
প্রথম আলো
পাল্টাপাল্টি হামলার মধ্যে আলোচনা
ইরান–ইসরায়েল পাল্টাপাল্টি হামলা টানা আট দিন ধরে চলছে। সংঘাতে যোগ দেওয়ার কথা ভাবছে যুক্তরাষ্ট্রও। এতে সংকট আরও গভীর হওয়ার শঙ্কা বেড়েছে। এমন পরিস্থিতিতে সংঘাত বন্ধে কূটনৈতিক তৎপরতা চালাচ্ছে বিভিন্ন দেশ। এরই অংশ হিসেবে জেনেভায় ইরানের সঙ্গে বৈঠক করেছেন ইউরোপের বিভিন্ন দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা। আলোচনা চালিয়ে যেতে একমত হয়েছেন তাঁরা। চলমান পরিস্থিতি নিয়ে জরুরি বৈঠকে করেছে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদ।
শান্তি ফেরাতে কূটনৈতিক প্রচেষ্টার মধ্যে গতকাল শুক্রবারও পাল্টাপাল্টি হামলা চালিয়েছে ইরান ও ইসরায়েল। এদিন ও আগের রাতে ইসরায়েল তেহরানের একটি হাসপাতালসহ শহরটির বিভিন্ন এলাকায় হামলা চালায়। জবাবে ইসরায়েলের বিরসেবা ও হাইফা শহরে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায় ইরান।
কালবেলা
অনিরাপত্তা বাড়ছে নারী-শিশুর কাজে আসছে না আইন
যে কোনো দেশের সবচেয়ে সংবেদনশীল নাগরিক বলা হয় নারী ও শিশুদের। এমনকি যুদ্ধক্ষেত্রেও নারী ও শিশুদের ওপর আক্রমণ না করার জন্য রয়েছে আন্তর্জাতিক বিভিন্ন নীতিমালা। বাংলাদেশের আইনেও নারী ও শিশু নির্যাতনকে অত্যন্ত গুরুত্ব দিয়ে দেখা হয়। তাদের সুরক্ষায় রয়েছে বিশেষ আইন। এ ধরনের অপরাধের বিচার মাত্র ১৮০ দিনের মধ্যে নিশ্চিত করারও বাধ্যবাধকতার কথা বলা হয়েছে আইনে। তবে এতসব আয়োজন সবই বৃথা। এসব আইন-নীতিমালা কোনো কিছুই কাজে আসছে না। বাংলাদেশে প্রতিনিয়ত সহিংসতার শিকার হচ্ছে নারী ও শিশুরা। ধারাবাহিকভাবে বাড়ছে এই সহিংসতার হার। এমনকি ৫ আগস্ট হাসিনা সরকারের পতন হলেও অবস্থার পরিবর্তন হয়নি নারী ও শিশুদের। উদ্বেগজনকভাবে বাড়ছে নারী ও শিশু নির্যাতন। শিশু ধর্ষণ, সংঘবদ্ধ ধর্ষণ, নারী নির্যাতন, হত্যা, ধর্ষণের পর হত্যার মতো ঘটনা বাড়ছে পাল্লা দিয়ে। দেশের ভেতরকার সহিংসতার হিসাব রাখে বেসরকারি সংস্থা আইন ও সালিশ কেন্দ্র (আসক)। সংস্থাটির গত ১০ (আগস্ট থেকে মে) মাসের পরিসংখ্যান বিশ্লেষণে দেখা গেছে এমন চিত্র।
বণিক বার্তা
অভিযোগ তুলে আপসের পথে হাঁটছে অন্তর্বর্তী সরকার
কোনো দেশের স্বৈরাচার বা দুর্নীতিগ্রস্ত সরকার যখন জনগণের উপকারের কথা মাথায় না রেখে দুর্নীতি ও লুটপাটের উদ্দেশ্যে বিদেশী ঋণ নেয় তা-ই ‘অডিয়াস ডেট’ বা ‘বিতর্কিত বিদেশী ঋণ’ হিসেবে পরিচিত। এ ঋণ নেয়া হয় স্বৈরাচার বা দুর্নীতিগ্রস্ত সরকারের অনিয়ম, দুনীতি ও লুটপাটের স্বার্থে। ‘অডিয়াস বা বিতর্কিত বিদেশী ঋণের’ তাত্ত্বিক ধারণা অনুসারে, কোনো সরকার যদি জনকল্যাণের বাইরে নিজের ক্ষমতা, দমন নীতি, দুর্নীতি ও লুটপাটের উদ্দেশ্যে ঋণ নেয়, তবে তার বোঝা জনগণের ওপর চাপানো ন্যায়সংগত নয়। আন্তর্জাতিক আইন এখনো এ ধরনের ঋণকে আনুষ্ঠানিকভাবে স্বীকৃতি দেয় না, তবে একে ‘অডিয়াস ডেট’ বিবেচনায় বিশ্বের বিভিন্ন দেশে মওকুফ বা ঋণ পুনর্গঠনের উদাহরণ রয়েছে।
