Image description

সমকালের প্রধান শিরোনাম, 'তিন লাখ ৫৯ হাজার গ্রেপ্তার'

প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, জুলাই ২০২৪-এ আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর গত ১০ মাসে সারাদেশে তিন লাখ ৫৯ হাজারের বেশি মানুষ গ্রেপ্তার হয়েছে।

শুরুতে পুলিশ বাহিনী অচল থাকায় আগস্ট-সেপ্টেম্বরে গ্রেপ্তার কম ছিল, তবে ধীরে ধীরে তা বেড়েছে।

জানুয়ারি থেকে মে পর্যন্ত গ্রেপ্তার হয়েছে প্রায় দুই লাখ ১৪ হাজার। মে মাসেই সর্বোচ্চ ৪৫ হাজার গ্রেপ্তার হয়। বর্তমানে প্রতিদিন গড়ে দেড় হাজারের বেশি মানুষ আটক হচ্ছে।

কারাগারগুলোতে ধারণক্ষমতার চেয়ে অনেক বেশি বন্দি রয়েছে। ৪৩ হাজার ধারণক্ষমতার কারাগারে এখন বন্দি ৭৩ হাজারের বেশি।

ঢাকা ও চট্টগ্রামের মতো বড় কারাগারে গড়ে দ্বিগুণ বন্দি আছে।

৮ই ফেব্রুয়ারি থেকে "অপারেশন ডেভিল হান্ট" চলাকালে ২১ দিনে ৩২ হাজারের বেশি গ্রেপ্তার হয়। এই অভিযানে আওয়ামী লীগের বহু নেতা-কর্মী ধরা পড়েন।

মে মাসে দলটির ৮ জন সাবেক সংসদ সদস্যসহ ৮৭ জনের বেশি সাবেক মন্ত্রী-এমপি গ্রেপ্তার হয়েছেন।

সেনাবাহিনী আগস্ট থেকে ১৪ হাজারের বেশি লোককে গ্রেপ্তার করেছে এবং বিপুল পরিমাণ অস্ত্র ও গুলি উদ্ধার করেছে।

তবে বিশ্লেষকরা বলছেন, রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে নয়, প্রকৃত অপরাধীদেরই গ্রেপ্তার করা উচিত, তবেই সমাজে শান্তি ফিরবে।

পত্রিকা

কালের কণ্ঠের প্রধান শিরোনাম, 'বাজেটে স্বস্তি নেই মধ্যবিত্তের'

প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, আসন্ন ২০২৫-২৬ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটে দেশের মধ্যবিত্ত শ্রেণির জন্য তেমন স্বস্তির খবর নেই। বরং কর কাঠামোতে পরিবর্তন ও বিভিন্ন পণ্যে শুল্ক-ভ্যাট বাড়ায় তাদের জীবনযাত্রার ব্যয় আরো বাড়বে।

করমুক্ত আয়ের সীমা বাড়লেও করের ন্যূনতম হার পাঁচ শতাংশ থেকে ১০ শতাংশ করায় মধ্যবিত্তের ওপর করের বোঝা বাড়ছে।

এছাড়া এলইডি বাতি, খেলনা, মশা-মাছি দমনের পণ্য, ফ্রিজ, টিভি, এসি, ব্লেন্ডার, মোবাইল ফোনসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় অনেক পণ্যের দাম বাড়তে পারে।

অর্থনীতিবিদরা বলছেন, মধ্যবিত্তদের আয় বাড়ছে না, অথচ ব্যয় লাগামহীনভাবে বেড়েই চলেছে।

অন্যদিকে নিম্ন আয়ের মানুষ কিছু সহায়তা পেলেও মধ্যবিত্তরা কোথাও সাহায্যের জন্য হাত পাততে পারেন না।

তবে কিছু খাতে স্বস্তির প্রস্তাবও আছে। যেমন: সঞ্চয়পত্র কেনা সহজ হবে, সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচিতে বাড়ছে বরাদ্দ, কিছু খাদ্য ও কৃষিপণ্যে কর কমানো হচ্ছে।

