
ঝিনাইদহের কালীগঞ্জে বিএনপির দুপক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনায় আহত আরও এক ব্যক্তি মারা গেছেন। আজ বুধবার ভোরে যশোর ২৫০ শয্যা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান। ঘটনার পর থেকে পুলিশ এখন পর্যন্ত ৮ জনকে আটক করেছে বলে জানা গেছে।
নিহত ব্যক্তির নাম ইউনুচ আলী (৬৩)। এর আগে গত রোববার সংঘর্ষের দিন নিহত হন মোহাব্বত আলী (৬০)। তারা আপন ভাই এবং নাকোবাড়িয়া গ্রামের হবিবার রহমানের ছেলে। মোহাব্বত আলী বিএনপির কর্মী ছিলেন।
ইউনুচের মৃত্যুর খবরে এলাকায় উত্তেজনা দেখা দিয়েছে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে পুলিশ ও সেনাবাহিনীর যৌথ টিম টহল জোরদার করেছে।
ঝিনাইদহের কালীগঞ্জের জামাল ইউনিয়নের নাকোবাড়িয়া ও তালিয়ান গ্রামে গত রোববার ভোর থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত দফায় দফায় বিএনপির দুই পক্ষের সংঘর্ষ হয়। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন পাঁচজন। খবর পেয়ে থানার পুলিশ ও সেনাবাহিনী ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি শান্ত করে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, এলাকায় আধিপত্য বিস্তার নিয়ে নাকোবাড়িয়া ও তালিয়ান গ্রামে বিএনপির দুটি পক্ষের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে দ্বন্দ্ব চলে আসছিল। সর্বশেষ একটি পক্ষ শনিবার সকালে লাঠিসোঁটা অস্ত্র নিয়ে তালিয়ান ও নাকোবাড়িয়া এলাকায় মহড়া দেয়, যার একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে এলাকায় উত্তেজনা বাড়তে থাকে। এর জের ধরে রোববার ভোর থেকে এক পক্ষ অপর পক্ষের ওপর হামলা চালায়। এরপর দুই পক্ষ সংঘর্ষে জড়ালে বেশ কয়েকটি বাড়িঘর ভাঙচুর ও লুটপাট করা হয়।
এ ঘটনায় মঙ্গলবার কালীগঞ্জ থানায় হত্যা মামলা হয়েছে। নিহত মোহাব্বত আলীর ছেলে ইনামুল হক বাদী হয়ে ৫৮ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতপরিচয় আরও ৩০-৪০ জনকে আসামি করেন।
কালীগঞ্জ থানার ওসি শহিদুল ইসলাম হাওলাদার জানান, মারামারিতে এ পর্যন্ত দু’জন মারা গেছেন। হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় একটি এজাহার হয়েছে। ঘটনার পর থেকে এখন পর্যন্ত ৮ জনকে আটক করা হয়েছে।