কালের কণ্ঠ
ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে সরকার পতনের পর প্রভাবশালীদের অনেকেই দেশ ছেড়েছেন। তাঁরা যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, কানাডা, দুবাইসহ অনেক দেশে বাড়ি-গাড়ি ও সম্পদ কিনেছেন। সাবেক এমপি-মন্ত্রী, নেতাদের অনেকে দেশের অবৈধ সম্পদ বিক্রি করে তা হুন্ডিতে বিদেশে নিয়ে যাচ্ছেন। বিদেশি বাংলাদেশি মিশন থেকে সম্পদ বিক্রির জন্য অনেকের ‘পাওয়ার অব অ্যাটর্নি’ নেওয়ার হিড়িক পড়েছে।
আরও পড়ুন
প্রথম আলো
ট্রেনে কাটা পড়ে ১০ বছরে ৯ হাজারের বেশি মৃত্যু, কারণ কী
ট্রেন যাওয়া-আসার জন্য পাশাপাশি দুটি রেললাইন। একটি লাইনে দাঁড়িয়ে অন্য লাইনে আসা চলন্ত ট্রেনের ভিডিও করছিলেন এক তরুণ। তিনি যেখানে দাঁড়িয়ে ভিডিও করছিলেন, হঠাৎ সেখান দিয়ে আরেকটি ট্রেন চলে আসে। এতে কাটা পড়ে মর্মান্তিক মৃত্যু হয় ওই তরুণের।
ঘটনাটি ঘটেছে গত ২ মে ঢাকার কুড়িল বিশ্বরোড এলাকায়। নিহত তরুণের নাম ইশতিয়াক আহমেদ। তিনি রাজশাহী সরকারি কলেজের স্নাতকের শিক্ষার্থী ছিলেন। খিলক্ষেতে খালার বাসায় তিনি বেড়াতে এসেছিলেন।
সমকাল
ডেঙ্গু আক্রান্তের ৪৬ শতাংশ বরিশালের
সারাদেশে শুক্রবার সকাল ৮টা পর্যন্ত আগের ২৪ ঘণ্টায় আরও ১৫১ ডেঙ্গু রোগী শনাক্ত হয়েছেন। এ নিয়ে চলতি বছর ডেঙ্গু আক্রান্তের মোট সংখ্যা দাঁড়াল ৭ হাজার ৭৭। তাদের মধ্যে ৩ হাজার ২৮০ জনই বরিশাল বিভাগের; মোট রোগীর হিসাবে এখানে আক্রান্তের হার ৪৬ দশমিক ৩৪ শতাংশ। শুক্রবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, এই সময়ে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি রোগীর মধ্যে বরিশাল বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) ৮৬ জন, চট্টগ্রাম বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) ১৫, ঢাকা বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) ১৭, ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনে ১৮ ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশনে ১০, খুলনা বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) তিন এবং রাজশাহী বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) দু’জন রয়েছেন।
প্রথম আলো
ইউক্যালিপটাস-আকাশমণি বিতর্ক: পরিবেশের শত্রু নাকি কাঠের উৎস
বাংলাদেশের মাটি–পানি ও আবহাওয়ার সঙ্গে একীভূত হয়ে এ দেশের গাছগাছালির অংশ হয়ে উঠেছে অনেক বিদেশি গাছ। তবে ইউক্যালিপটাস ও আকাশমণি নিয়ে বিতর্ক আছে। সম্প্রতি গাছ দুটির চারা তৈরি, রোপণ ও কেনাবেচা নিষিদ্ধ করেছে সরকার। এর পরিপ্রেক্ষিতে বিতর্কের বিষয়টি আবার সামনে এসেছে।
অতিরিক্ত পানি শোষণ, মাটি অনুর্বর করা, পাখির অনুপযোগী পরিবেশ তৈরি করা—এমন নানা অভিযোগ আছে ইউক্যালিপটাস ও আকাশমণিগাছ নিয়ে। যদিও দেশের কাঠের চাহিদা মেটাতে গাছ দুটির বড় ভূমিকা আছে।
আজকের পত্রিকা
খাতুনগঞ্জের ঋণের শতভাগই খেলাপি
