
শিক্ষার্থীদের দাবি-দাওয়া, আশা-আকাঙ্ক্ষার মূর্ত প্রতীক ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু)। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) শিক্ষার্থীদের বিপুল দাবির পরিপ্রেক্ষিতে অর্ধযুগের বেশি সময় পর অবশেষে ডাকসু নির্বাচন হতে যাচ্ছে। নির্বাচন সামনে রেখে কমিশন গঠন, আচরণবিধি প্রণয়ন ও গঠনতন্ত্র সংশোধন হতে পারে ঢাবির সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারণী ফোরাম সিন্ডিকেটের নিয়মিত সভায়। আজ সোমবার (১৬ জুন) বিকেলে বসছে এই সভা, এতে ডাকসু নির্বাচনের আয়োজনকে মূল এজেন্ডা হিসেবে রাখা হয়েছে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে।
সর্বশেষ ২০১৯ সালের ডাকসু নির্বাচনে মোট ২৫টি পদের বিপরীতে ভোট দিয়েছিলেন ভোটাররা। তবে এবার পদসংখ্যা বেড়েছে। ফলে এবার মোট ২৮টি পদের বিপরীতে লড়বেন প্রার্থীরা। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের করা গঠনতন্ত্র সংশোধন কমিটি থেকে প্রাথমিকভাবে এটির অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। তবে সিন্ডিকেটের সভায় এটি চূড়ান্ত অনুমোদন দেওয়া হবে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে।
জানা যায়, গত জানুয়ারিতে ডাকসু নির্বাচন আয়োজনের বিষয়ে পরামর্শদান, নির্বাচনের আচরণবিধি প্রণয়ন/সংশোধন এবং ডাকসু ও হল সংসদের গঠনতন্ত্র সংশোধন/পরিমার্জন করার বিষয়ে পৃথক ৩টি কমিটি গঠন করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। পরে এসব কমিটি সংশোধন/পরিমার্জনের কাজ করে তা বিশ্ববিদ্যালয়ের সর্বোচ্চ কর্তৃপক্ষের কাছে জমা দেয়।
এদিকে, গঠনতন্ত্র সংশোধন/পরিমার্জন কমিটির সুপারিশে দেখা গেছে, এবার ২৮টি পদ রাখা হয়েছে। এরমধ্যে নতুন ৪টি পদ তৈরি করা হয়েছে। আর পরিমার্জন করা হয়েছে তিনটির; এরমধ্যে দুটি আলাদা পদ থেকে একটির পদে নিয়ে আসা হয়েছে।
পরিমার্জন হচ্ছে তিনটি পদ
স্বাধীনতা সংগ্রাম ও মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সম্পাদক পদের নাম পরিবর্তন করে ‘মুক্তিযুদ্ধ ও গণতান্ত্রিক আন্দোলন সম্পাদক’ পদ রাখা হয়েছে। এছাড়া কমন রুম ও ক্যাফেটেরিয়া সম্পাদককে ‘রিডিং রুম’ যোগ করে ‘কমন রুম, রিডিং রুম এবং ক্যাফেটেরিয়া সম্পাদক’ করা হয়েছে। আগে সাহিত্য সম্পাদক এবং সংস্কৃতি সম্পাদক দুটি আলাদা পদ ছিল। এখন সেটি ‘সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক সম্পাদক’ পদ করা হয়েছে।
নতুন তৈরি হচ্ছে ৪টি পদ
বিভিন্ন ছাত্রসংগঠন ও শিক্ষার্থীদের দাবির মুখে ৪টি নতুন পদ সৃষ্টি করা হচ্ছে। এসব পদ হচ্ছে-গবেষণা ও প্রকাশনা সম্পাদক; ক্যারিয়ার উন্নয়ন সম্পাদক; স্বাস্থ্য ও পরিবেশ সম্পাদক এবং মানবাধিকার ও আইন বিষয়ক সম্পাদক।
অপরিবর্তিত পদ ২৩টি
নিয়ম অনুযায়ী, ডাকসুর সভাপতি ক্ষমতাবলে উপাচার্যই থাকেন। আর তিনি একজন অধ্যাপককে কোষাধ্যক্ষ মনোনীত করেন। ফলে এ দুটি পদে কোনো ভোটগ্রহণ হবে না।
এছাড়া নির্বাচিত পদের মধ্যে রয়েছে, সহ-সভাপতি (ভিপি), সাধারণ সম্পাদক (জিএস), সহ-সাধারণ সম্পাদক (এজিএস) তিনটি পদ, সদস্য পদ ১৩ এবং ৫টি সম্পাদক পদে কোনো পরিবর্তন আসছে না। অপরিবর্তিত ৫টি সম্পাদক পদ হলো- বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি সম্পাদক; আন্তর্জাতিক সম্পাদক; ক্রীড়া সম্পাদক; ছাত্র পরিবহন সম্পাদক এবং সমাজসেবা সম্পাদক।