
চট্টগ্রামে বেপরোয়া গতিতে চালানো একটি প্রাইভেট কারের চাকায় পিষ্ট হয়ে বাইসাইকেল আরোহী এক তরুণ মারা গেছে। গতকাল বুধবার (১১ জুন) বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে নগরীর হালিশহর থানার কে-এল ব্লক ৫ নম্বর গেটের সামনে এ ঘটনা ঘটে। নিহত তরুণের নাম ওসমান গণি সাকিব (১৯)। বাড়ি বান্দরবান জেলার নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলায়। চট্টগ্রামে তিনি পরিবারের সঙ্গে হালিশহর কে-ব্লক এলাকার ৬ নম্বর রোডে ১৩ নম্বর বাড়িতে থাকতেন।
ঘটনার পর স্থানীয়রা প্রাইভেট কারের চালকের আসনে থাকা ১৯ বছর বয়সী তরুণ তানিম হোসেন রাব্বিকে মারধর করে পুলিশের হাতে তুলে দিয়েছে। তিনি নগরের হালিশহরের এল-ব্লক এলাকার ১ নম্বর রোডে ৪ নম্বর বাসার ব্যবসায়ী এরশাদ হোসেনের ছেলে।
হালিশহর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মনিরুজ্জামান জানান, সড়কে দ্রুত ও বেপরোয়া গতিতে চলা একটি সাদা রঙের প্রাইভেট কার (রেজি. নম্বর-চট্ট মেট্রো-গ-১৪-২৮৫৬) প্রথমে বাইসাইকেলটিকে পেছন থেকে সজোরে ধাক্কা দিলে ভিকটিম ওসমান গণি রাস্তায় পড়ে যায়। ওই সময় প্রাইভেট কারের চাকা ওসমানের মাথার ওপর দিয়ে গেলে ঘটনাস্থলে সে মারা যায়। এ ঘটনায় মামলা হয়েছে।
পুলিশ জানায়, তানিম হোসেন চট্টগ্রাম সরকারি কমার্স কলেজের এইচএসসি দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র। তাঁর ড্রাইভিং লাইসেন্স নেই। ঈদের কারণে সড়ক কিছুটা ফাঁকা। এ সুযোগে ছেলে বাবার গাড়ি নিয়ে বের হয়েছিলেন।
দুর্ঘটনার পর স্থানীয় লোকজন প্রাইভেট কারের চালক তানিমকে আটক করে পিটুনি দেয়। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে তাকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে। সেই সঙ্গে পুলিশ প্রাইভেট কারটি জব্দ করেছে।
থানায় মামলাটি দায়ের করেছেন ভিকটিম ওসমান গনি সাকিবের মামা আবুল কাশেম। ওই মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয় তানিম হোসেন রাব্বিকে (১৯)।
এ বিষয়ে হালিশহর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মনিরুজ্জামান জানান, গাড়িটির কাগজপত্র আপডেট পাওয়া যায়নি। চালকের কোনো ড্রাইভিং লাইসেন্স নেই। গাড়ি জব্দ করা হয়েছে। চালককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। মামলা হয়েছে। ভিকটিমের লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।