অর্থনীতিবিদরা বলছেন, বাজারে পণ্যের সরবরাহ বাড়ানো, টিসিবির কার্যক্রম জোরদার করা এবং নিম্ন ও মধ্যবিত্তদের জন্য নির্দিষ্ট নগদ সহায়তা চালুর মাধ্যমে চাপ কিছুটা কমানো সম্ভব।

পাশাপাশি ধনীদের ওপর প্রগতিশীল কর বসানো এবং বিলাসপণ্যে শুল্ক বাড়ানোর পরামর্শ দিয়েছেন তারা।

পত্রিকা

প্রথম আলোর প্রধান শিরোনাম, 'করমুক্ত আয়সীমায় ছাড় নেই, করপোরেট কর বাড়বে'

প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, আগামী ২০২৫-২৬ অর্থবছরের বাজেটে আয়কর বা করমুক্ত আয়ের সীমা বাড়ানো হচ্ছে না, যদিও মূল্যস্ফীতি অনেক বেশি।

বর্তমানে বছরে সাড়ে তিন লাখ টাকা পর্যন্ত আয় করমুক্ত থাকছে। তবে ধনীদের ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ করহার ২৫ থেকে ৩০ শতাংশে উন্নীত হতে পারে।

নতুন করদাতাদের উৎসাহ দিতে ন্যূনতম কর এক হাজার টাকায় নামানো হতে পারে। জমি কেনাবেচায় কর কিছুটা কমানোর পরিকল্পনা আছে, যাতে কালোটাকা সাদা করার প্রবণতা কমে।

ব্যক্তিগতভাবে করমুক্ত দানের তালিকায় ভাই-বোনকেও অন্তর্ভুক্ত করা হতে পারে।

করপোরেট কর বাড়ানোর চিন্তা করা হচ্ছে, বিশেষ করে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত নয় এমন কোম্পানির ক্ষেত্রে।

ব্রোকারেজ হাউস ও মার্চেন্ট ব্যাংকের ওপর কর কিছুটা কমানো হতে পারে। এছাড়া নির্দিষ্ট টার্নওভার থাকলে লাভ-লোকসান নির্বিশেষে শূন্য দশমিক ছয় শতাংশ কর বাড়িয়ে এক শতাংশ করা হতে পারে।

ব্যাংকে আবগারি শুল্কের সীমা ১ লাখ থেকে বাড়িয়ে ৩ লাখ করা হতে পারে। ভ্যাট বাড়ায় ফ্রিজ, এসি, মোবাইল ফোনের দাম বাড়তে পারে, তবে কিছু পণ্যে শুল্ক কমায় দাম কমতেও পারে।

বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, এই বাজেট বড় কোনো সংস্কার আনছে না এবং এটি জনকল্যাণে আশানুরূপ নয়।

পত্রিকা

দেশ রূপান্তরের প্রধান শিরোনাম, 'দেশীয় শিল্পে আসতে পারে ধাক্কা'।

প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, ২০২৫-২৬ অর্থবছরের বাজেটে দেশীয় শিল্পের জন্য কিছু চাপ তৈরি হতে পারে। কারণ বাংলাদেশ এলডিসি বা স্বল্পোন্নত দেশের তালিকা থেকে বের হয়ে উন্নয়নশীল দেশের কাতারে যাচ্ছে।

এই উত্তরণের কারণে বাংলাদেশ আগের মতো যেকোনো পণ্যে সহজে সম্পূরক বা নিয়ন্ত্রণমূলক শুল্ক বসাতে পারবে না।

ফলে আমদানিকৃত পণ্যের ওপর শুল্ক কমাতে হবে, যার প্রভাবে দেশীয় শিল্প প্রতিযোগিতায় পিছিয়ে পড়তে পারে। এ জন্য সরকার নানা প্রস্তুতি নিচ্ছে।

যেমন, ১৭২টি পণ্যে সম্পূরক শুল্ক কমানোর এবং শতাধিক পণ্যে তা পুরোপুরি তুলে দেওয়ার প্রস্তাব রয়েছে। এতে রাজস্ব আয় কমে যেতে পারে।

