Image description

জুলাই গণঅভ্যুত্থান চলাকালে মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে দায়ের করা মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে আইসিটি রেজিস্ট্রারের কাছে আনুষ্ঠানিক অভিযোগপত্র জমা দিয়েছে প্রসিকিউশন। এতে শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে সাড়ে আট হাজার পৃষ্ঠার অভিযোগপত্র আইসিটিতে জমা দেওয়া হয়েছে। তার বিরুদ্ধে মোট পাঁচটি অভিযোগ আনা হয়েছে। আজ রবিবার (১ জুন) এই অভিযোগপত্র জমা দেওয়া হয়েছে।

এদিকে, সাড়ে ৮ হাজার পৃষ্ঠার এই প্রতিবেদনে স্থান পেয়েছেন নাহিদ-সারজিসসহ ১৫৮ জন জুলাই যোদ্ধার নাম এবং তাদের অবদানের কথা। তারা সবাই বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক ও সহ-সমন্বয়ক ছিলেন। যদিও আজ সন্ধ্যার পর এই তালিকায় নাহিদ-সারজিদের নাম ছিল না বলে ফেসবুকে একটি তালিকায় ছড়িয়ে পড়েছিল। তবে বিষয়টি গুজব বলে জানায় সমন্বয়ক ও সহ-সমন্বয়করা। 

সহ-সমন্বয়কের তালিকায় ১৩ নম্বরে থাকা মুসাদ্দিক আলী ইবনে মোহাম্মদ প্রতিবেদনটি শেয়ার করে ফেসবুকের এক স্ট্যাটাসে জানান, ট্রাইবুনালের প্রতিবেদন থেকে অভ্যুত্থানে নেতৃত্ব দেওয়া সমন্বয়কদের নাম বাদ দেওয়া হয়েছে বলে একটা গুজব ছড়িয়ে পড়েছে। অথচ প্রতিবেদনে সমন্বয়কদের পূর্ণাঙ্গ তালিকা রয়েছে বলে জানা গেছে। জুলাই আমাদের প্রাণ, বেঁচে থাকার শক্তি। ট্রাইবুনাল, সরকার, উপদেষ্টা, শিবির, ছাত্রদল যে-ই জুলাই এর ইতিহাস বিকৃতি করার চেষ্টা করুক না কেনো— ছাড় দেওয়া হবে না।

তিনি আরও লেখেন, খুনি হাসিনার বিচার শুরু হওয়ার প্রথম দিনেই বিচার প্রক্রিয়াকে বিতর্কিত করতে পরিকল্পিতভাবে দীর্ঘ ৮হাজার পৃষ্ঠার প্রতিবেদন থেকে বিচ্ছিন্নভাবে এক পৃষ্ঠা ব্যবহার করে কেউ এই গুজব ছড়িয়েছে কি না তা খতিয়ে দেখতে সরকারকে আহ্বান জানাচ্ছি।

জানা গেছে, গত ৩ আগস্ট বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের প্রকাশিত কমিটিতে সমন্বয়ক ছিলেন ৪৯ জন আর সহ-সমন্বয়ক ছিলেন ১০৯ জন। এতে ১নং সমন্বয়ক হিসেবে ছিলেন নাহিদ ইসলামের নাম। এরপর রয়েছেন সারজিস আলম, হাসনাত আব্দুল্লাহ, আসিফ মাহমুদ, মো. মাহিন সরকার ও আব্দুল কাদেরের নাম। এরপর পর্যায়ক্রমে রয়েছে অন্য সমন্বয়কদের নাম। এদিকে, ট্রাইবুনালের সাড়ে ৮ হাজার পৃষ্ঠার প্রতিবেদনেও তাদের নামগুলো এভাবেই পর্যায়ক্রমে রয়েছে।