Image description
 

অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনূস ছাগল দিয়ে হালচাষ করার চেষ্টা করছেন বলে মন্তব্য করেছেন প্রবাসী সাংবাদিক ও অ্যাক্টিভিস্ট ড. কনক সরওয়ার।

এ প্রসঙ্গে তিনি বলেছেন, গত ১০ মাসে ড. ইউনূস যেভাবে সরকার চালাচ্ছেন সেটি কোনোভাবেই আমার পছন্দ হয়নি, হচ্ছে না। এটা আমি বিভিন্ন সময় বলেছি। আমি বলেছি, তার উপদেষ্টা পরিষদ থেকে কমপক্ষে ১৫ জনকে ঘাড় ধরে বের করে দিতে। আমি বলেছি, ড. ইউনূস ছাগল দিয়ে হালচাষ করার চেষ্টা করছেন।

রবিবার নিজের ইউটিউব চ্যানেলে এক ভিডিওতে তিনি এসব কথা বলেন।

কনক সরওয়ার বলেন, এই ধারা যদি আগামী কিছুদিনের মধ্যে পরিবর্তন হতে না দেখি, যদি দেখি তিনি সেই ঢিমেতালেই চলছেন, এইসব উপদেষ্টাদের নিয়েই কাজ করছেন যারা উপদেষ্টা পরিষদের ভেতরে থেকে নানা রকমের বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি সৃষ্টির চেষ্টা করছেন; ড. ইউনূস যদি তাদের লালন-পোষণ করেন, তাদের নিয়েই কাজ করতে চান, তবে আমার ডাইরেকশনে পরিবর্তন আসবে। কারণ ব্যক্তি ড. ইউনূস আর উপদেষ্টা ড. ইউনূসের মধ্যে পার্থক্য আছে।

তিনি বলেন, গত ঈদের তুলনায় এবার ঈদুল আজহার নামাজের পরবর্তী জনগণের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময়ে নিরাপত্তার আমূল পরিবর্তন হয়েছে। এবার ড. ইউনূসকে ঘিরে তিন স্তরের নিরাপত্তা বেষ্টনী দেওয়া হয়েছে। এ কারণে আমি ধন্যবাদ জানাতে চাই স্পেশাল সিকিউরিটি ফোর্স (এসএসএফ) এবং প্রেসিডেন্ট গার্ড রেজিমেন্টের (পিজিআরকে) সদস্যদের।

তিনি আরও বলেন, ড. ইউনূস বাংলাদেশে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একজন মানুষ। বাংলাদেশে আমরা আসলে সরকার পরিবর্তন চাই না, আমরা চাই সিস্টেমের পরিবর্তন। যেই সিস্টেমের পরিবর্তনের জন্য গত জুলাইতে আমাদের ছাত্র জনতা অকাতরে জীবন দিয়েছে, আহত হয়েছে, পঙ্গু হয়েছে। এখনো আহত ছাত্র-জনতা হাসপাতালে কাতরাচ্ছে। তাদের আহাজারি এখনো থামেনি, রক্তের দাগ এখনো শুকায়নি। কিন্তু এখনই বাংলাদেশের যে পুরাতন রাজনীতি সেই রাজনীতির অনেক খেলা আমাদের সামনে আসছে। একজন সাধারণ মানুষ ড. ইউনূসকে বলছিলেন, দালালদের কথা শুনবেন না স্যার, পাঁচ বছর আপনাকে চাই।

এই সাংবাদিক বলেন, তো পাঁচ বছর চাওয়া বা না চাওয়ার বিষয় আমার কাছে নেই। আমি কোনোভাবেই অনির্বাচিত সরকারকে পাঁচ বছর চাই না। আমি চাই একটু গুণগত পরিবর্তনের পরেই নির্বাচন হোক। ইতোমধ্যে ড. ইউনূস দুইদিন আগে জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে ২০২৬ সালের এপ্রিল মাসে নির্বাচনের একটি সম্ভাব্য সময় ঘোষণা করেছেন। সেটি নিয়েও নানা আলোচনা-সমালোচনা চলছে। বিএনপি ইতোমধ্যে প্রত্যাখ্যান করেছে। জামায়াত-এনসিপি স্বাগত জানিয়েছে। একটি জটিল পরিস্থিতির দিকে আমার বাংলাদেশ যাচ্ছে। 

কনক সরওয়ার বলেন, ডিসেম্বর থেকে জুন, জুন থেকে নির্বাচন এসেছে এপ্রিলে। সেটি মানছে না প্রধান দল বিএনপি। অনেক রকমের বক্তব্য আসছে। প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূস নাকি তার ভব্যতার সীমা অতিক্রম করে গেছেন। আমি অবশ্য বুঝতে পারছি না ভব্যতার সীমা কোনটা, কোন সীমার কথা বলছেন। তো সেই পুরাতন রাজনীতির মারপ্যাঁচ আবার শুরু হয়েছে। জানি না সামনে কী হবে। তবে আপাত দৃষ্টিতে আমরা যা দেখছি সেটি শেষ দেখা নয়। পর্দার অন্তরালে এখনো অনেক কিছুই বাকি আছে। সে বিষয়টি যদি রাজনৈতিক দলগুলো বোঝে তবে তাতে দেশেরই কল্যাণ হবে। আর যদি না বোঝে তবে কারোরই কিছু করার থাকবে না। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাবে। কারণ সুযোগ সন্ধানের অপেক্ষায় আছে পলাতক আওয়ামী লীগ। পলাতক হাসিনার নির্দেশনায় এবং তাদের যে পরিমাণ অবৈধ অর্থ তারা পাচার করে বিভিন্ন জায়গায় সঞ্চয় করে রেখেছে, সেই টাকা তারা অকাতরে সঞ্চয় করে রেখেছে। 

বিডি প্রতিদিন