এখন আমদানির ওপর শুল্ক-কর থেকেই মোট রাজস্বের প্রায় ৩০ শতাংশ আসে। তাই রাজস্ব ঘাটতি পূরণে সরকারকে অভ্যন্তরীণ উৎস থেকে আয় বাড়াতে হবে।

পাশাপাশি কিছু ক্ষেত্রে শুল্ক বাড়ানোও হবে। যেমন, তামাকের বীজ ও একবার ব্যবহারযোগ্য প্লাস্টিকের কাঁচামালে শুল্ক বসানোর প্রস্তাব এসেছে।

আবার চামড়া ও সিমেন্টশিল্পে ব্যবহৃত কাঁচামালে শুল্ক কমানোর পরিকল্পনাও আছে। সরকার শুল্কনীতিকে আরও আধুনিক করতে একটি নতুন ট্যারিফ পলিসি অনুসরণ করছে, যাতে উত্তরণের প্রক্রিয়াটি সহজ হয়।

এলডিসি থেকে উত্তরণ একদিকে চ্যালেঞ্জ হলেও, তা দীর্ঘমেয়াদে দেশের উন্নয়নের জন্য বড় সুযোগ বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

পত্রিকা

দ্য বিজনেস স্ট্যান্ডার্ডের প্রধান শিরোনাম, 'Low imports, low confidence, low growth: Is Bangladesh in a slow-burning crisis?' অর্থাৎ, 'কম আমদানি, কম আত্মবিশ্বাস, কম প্রবৃদ্ধি: বাংলাদেশ কি ধীরগতির সংকটের মধ্যে রয়েছে?'

প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, বাংলাদেশ বর্তমানে ধীরে ধীরে এক ধরনের অর্থনৈতিক সংকটে পড়ছে। আমদানি কমে যাওয়া এই সংকটের বড় ইঙ্গিত।

দেশের আমদানি শুধু ভোগের জন্য নয়, বরং উৎপাদন ও রপ্তানির জন্য খুবই জরুরি। কাঁচামাল ও যন্ত্রপাতির মতো অনেক গুরুত্বপূর্ণ জিনিস বিদেশ থেকে আসে।

এই আমদানির ওপরই তৈরি পোশাক, ওষুধ, প্লাস্টিক, খাবার ইত্যাদি শিল্প নির্ভর করে। ফলে আমদানি কমলে উৎপাদন, রপ্তানি ও কর্মসংস্থান কমে যায়।

গত তিন বছরে বাংলাদেশের বার্ষিক আমদানি প্রায় ২০ বিলিয়ন ডলার কমেছে। এতে দেশের অর্থনীতি আরও ২০ বিলিয়ন ডলারের মতো ক্ষতির মুখে পড়তে পারে।

জিডিপি প্রবৃদ্ধি নেমে এসেছে মাত্র ৩.৯৭ শতাংশে, যা কোভিডের পর সবচেয়ে কম। বিনিয়োগ নেই, ব্যবসার আত্মবিশ্বাস কম, ঋণপ্রবাহ স্থবির।

এর ওপর রয়েছে উচ্চ মূল্যস্ফীতি, সুদের হার বৃদ্ধি, গ্যাস সংকট ও এলসি খোলার জটিলতা। ব্যবসায়ীরা বলছেন, এসব কারণে তারা নতুন বিনিয়োগ করতে ভয় পাচ্ছেন।

এই সংকট মোকাবেলায় ২০২৫-২৬ অর্থবছরের বাজেটে মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ ও অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা প্রাধান্য পাবে বলে আশা করা হচ্ছে।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, খাদ্য ও জ্বালানির দাম নিয়ন্ত্রণ এবং অর্থনীতিতে আস্থা ফিরিয়ে আনা এখন সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ।

পত্রিকা

মানবজমিনের প্রধান শিরোনাম, 'গণপিটুনি, ৯ মাসে নিহত ১৬৩'

প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, গত নয় মাসে বাংলাদেশে গণপিটুনিতে ১৬৩ জন মানুষ নিহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে মানবাধিকার সংস্থা আইন ও সালিশ কেন্দ্র (আসক)।

