
ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমারকে ইঙ্গিত করে সামাজিকমাধ্যম ফেসবুকে একটি পোস্ট করেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের স্থানীয় সরকার এবং যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া। তিনি লিখেছেন, টাকা ফেরত চাইলে কাউকেই খুঁজে পাওয়া যায় না— এ বিষয়ে বন্ধুবান্ধব আর সরকারপ্রধানের মধ্যে কোনো পার্থক্য নেই।
প্রসঙ্গত, যুক্তরাজ্যে সফররত প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূসের সঙ্গে সাক্ষাতের অনুরোধে সাড়া দেননি যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমার। ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আমলে পাচার হওয়া কয়েক বিলিয়ন ডলার উদ্ধারের প্রচেষ্টায় সমর্থন আদায়ের লক্ষ্যে লন্ডনে এ সফর করছেন প্রধান উপদেষ্টা।
অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস যুক্তরাজ্যভিত্তিক সংবাদমাধ্যম ফিন্যান্সিয়াল টাইমসকে বলেছেন, বিগত শাসনামলে ‘চুরি’ হওয়া অর্থ খুঁজে বের করতে বাংলাদেশের নতুন সরকারকে সহায়তা করার বিষয়ে যুক্তরাজ্যের নৈতিকভাবে বাধ্যবাধকতা উপলব্ধি করা উচিত। চুরি হওয়া ওই অর্থের একটি বড় অংশ বর্তমানে যুক্তরাজ্যে আছে বলে অভিযোগ রয়েছে।
স্টারমার অবশ্য এখনো তার সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে রাজি হননি বলে জানিয়েছেন অধ্যাপক ইউনূস। তিনি বলেন, তার সঙ্গে আমার সরাসরি কথা হয়নি।
বৃহস্পতিবার বিকাল সাড়ে পাঁচটায় দেওয়া স্ট্যাটাসটি মুহূর্তেই ভাইরাল হয়। অনেকে মন্তব্য করেছেন তার পোস্টের কমেন্টবক্সে। শেখ ফাহিম ফয়সাল নামে একজন লিখেছেন, তাও ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী।
আবুল কাশেম অভি লেখেন, আর এটাকেও কিছু কিছু দলের মানুষ ক্রেডিট মনে করছে। আহাম্মক বলে যা হয় আর কি!
এদিকে যুক্তরাজ্যে বাংলাদেশের সাবেক ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরীর সম্পদ জব্দ করেছে দেশটির ন্যাশনাল ক্রাইম এজেন্সি (এনসিএ)। বাংলাদেশি কর্তৃপক্ষের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে সাইফুজ্জামানের বিরুদ্ধে এ পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।
যুক্তরাজ্যের ন্যাশনাল ক্রাইম এজেন্সি গুরুতর ও সংঘবদ্ধ অপরাধ দমনে কাজ করে। মঙ্গলবার রাতে আল-জাজিরার অনুসন্ধানী শাখাকে (আই-ইউনিট) দেওয়া এক বিবৃতিতে সাইফুজ্জামানের সম্পদ জব্দের আদেশ পাওয়ার তথ্য জানিয়েছে তারা।
লন্ডনের ৯টি সম্পদ জব্দের আদেশ পাওয়ার কথা জানিয়েছে এনসিএ। এসব সম্পদের অর্থমূল্য প্রায় ৯ কোটি পাউন্ড (১৬৪ টাকা ধরে যা প্রায় ১ হাজার ৪৭৯ কোটি ৩৮ লাখ টাকা)।
গত বছর আল–জাজিরার এক প্রামাণ্যচিত্রে বলা হয়েছিল, ৫৬ বছর বয়সি সাইফুজ্জামান যুক্তরাজ্যে ৩৫০টির বেশি সম্পদের (বাড়ি ও ফ্ল্যাট) মালিক। এর মধ্যে ঠিক কতগুলোর বিষয়ে এনসিএ পদক্ষেপ নিচ্ছে, তা এখনো স্পষ্ট নয়। তবে আই-ইউনিট এতটুকু জানাতে পারছে যে, লন্ডনের সেন্ট জনস উডে সাইফুজ্জামানের বিলাসবহুল বাড়িটি জব্দের তালিকায় রয়েছে।