
আজ ৮ জুন (রবিবার)। বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) মেধাবী ছাত্রী সাবেকুন নাহার সনির ২৩তম মৃত্যুবার্ষিকী। ২০০২ সালের এই দিনে টেন্ডারবাজিকে কেন্দ্র করে ছাত্রদলের দুই গ্রুপের গোলাগুলির মধ্যে পড়ে বুয়েটের কেমিকৌশল বিভাগের ৯৯তম ব্যাচের মেধাবী এই ছাত্রী নিহত হন। প্রতিবার তার মৃত্যুবার্ষিকীতে উপলক্ষে বিভিন্ন সামাজিক ও ছাত্রসংগঠন কর্মসূচি পালন করলেও এবার পবিত্র ঈদ উল আযহার ছুটিতে তেমন কোনো কর্মসূচি দেখা যায়নি।
জানা যায়, ২০০২ সালের ৮ জুন বুয়েট ছাত্রদলের তৎকালীন সভাপতি মোকাম্মেল হায়াত খান এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) সলিমুল্লাহ মুসলিম (এসএম) হলের তৎকালীন ছাত্রদল নেতা মুশফিক উদ্দিন টগর গ্রুপের সংঘর্ষের মধ্যে পড়ে নিহত হন সনি। টেন্ডার নিয়ে ওই সংঘর্ষ হয়। দ্বিতীয় বর্ষের এই ছাত্রী সেদিন ক্লাস শেষে বুয়েটের হলে ফিরছিলেন। গুলিবিদ্ধ হয়ে তার নিহত হওয়ার পর সারা দেশে আন্দোলন হয়।
ঢাকার বিচারিক আদালতে সনি হত্যা মামলার রায় ঘোষণা করা হয় ২০০৩ সালের ২৯ জুন। রায়ে ছাত্রদলের নেতা মুশফিক উদ্দিন টগর, মোকাম্মেল হায়াত খান ওরফে মুকিত ও নুরুল ইসলাম ওরফে সাগরকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়। এ ছাড়া পাঁচজনকে দেওয়া হয় যাবজ্জীবন কারাদণ্ড।
পরে ২০০৬ সালের ১০ মার্চ মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত তিনজনের সাজা কমিয়ে তাদেরও যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেন উচ্চ আদালত। পাশাপাশি যাবজ্জীবন দণ্ড পাওয়া পাঁচ আসামির মধ্যে দুজনকে খালাসও দেওয়া হয়। ওই হত্যাকাণ্ডে দণ্ডিত ছয় আসামির মধ্যে চারজন কারাগারে আছেন। মোকাম্মেল ও নুরুল এখনও পলাতক। আরেক আসামি মুশফিক উদ্দিন টগর কারাভোগের পর বর্তমানে মুক্ত হয়েছেন।
২৩ বছর পরও আলোচিত ওই হত্যা মামলার প্রধান দুই আসামি পলাতক। মেয়ের হত্যাকারীদের বিচার না হওয়ার আক্ষেপ নিয়েই ২০২৩ সালের ১১ ফেব্রুয়ারি মারা যান সনির বাবা হাবিবুর রহমান ভূঁইয়া। তিনি ব্লাড ক্যান্সারে ভুগছিলেন।