
বাড়িতে চলছে আনন্দ-উল্লাসে। বাদক দল ঢাকঢোল বাজাচ্ছে। ট্রাকে উঠে ছেলেমেয়েরা আনন্দ উল্লাস করছে। এলাকার মা-বোনেরা রাস্তার দুপাশে দাঁড়িয়ে। এটি কোনো উৎসবের আনন্দ নয়। এটি এক কৃষকের স্বপ্ন।
পটুয়াখালীর মির্জাগঞ্জের কৃষক সোহাগ মৃধা তার প্রিয় ষাঁড় কালোমানিকটি উপহার দিতে চান বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে। বৃহস্পতিবার সকালে সড়ক পথে ষাঁড়টি নিয়ে তিনি ঢাকায় রওনা দিয়ে গেছেন। সঙ্গে রয়েছে সাজসজ্জা করা তিনটি ট্রাক, বাদকদলসহ শতাধিক বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মী ।
সোহাগ মৃধা উত্তর ঝাটিবুনিয়া গ্রামের বাসিন্দা এবং আমড়াগাছিয়া ইউনিয়ন বিএনপির কর্মী।
তবে ষাঁড়টি দেশনেত্রী খালেদা জিয়া উপহার হিসেবে গ্রহণ করবেন কিনা এখনো জানেন না তিনি। তবু বিএনপিকে ভালোবেসে নেত্রীর জন্য ষাঁড়টি নিয়ে তিনি ঢাকায় গেছেন।
সোহাগ মৃধা ছয় বছর আগে স্থানীয় চৈতা বাজার থেকে একটি ফ্রিজিয়ান জাতের গাভী কেনেন। সেই গাভীর বাচ্চা এই কালোমানিক। আদর-যত্নে বড় হওয়া এই ষাঁড়ের ওজন এখন ৩৫ মণ। দৈর্ঘ্য ১০ ফুট, উচ্চতা ৫ ফুট ৪ ইঞ্চি।
সোহাগ বলেন, আমি বিএনপির সাধারণ কর্মী। মনেপ্রাণে দলকে ভালোবাসি। ২০২৩ সালে আমার মনে আশা জাগে— প্রিয় নেত্রীকে আমার প্রিয় কালোমানিকটি উপহার দেবো। ঈদুল আজহা উপলক্ষে ষাঁড়টি প্রিয় নেত্রীকে উপহার দেয়ার জন্য ঢাকায় রওনা করেছি।
এ কাজে তিনটি মিনি ট্রাক ভাড়া করেছেন তিনি ৬০ হাজার টাকায়। সঙ্গে রয়েছে বাদক দল, সাউন্ড সিস্টেম এবং স্থানীয় লোকজন ও বিএনপির নেতাকর্মীরা। তাদের জন্য রয়েছে একরঙা ক্যাপ, বিশেষ গেঞ্জি ও ধানের শীষ প্রতীকের ব্যানার।
আমড়াগাছিয়া ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি মো. রফিকুল ইসলাম বলেন, সোহাগ দলের একজন একনিষ্ঠ কর্মী। তিনি ঈদুল আজহা উপলক্ষে উপহার হিসেবে ষাঁড়টি নেত্রীকে দিতে চান। ২০২৩ সালে বিএনপির মহাসমাবেশে অংশগ্রহণের পর থেকেই তার মনে এই ইচ্ছা জাগে। সোহাগের সঙ্গে আমিও ষাঁড়টি নিয়ে ঢাকায় রওনা দিয়েছি। ঢাকায় বিএনপির সমর্থক কয়েকজন আইনজীবীর সঙ্গে আমাদের কথা হয়েছে। তাদের নিয়ে প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করে ষাঁড়টি নেত্রীকে উপহার দেবো। নেত্রী যেন কৃষকের এ স্বপ্নটি পূরণ করেন, এটিই আমাদের দাবি।