Image description
 

চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা বিএনপির আহ্বায়ক আলহাজ ইদ্রিস মিয়াকে সান্ডা, ব্যাঙ লিখে ফ্যাস্টুন ছাপানোসহ কুরুচিপূর্ণ বক্তব্য দেওয়ার কারণে চট্টগ্রামের পটিয়া বিএনপির ৬জনকে শোকজ করা হয়েছে। চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা বিএনপির সদস্য সচিব লায়ন হেলাল উদ্দিন স্বাক্ষরিত এ শোকজে পটিয়া পৌরসভা বিএনপির সাবেক আহ্বায়ক নুরুল ইসলাম সওদাগর, উপজেলা বিএনপির সাবেক সদস্য সচিব খোরশেদ আলম, পৌরসভা বিএনপির সাবেক সদস্য সচিব গাজী আবু তাহের, পৌরসভা বিএনপির সাবেক সদস্য সচিব মোজাম্মেল হক, উপজেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক শফিকুল ইসলাম চেয়ারম্যান ও উপজেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক মঈনুল আলম ছোটনের নাম রয়েছ।  এরা সবাই দক্ষিণ জেলা বিএনপির সদস্য এনামুল হক এনামের অনুসারী। এই ৬জন ছাড়াও একই অভিযোগে ইতোমধ্যে বহিষ্কার করা হয়েছে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী সামাজিক সাংস্কৃতিক সংস্থা (জাসাস) চট্টগ্রাম  দক্ষিণ জেলার সদস্য সচিব নাছির উদ্দীনকে।

জানা গেছে, বেশ কিছুদিন ধরে পটিয়ায় বিএনপির দলীয় কোন্দল প্রকাশ্যে রূপ নিয়েছে। এর মধ্যে দক্ষিণ জেলা বিএনপির আহ্বায়ক ইদ্রিস মিয়া এক গ্রুপ এবং একই কমিটির সদস্য এনামুল হক এনাম অপর একটি গ্রুপ।  চলতি মাসের ১০,১১ ও ১২  জুন এনামুল হক এনামের অনুসারীরা দক্ষিণ জেলা বিএনপির আহ্বায়ক ইদ্রিস মিয়ার বিরুদ্ধে বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সভা করেন। এসময় ইদ্রিস মিয়াকে ব্যাঙ, সান্ডাকে আখ্যায়িত করে ফেস্টুন ছাপানো হয় এবং কুরুচিপূর্ণ বক্তব্য ও স্লোগান দেন। যা সংগঠন বিরোধী ঔদ্ধত্য আচরণ। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচার করে দলের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করায় প্রাথমিকভাবে পটিয়া উপজেলা বিএনপির সাবেক সদস্য সচিব খোরশেদ আলমসহ ৬জনকে শোকজ করা হয়েছে। আগামী ৫ দিনের মধ্যে জবাব দিতে বলা হয়েছে।  

দক্ষিণ জেলা বিএনপির সদস্য সচিব লায়ন হেলাল উদ্দিন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানিয়েছেন, "জেলা বিএনপির সিনিয়র নেতার বিরুদ্ধে কুরুচিপূর্ণ বক্তব্য, স্লোগান, ফেস্টুন ও ঔদ্ধত্য আচরণ করার কারণে ৬জনকে গত ১৮ জুন শোকজ করা হয়েছে।  ৫ দিনের মধ্যে সশরীরে উপস্থিত হয়ে জবাব দেওয়ার জন্য বলা হয়েছে।  জবাব সন্তোষজনক না হলে তাদের বিরুদ্ধে পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।"

 

এ বিষয়ে জানতে চাইলে এনাম গ্রুপের খোরশেদ আলম বলেন, "জেলা বিএনপির আহ্বায়ক ইদ্রিস মিয়া নিজ দলের নেতাকর্মীদের ব্যারাইজ্জা, কুত্তা ডেকেছেন। তিনি এসব ডাকার কারণে দলীয় লোকজন ক্ষুব্ধ হয়ে প্রতিবাদ সভা করেছেন। এসময় সান্ডা ও ব্যাঙ ডাকা হয়েছে। ইদ্রিস মিয়া নিজের অপরাধ ঢাকতে আমাদেরকে শোকজের কথা বলছেন।  আমরা ফেসবুকে দেখেছি। ইদ্রিস মিয়ার বিরুদ্ধে আমরা কেন্দ্রে অভিযোগ করবো। আমরা যারা আন্দোলন ও মামলা-হামলার শিকার হয়েছি  তাদেরকে পরিকল্পিতভাবে রাজনীতি থেকে দূরে সরাতে চেষ্টা করা হচ্ছে।