চতুর্থ প্রজন্মের বেসরকারি ব্যাংক ‘ইউনিয়ন ব্যাংক পিএলসি’। ২০১৩ সালে লাইসেন্স পাওয়া এই ব্যাংকের বিতরণ করা ঋণের পরিমাণ ২৭ হাজার ৭৬৭ কোটি টাকা। এই ঋণের প্রায় ৬২ শতাংশ অর্থাৎ ১৭ হাজার ২২৯ কোটি টাকাই নামে-বেনামে হাতিয়ে নিয়েছে বিতর্কিত শিল্পগ্রুপ এস আলম। ঋণের নামে লুট করা এই টাকা সবচেয়ে বেশি নেওয়া হয়েছে ব্যাংকটির চট্টগ্রামের খাতুনগঞ্জ শাখা থেকে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্যমতে, ইউনিয়ন ব্যাংকের সবচেয়ে বেশি ঋণ বিতরণ হয়েছে খাতুনগঞ্জ শাখা থেকে, যার পরিমাণ ২ হাজার ৪৫২ কোটি টাকা। এই ঋণের ৯৯ দশমিক ৩৮ শতাংশ (২ হাজার ৪৩৭ কোটি টাকা) এখন খেলাপিতে পরিণত হয়েছে।
প্রথম আলো
ঝুঁকিতে এলএনজি আমদানি, বাড়তে পারে গ্যাস–সংকট
দেশে গ্যাসের উৎপাদন টানা কমছে। তাই ভরসা বাড়ছে আমদানি করা তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাসের (এলএনজি) ওপর। বর্তমানে বিদ্যমান গ্যাসের চাহিদার ৩০ শতাংশের বেশি পূরণ করছে এলএনজি। এলএনজির দাম বাড়ছে বিশ্ববাজারে। ইরান-ইসরায়েল সংঘাতের কারণে মধ্যপ্রাচ্যে অস্থিরতা বিরাজ করছে। এতে এলএনজি আমদানি ব্যাহত হতে পারে। এটি হলে দেশে গ্যাসের সংকট বেড়ে যাবে।
বাংলাদেশ তেল, গ্যাস, খনিজ সম্পদ করপোরেশন (পেট্রোবাংলা) সূত্র বলছে, দিনে গ্যাসের চাহিদা ৩৮০ কোটি ঘনফুট। ৩০০ কোটি ঘনফুট সরবরাহ পেলে রেশনিং করে (এক খাতে কমিয়ে, আরেক খাতে বাড়ানো) পরিস্থিতি সামাল দেওয়া হয়। দিনে এখন সরবরাহ হচ্ছে ২৭০ থেকে ২৮০ কোটি ঘনফুট। ২৯০ কোটি ঘনফুট সরবরাহের পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। দেশে শিগগিরই উৎপাদন বৃদ্ধির সম্ভাবনা নেই। এর মধ্যে এলএনজি কমলে ভুগতে হবে বিদ্যুৎ, আবাসিক ও শিল্প খাতকে।
কালবেলা
নারী আসনের নির্বাচন পদ্ধতি নিয়ে অনৈক্য
আগামী সংসদ নির্বাচনে নারীদের জন্য ১০০টি আসন সংরক্ষিত রাখার বিষয়ে প্রায় সব রাজনৈতিক দল একমত পোষণ করেছে। দু-একটি দল বিপক্ষেও মতামত জানিয়েছে। তবে কোন পদ্ধতিতে নারীদের জন্য আসন সংরক্ষণ করা হবে, সেটি চূড়ান্ত হয়নি। অন্যদিকে এখনই সংরক্ষিত নারী আসনে সরাসরি ভোটের বিপক্ষে বিএনপি ও বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী। দল দুটির মতে—সংসদের সংরক্ষিত নারী আসন বৃদ্ধির বিষয়ে তাদের কোনো আপত্তি নেই। তবে এখনই নির্বাচনের মাধ্যমে সেটি কঠিন; বরং সামনে আরও অনুশীলনের মাধ্যমে সে বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া যাবে। আবার চরমোনাই পীরের দল ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ বলেছে, নারীবিষয়ক সংস্কার কমিশন ও ঐকমত্য কমিশন জাতীয় সংসদে নারীদের আসন বৃদ্ধি নিয়ে চাপাচাপি করছে। বরং বর্তমান নিয়মে ৩০০ আসনেই নারীদের প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার সুযোগ আছে। তা ছাড়া জুলাই অভ্যুত্থানে নেতৃত্ব দেওয়া ছাত্র-জনতার সমন্বয়ে গঠিত রাজনৈতিক দল জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) সংরক্ষিত নারী আসনে সরাসরি ভোট চায়।