এর মধ্যে শুধু গত বছরের আগস্ট থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত মারা গেছেন ৯৬ জন, আর চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে এপ্রিল পর্যন্ত মারা গেছেন ৬৫ জন।

বিশেষ করে গত বছরের আগস্ট মাসে শুরু হওয়া রাজনৈতিক অস্থিরতার সময় থেকেই এই হত্যাকাণ্ডগুলো বাড়তে থাকে।

সবচেয়ে বেশি ঘটনা ঘটেছে ঢাকা বিভাগে, যেখানে ৭৪ জন নিহত হয়েছেন।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, দেশে যখন রাজনৈতিক ও সামাজিক অস্থিরতা বাড়ে, তখনই এই ধরনের ঘটনার সংখ্যা বেড়ে যায়।

অপরাধীদের বিচার না হওয়ায় মানুষ নিজের হাতে আইন তুলে নিচ্ছে। ঢাকার দারুসসালামে সম্প্রতি মাদক ব্যবসায়ী সন্দেহে দুই যুবককে পিটিয়ে হত্যা করে স্থানীয়রা।

এ ঘটনায় দেখা যায়, আগের দিন পুলিশের অভিযানের পর পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে ওঠে।

২০১৯ সালে বাড্ডায় একজন নারীকে শিশু চোর সন্দেহে পিটিয়ে হত্যার ঘটনা মানুষকে নাড়া দিয়েছিল। অথচ এসব ঘটনার সঠিক বিচার না হওয়ায় মব সন্ত্রাস বাড়ছে।

মানবাধিকারকর্মী ও অপরাধবিজ্ঞানীরা বলছেন, বিচারহীনতা এবং সামাজিক অনিরাপত্তা গণপিটুনিকে উৎসাহ দিচ্ছে। আইনের যথাযথ প্রয়োগ ছাড়া এই সহিংসতা বন্ধ হবে না।

পত্রিকা

ঢাকা ট্রিবিউনের প্রধান শিরোনাম, 'Unicef pulls plug on Rohingya, host community education' অর্থাৎ, 'রোহিঙ্গা ও স্থানীয় সম্প্রদায়ের শিক্ষার উপর নিষেধাজ্ঞা তুলে নিল ইউনিসেফ'

প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, ইউনিসেফ কক্সবাজারে রোহিঙ্গা ও স্থানীয় শিশুদের জন্য পরিচালিত শিক্ষাকর্মসূচি বড় ধরনের কাটছাঁট করছে।

১লা জুন থেকে এক হাজার ১৭৯ জন স্বেচ্ছাসেবক শিক্ষককে ছাঁটাই করা হবে এবং ৬ জুন থেকে ইউনিসেফ-সমর্থিত সব শিক্ষাকেন্দ্র বন্ধ হয়ে যাবে।

২০২৫ সাল থেকে ইংরেজি, বিজ্ঞান ও সামাজিক বিজ্ঞান পাঠ্যক্রম থেকে বাদ যাবে।

এই সিদ্ধান্তের ফলে রোহিঙ্গা ও স্থানীয় প্রায় দুই লাখ ৩০ হাজার শিশুর শিক্ষা অনিশ্চয়তায় পড়বে।

ইউনিসেফ বলছে, বৈশ্বিক মানবিক তহবিল কমে যাওয়ায় তারা এ সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য হয়েছে। এই শিক্ষাকেন্দ্রগুলো অন্তত জুন ২০২৫ পর্যন্ত বন্ধ থাকবে।

এরপর পুনরায় চালুর বিষয়টি তহবিল পাওয়ার ওপর নির্ভর করবে।

বহু বছর ধরে শিক্ষা কার্যক্রমে যুক্ত স্বেচ্ছাসেবীরা ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন এবং কিছু এলাকায় প্রতিবাদ কর্মসূচি শুরু হয়েছে।

যেসব শিক্ষকরা বরখাস্ত হয়েছেন, তাদের জুন পর্যন্ত সম্মানী দেয়া হবে, এরপর আর কোনো টাকা দেয়া হবে না। নতুন স্বেচ্ছাসেবক নিয়োগও বন্ধ থাকবে।

