম্ভাবনা দেখা দেওয়ায় ভবন দু’টি নিলামে বিক্রির সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। চার লক্ষাধীক টাকায় ভবন দুইটি নিলামে বিক্রি করা হয়। 
 
বেড়া উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার ফেরদৌসী বেগম জানান, বিদ্যালয়ের জন্য অনেকেই জমি দিতে চাচ্ছেন, বরাদ্দ পেলে বিদ্যালয়ের জন্য নতুন ভবন তৈরি করা হবে। আপাতত এলাকার এক শিক্ষকের বাড়িতে শিক্ষার্থীদের পাঠদানের ব্যবস্থা করা হয়েছে। শিক্ষার্থীদের পাঠদানে যাতে কোনো অসুবিধা না হয় সে জন্য প্রয়োজনীয় সকল ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়ছে। 

 
ভাঙন রোধে ব্যবস্থা গ্রহণের বিষয়ে জানতে চাইলে পাবনা পানি উন্নয়ন বোর্ডের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী সুধাংশু কুমার সরকার জানান, চর নাগদাহ এলাকায় যমুনা নদীর ভাঙন রোধে স্থায়ী ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য বরাদ্ধ চাওয়া হয়েছে। বরাদ্ধ পেলে কাজ শুরু করা হবে। 
 
আজকালের খবর