
চাঁদাবাজদের ধরতে বিশেষ কৌশল নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন র্যাব-৫, রাজশাহীর অধিনায়ক লে. কর্নেল মোহাম্মদ মাসুদ পারভেজ। তিনি বলেছেন, চিহ্নিত চাঁদাবাজদের বিরুদ্ধে বছরব্যাপী অভিযোগ তো আছেই, এর পাশাপাশি আসন্ন ঈদের আগে তাদের ধরতে বিশেষ কৌশল নেওয়া হয়েছে। তবে এখনই সেই কৌশল আমরা জানাচ্ছি না।
রোববার বেলা ১১টায় রাজশাহীর সবচেয়ে বড় পশুর হাট সিটিহাটে সাংবাদিকদের প্রেস ব্রিফিংয়ে তিনি এ কথা জানান।
লে. কর্নেল মোহাম্মদ মাসুদ পারভেজ বলেন, রাজশাহী, নাটোর, নওগাঁ, চাঁপাইনবাবগঞ্জ ও জয়পুরহাটে বড় বড় কুরবানির পশুর হাট আছে। তাই এসব এলাকায় র্যাবের বিশেষ নিরাপত্তা নেওয়া হয়েছে। বিশেষ করে মহাসড়কে যেন কোনোরকম চাঁদাবাজি না হয় তার জন্য র্যাবের চেকপোস্ট বসানো হয়েছে। গভীর রাতে র্যাবের তৎপরতা আরও বাড়ানো হয়েছে।
র্যাব অধিনায়ক বলেন, কোনো ধরনের চাঁদাবাজি, ডাকাতি, ছিনতাই, পশুর হাটে পশু তোলা নিয়ে জোর-জুলুম যেন না করা হয়, তার জন্য বড় বড় হাটগুলোতে র্যাবের কন্ট্রোল রুম স্থাপন করা হয়েছে। কন্ট্রোল রুমের পাশেই স্থাপন করা হয়েছে প্রাথমিক চিকিৎসা কেন্দ্র। এখান থেকে হাটে আসা ক্রেতা-বিক্রেতারা গরমে অসুস্থ বোধ করলে সহজেই চিকিৎসা নিতে পারবেন। জটিল পরিস্থিতি তৈরি হলে র্যাবের অ্যাম্বুলেন্সে তাদের হাসপাতালে নেওয়া হবে।
তিনি জানান, জাল টাকা শনাক্তকরণের জন্য হাটে মেশিন রাখা হয়েছে। র্যাবের গোয়েন্দা নজরদারিও চলছে। ঈদপরবর্তী সময় পর্যন্ত এ ব্যবস্থা অব্যাহত থাকবে। ঈদের আগে হাটে আসা ক্রেতা বিক্রেতাসহ সবাই নির্বিঘ্নে পশু কেনাবেচা করতে পারবেন বলে তারা আশা করছেন।
উল্লেখ্য, এক সপ্তাহের বৈরী আবহাওয়ার পর রোববার থেকে জমে উঠেছে রাজশাহীর সিটিহাট। এখন থেকে ঈদের আগের দিন পর্যন্ত প্রতিদিনই কোরবানির পশু কেনাবেচা হবে এখানে।