
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে চাকরির বাজারে কোন ধরনের শিক্ষাগত যোগ্যতা সবচেয়ে বেশি চাহিদাসম্পন্ন? সম্প্রতি ভিজ্যুয়াল ক্যাপিটালিস্টের এক গবেষণায় উঠে এসেছে চমকপ্রদ কিছু তথ্য। কম্পিউটার সায়েন্স, স্বাস্থ্যবিজ্ঞান এবং ইঞ্জিনিয়ারিং ডিগ্রিধারীরা সেখানে সবচেয়ে বেশি চাকরি পাচ্ছেন, যখন মানবিক ও কলা বিভাগের স্নাতকদের জন্য প্রতিযোগিতা অনেক বেশি।
গবেষণায় দেখা গেছে, স্টেম (STEM) বিষয়গুলোতে ডিগ্রিধারীদের চাকরি পাওয়ার হার সবচেয়ে বেশি। তালিকার শীর্ষে রয়েছে কম্পিউটার সায়েন্স, যেখানে স্নাতকদের বেকারত্বের হার মাত্র ২.৭%। এরপরই অবস্থান করছে নার্সিং (২.৮%), ইলেকট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং (২.৯%) এবং মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং (৩.১%)। চিকিৎসা ও স্বাস্থ্যসেবা খাতের ক্রমবর্ধমান চাহিদার কারণে এই সেক্টরের ডিগ্রিগুলোও চাকরি প্রার্থীদের জন্য সোনার হরিণ হয়ে উঠেছে।
তবে সবচেয়ে চাঞ্চল্যকর তথ্য হলো, যেসব ডিগ্রি বর্তমানে সবচেয়ে কম চাহিদাসম্পন্ন সেগুলোর তালিকায় রয়েছে ভিজুয়াল ও পারফর্মিং আর্টস (৫.৭% বেকারত্ব), কমিউনিকেশন স্টাডিজ (৫.৪%) এবং মনোবিজ্ঞান (৪.৯%)। অর্থনীতিবিদরা বলছেন, প্রযুক্তি ও স্বাস্থ্যখাতের দ্রুত প্রবৃদ্ধিই এই পার্থক্যের মূল কারণ।
কর্মবাজারের এই প্রবণতা শুধু মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রেই নয়, বিশ্বের অন্যান্য দেশেও একই রকম চিত্র দেখা যাচ্ছে। বাংলাদেশের শিক্ষার্থীদের জন্যও এই গবেষণা গুরুত্বপূর্ণ ইঙ্গিত বহন করে। বিশেষজ্ঞরা পরামর্শ দিচ্ছেন, শিক্ষার্থীদের উচিত ভবিষ্যতের চাকরির বাজার বিবেচনা করে বিষয় নির্বাচন করা।
তবে শুধু ডিগ্রিই নয়, গবেষকরা বলছেন দক্ষতা উন্নয়নের ওপরও জোর দিতে হবে। তথ্যপ্রযুক্তি খাতে উদাহরণস্বরূপ, শুধু ডিগ্রিধারী নয়, যারা কোডিং ও ডিজিটাল মার্কেটিংয়ের মতো প্রায়োগিক দক্ষতা অর্জন করেছেন তারাও ভালো সুযোগ পাচ্ছেন। শেষ পর্যন্ত, এই প্রতিবেদন আমাদের মনে করিয়ে দিচ্ছে যে শিক্ষা ও দক্ষতার সমন্বয়ই পারে ভবিষ্যতের জন্য সেরা পথ দেখাতে।