Image description

দীর্ঘ প্রতীক্ষার পর জ্বালানি উপদেষ্টার হস্তক্ষেপে গ্যাস সংযোগের সুবিধা পেতে যাচ্ছে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের নবনির্মিত ৬টি আবাসিক হলের প্রায় ৬ হাজার শিক্ষার্থী। চলমান ‘অধিকতর উন্নয়ন’ শীর্ষক প্রকল্পের আওতায় নির্মিত এ হলগুলোর ডাইনিং ও ক্যান্টিনে গ্যাস সংযোগের বিষয়টি গ্যাস সংযোগ, বিপণন ও বিতরণ  সংক্রান্ত প্রতিষ্ঠান তিতাসের বোর্ডে অনুমোদন হয়েছে। এর আগে গত ১৯ মে বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের ৪৮তম ব্যাচের  শিক্ষার্থী মেহেদী মামুন সংশ্লিষ্ট উপদেষ্টাকে গ্যাস সংযোগ চেয়ে স্মারকলিপি দেন।

৪ মে বিকেলে অনুমোদনের বিষয়টি নিশ্চিত করেন তিতাস আঞ্চলিক বিপণন অফিসের (সাভার) ব্যবস্থাপক প্রকৌশলী তৌফিক এলাহী সবুজ। 

তৌফিক এলাহী বলেন, ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশে সম্প্রতি আমরা জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সংশ্লিষ্ট হলসমূহের ডাইনিং ও ক্যান্টিনের জন্য গ্যাস সংযোগের নিমিত্তে সার্ভে করেছি। এরপর গত ২৮ মে অনুষ্ঠিত ৮৭৫ তম বোর্ডে তা পাঠানো হয়। বোর্ড অনুমোদন করায় আজকে আমরা মঞ্জুরীপত্র বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-প্রকৌশলী ও মিটারের গ্রাহক বরাবর পাঠিয়েছি। তারা এটা স্বাক্ষর করে পাঠালে চাহিদাপত্র দেওয়া হবে। এরপর বাকি প্রক্রিয়া সম্পন্ন হলে গ্যাস সংযোগের ভৌত কার্যক্রম শুরু হবে। 
তিনি আরও বলেন, এটি আমাদের প্রাধিকারের মধ্যে আছে। সবার সহযোগিতা পেলে দ্রুত কাজ করা যাবে। 
তিতাস সাভার শাখার উপ-মহাব্যবস্থাপক পদমর্যাদার একজন কর্মকর্তা নাম না প্রকাশের শর্তে বলেন, ‘বাকি কাজের মধ্যে ৯০ শতাংশ বিশ্ববিদ্যালয়ের আর ১০ শতাংশ তিতাসের।'

বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রকৌশল অফিসের অতিরিক্ত দায়িত্বে থাকা বিশ্ববিদ্যাললেয় উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক সোহেল আহমেদ বলেন, এটি আমাদের জন্য আনন্দের সংবাদ। কয়েকমাস আগে উপাচার্য মহোদয় বিষয়টি দেখতে বলেন। পরে প্রকল্প অফিসের মাধ্যমে আমরা একটি চিঠি পাঠাই গত ফেব্রুয়ারিতে। সম্প্রতি মেহেদী মামুন নামে আমাদের এক শিক্ষার্থী মাননীয় জ্বালানি উপদেষ্টা বরাবর স্মারকলিপি দেয়। ওই শিক্ষার্থীর স্মারকলিপির প্রেক্ষিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য মহোদয়ও একটি চিঠি দেন। আমি মাননীয় উপদেষ্টা ও মাননীয় উপাচার্যের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি। একইসাথে মেহেদী মামুনসহ যেসকল শিক্ষার্থী বিভিন্ন সময় দাবি দাওয়া জানিয়েছে তাদেরকে অনেক ধন্যবাদ।

বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের শিক্ষার্থী মেহেদী মামুন বলেন, আজকে আমাদের জন্য নিঃসন্দেহে খুশির দিন। এর জন্য মাননীয় উপদেষ্টা জনাব ফাউজুল কবির খানের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি। উপাচার্য অধ্যাপক  কামরুল আহসান স্যার, প্রকৌশল অফিসের অতিরিক্ত দায়িত্বে থাকা অধ্যাপক সোহেল আহমেদ স্যারসহ যেসব শিক্ষার্থী এ দাবিতে সোচ্চার ছিলেন তাদের সকলের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি। 

গ্যাস সংযোগ নিয়ে উপদেষ্টাকে স্মারকলিপি দেওয়ার কারণ জানিয়ে তিনি আরও বলেন, নবনির্মিত ৪টি হল চালুর প্রায় ২ বছরের মত হয়ে গেছে। বাকি ২টি ৬ মাস আগে উদ্ধোধন হলেও গ্যাস সংযোগের অভাবে ডাইনিং চালু করা যায়নি। শুরু থেকে অনেকেই এ নিয়ে গণস্বাক্ষর সংগ্রহ, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের সাথে মত-বিনিময় ও স্মারকলিপি প্রদান করেছে। এমনকি গত ফেব্রুয়ারি মাসে প্রকল্প অফিস থেকে চিঠি পাঠালেও দৃশ্যমান কাজ হয়নি। তাই মাননীয় উপদেষ্টাকে ব্যক্তিগতভাবে ও উপাচার্যের মাধ্যমে দাবি জানিয়েছি।