Image description

হবিগঞ্জের নবীগঞ্জ উপজেলার আল-আমিন হাসেমিয়া দাখিল মাদ্রাসার হেফজখানায় রাব্বি মিয়া (১৪) নামে এক আবাসিক ছাত্রের ‘ঝুলন্ত’  মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। বুধবার (১৮ জুন) সকাল ৯টার দিকে হেফজখানার একটি কক্ষ থেকে তাঁর মরদেহ উদ্ধার করা হয়। তবে পরিবারের দাবি, এটি একটি পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড।

নিহত রাব্বি বাহুবল উপজেলার মিরপুর ইউনিয়নের ভুগলি গ্রামের কাউসার মিয়ার ছেলে। তার মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন নবীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ মো. কামরুজ্জামান। 

মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষ ও সহপাঠীরা জানান, রাব্বির কক্ষ থেকে কোনো সাড়া শব্দ না পেয়ে সকাল সাড়ে ৯টার দিকে দরজা খুলে তার ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পান তারা। তাকে উদ্ধার করে দ্রুত নবীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।  

রাব্বির মা বলেন, আমার ছেলে কখনো আত্মহত্যা করতে পারে না। রাব্বি খুব শান্ত ও ভদ্র ছিল। মঙ্গলবার (১৭ জুন) কথা বলতে চাইলেও কথা বলতে দেয়নি মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষ। সকালে হঠাৎ বলল, ছেলে ঝুলে আত্মহত্যা করেছে। এটা আমি মানতে পারছি না। আমার ছেলেকে হত্যা করা হয়েছে। 

নিহতের বাবা কাউসার মিয়া বলেন, আমার ছেলের মৃত্যুর জন্য মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষই দায়ী। আমরা তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা চাই। ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত ও বিচারের দাবি জানাই।

মিরপুর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান আব্দুল আউয়াল বলেন, মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষ কাউকে কিছু না জানিয়ে শিশুটির পাগড়ি খোলা ঝুলন্ত দেহ নিয়ে হাসপাতালে চলে যায়। পরে আমরা গেলে তারা ঘটনাস্থল ছেড়ে চলে যায়। এটি সন্দেহজনক।

এ বিষয়ে নবীগঞ্জ থানার ওসি শেখ মো. কামরুজ্জামান জানান, খবর পেয়ে পুলিশ দ্রুত হাসপাতালে যায়। মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য হবিগঞ্জ সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়। এখন পর্যন্ত কোনো লিখিত অভিযোগ পাওয়া যায়নি। অভিযোগ পেলে তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।