
মুসলিম সম্প্রদায়ের দ্বিতীয় সর্ববৃহৎ ধর্মীয় উৎসব পবিত্র ঈদুল আজহা উদযাপনে ঢাকা ছেড়েছে কয়েক লাখ মানুষ। এতে পুরোপুরি ফাঁকা রাজধানীর ঢাকার প্রধান সড়ক, অলিগলি। নেই যানজট, নেই যানবাহনের বিকট শব্দ, নেই পথচারীদের তাড়াহুড়ো কিংবা কর্মজীবী মানুষের ছুটে চলা। যান্ত্রিক কোলাহলে ঠাসা নগরী এখন যেন শুধুই নীরবতা পালনে ব্যস্ত।
শনিবার সকাল সাতটায় প্রথম ঈদুল আজহার জামাত অনুষ্ঠিত হয়। এরপর শুরু হয় পশু কোরবানি। চলছে পশু কাটাকাটির কাজ। সকাল থেকে প্রধান সড়কে কোনো পরিবহন না থাকলেও বেলা বাড়লে কিছু সংখ্যক বাস, ব্যক্তিগত গাড়ি, সিএনজি ও অটোরিকশা, রিকশা চলাচল করতে দেখা গেছে। তবে তাতে যাত্রী একেবারে কম। জবাই করা পশুর মাংস স্বজন ও শুভাকাঙ্খীদের পৌঁছে দিতে অনেকে বেরিয়েছেন।
সরেজমিন দেখা গেছে, সকালে সড়কে গাড়ির সংখ্যা ছিল না বললেই চলে। চাপ নেই প্রধান প্রধান সড়কে। অলিগলিতেও গাড়ির চলাচল কম। যার ফলে ঝামেলা ছাড়াই লোকজন স্বাচ্ছন্দ্যে গন্তব্যে যেতে পারছেন।
তবে সড়কে যানবাহনের সংখ্যা কিছুটা কম। এমন ফাঁকা ঢাকায় ঈদের প্রশান্তিও নগরবাসীর কাছে অন্যরকম এক অনুভূতি। একইসঙ্গে প্রধান সড়কগুলো আইনশৃঙ্খলাবাহিনীর সদস্যদের উপস্থিতি দেখা গেছে।
ঈদের ছুটিতে পরিবার-পরিজনের সঙ্গে আনন্দ ভাগাভাগি করতে ঢাকা ছেড়ে বহু মানুষ। এবারের ঈদ যাত্রা ছিল ভোগান্তির। গন্তব্যের পথে দীর্ঘসময় চলে গেছে বাড়ি ফেরা মানুষের।
ফার্মগেট থেকে কথা হয় বাসযাত্রী কবির ভূঁইয়ার সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘বাসস্ট্যান্ড এসেই বাস পেয়েছি। বাস একদম ফাঁকা। গাবতলী যাবো আত্মীয়র বাড়িতে মাংস দিতে।’
ভাড়া প্রসঙ্গে এই যাত্রী বলেন, ভাড়া আগেরটা আছে। তবে ঈদের দিন তাই দশটাকা বকশিস চেয়েছে।
ইকবাল করিম নামের আরেক যাত্রী বলেন, ‘বোনের বাসায় যাচ্ছি। গাড়ি না পেয়ে গুলশান থেকে মহাখালী টিবি গেট পর্যন্ত হেঁটে এসেছি। টিবি গেট পর্যন্ত হেঁটে এসে গাড়ি পেলাম।’
আলিফ পরিবহনের চালকের সহকারী বলেন, ‘নামাজ পড়ে গাড়ি নিয়ে বের হয়েছি। রাস্তায় তেমন যাত্রী নেই। সব ফাঁকা। সবাই এখন পশু কোরবানি নিয়ে ব্যস্ত। বিকেলের পর যাত্রীর সংখ্যা বাড়বে।’
নির্বাহী আদেশে দু’দিন ছুটির ফলে ঈদুল আজহায় সবমিলিয়ে টানা এ ১০ দিনের ছুটি পেয়েছেন সরকারি চাকরিজীবীরা।
(ঢাকাটাইমস