Image description
 

পটুয়াখালী-মির্জাগঞ্জ রুটের পায়রাকুঞ্জ ফেরিঘাট এলাকা থেকে মো. সোহাগ (৪২) নামে এক অপহৃত ব্যবসায়ীকে উদ্ধার করা হয়। এ সময় তার হাত-পা, চোখ-মুখসহ পুরো শরীর রশি দিয়ে বাঁধা ছিল ও গায়ের শার্ট ছিল রক্তে ভেজা।

সোমবার দুপুর ২টার দিকে স্থানীয়দের দেওয়া খবরে পটুয়াখালী থেকে পুলিশের একটি টিম পায়রাকুঞ্জ এলাকায় গিয়ে তাকে উদ্ধার করে। পরে গুরুতর আহত অবস্থায় পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয় এবং সন্ধ্যায় হেলিকপ্টারে ঢাকায় নিয়ে আসেন তার স্ত্রী।

উদ্ধারকৃত সোহাগ পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় জানান, রোববার রাতে অফিস থেকে বাসায় ফেরার পথে তুলারাম কলেজের সামনে থেকে কিছু লোক আমার গাড়িতে জোর করে ওঠে। এরপর আমাকে চোখ-মুখ বেঁধে মারধর করে এবং বিভিন্ন স্থানে ঘোরানোর পর সোমবার ভোররাতে পটুয়াখালীর পায়রাকুঞ্জ ফেরিঘাট এলাকায় ফেলে যায়।

তিনি আরও জানান, জ্ঞান ফিরে দেখি আমি গাড়ির ভেতর রশি দিয়ে বাঁধা অবস্থায় পড়ে আছি। হাত ইশারার মাধ্যমে সাহায্য চাইলে এক যুবক স্থানীয়দের সহযোগিতায় আমাকে উদ্ধার করে পুলিশে খবর দেন।

পটুয়াখালীর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ ও প্রশাসন) মোহাম্মদ সাজেদুল ইসলাম সজল জানান, উদ্ধারকৃত ব্যক্তি নিজেকে একটি কোম্পানির ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) এবং নারায়ণগঞ্জের নিউ চাষাঢ়া এলাকার ৮৯ নম্বর জামতলা এলাকার বাসিন্দা বলে পরিচয় দিয়েছেন। অপহৃত ব্যবসায়ীর ভাষ্যমতে, রোববার রাতে নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লা থানার তুলারাম কলেজের সামনে থেকে অজ্ঞাত দুর্বৃত্তরা তাকে অপহরণ করে। এরপর হাত-পা বেঁধে রাজধানীর বিভিন্ন জায়গায় ঘোরানোর পাশাপাশি শারীরিক নির্যাতন করে।

 

অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আরও বলেন, ওই ব্যবসায়ীর শারীরিক অবস্থা গুরুতর হওয়ায় বেশি জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়নি। পরে তার স্ত্রী তানিয়া আহমেদ হেলিকপ্টারে পটুয়াখালীতে পৌঁছান এবং একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করার পর তাকে নিজের জিম্মায় নিয়ে ঢাকায় রওনা দেন।