বিশেষজ্ঞরা আশঙ্কা করছেন, শিক্ষাকেন্দ্র বন্ধ হয়ে গেলে শিশুরা ঝরে পড়বে, শিশুশ্রম বা চরমপন্থার ঝুঁকিতে পড়বে।

শিক্ষার এই সংকট রোহিঙ্গা শিশুরা আর কখনো পুষিয়ে উঠতে পারবে কি না, তা নিয়েও উদ্বেগ বাড়ছে।

পত্রিকা

নিউ এইজের প্রধান শিরোনাম, 'Working women facing harassment, obstruction' অর্থাৎ, 'কর্মজীবী ​​নারীরা হয়রানি ও বাধার সম্মুখীন হচ্ছেন'

প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, সম্প্রতি দেশের বিভিন্ন স্থানে ইসলামপন্থী গোষ্ঠীদের হাতে কর্মজীবী নারীরা হয়রানি, বাধা ও হুমকির শিকার হচ্ছেন, যা সমাজে ভয় ও নিরাপত্তাহীনতার পরিবেশ তৈরি করেছে।

শিক্ষক, সাংবাদিক, ক্রীড়াবিদ, অভিনেত্রী এমনকি যৌনকর্মীরাও আক্রান্ত হচ্ছেন। অধিকারকর্মীরা বলছেন, এটি এখন এক ধরনের প্রবণতা হয়ে দাঁড়িয়েছে।

নরসিংদী সরকারি কলেজের সহকারী অধ্যাপক নদিরা ইয়াসমিনকে ২৬শে মে সাতক্ষীরায় বদলি করা হয়, তার সম্পাদিত পত্রিকা 'হিস্যা'তে নারী-পুরুষের সমান সম্পত্তির অধিকারের পক্ষে লেখালেখির কারণে।

হেফাজতে ইসলামসহ কয়েকটি ধর্মীয় সংগঠন ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তাকে কলেজ থেকে অপসারণের দাবি করে।

নদিরা জানান, পুলিশ অভিযোগ নিয়েও কোনো ব্যবস্থা নেয়নি; বরং সরকার ইসলামপন্থীদের চাপে তাকে বদলি করে, যা তাদের সাহস বাড়িয়ে দিয়েছে।

এছাড়া নারী সাংবাদিকদেরও অনুষ্ঠান কাভার করতে বাধা দেয়া হয়েছে। নারী ফুটবল ম্যাচ বাতিল হয়েছে ইসলামপন্থীদের প্রতিবাদের মুখে, যার ফলে খেলোয়াড়দের ভবিষ্যৎ অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে।

বাংলাদেশ মহিলা পরিষদ ও নারী কমিশনের সদস্যরা বলছেন, সরকার নারীদের নিরাপত্তায় কার্যকর পদক্ষেপ নিচ্ছে না।

বরং কোনো কোনো ঘটনায় সরকারের অবস্থান নারীবিরোধীদের পক্ষে গেছে। এতে নারীর ক্ষমতায়ন ও কর্মজীবনে অংশগ্রহণ হুমকির মুখে পড়ছে।

পত্রিকা

নয়া দিগন্তের প্রধান শিরোনাম 'ভারী বৃষ্টিতে জলাবদ্ধতা ৪ জেলা বন্যার ঝুঁকিতে'

প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, টানা ভারী বৃষ্টিতে সিলেট, সুনামগঞ্জ, নেত্রকোনা ও মৌলভীবাজারসহ দেশের কিছু জেলা বন্যার ঝুঁকিতে পড়েছে।

সিলেট নগরী এবং আশপাশের এলাকাগুলো পানিতে তলিয়ে গেছে। বানের পানিতে ২০ লাখের বেশি মানুষের জীবনযাপন চরমভাবে বিঘ্নিত হয়েছে।

বিভিন্ন রাস্তাঘাট, বাড়িঘর, দোকানপাট পানিতে ডুবে গেছে, ফলে যোগাযোগ ব্যবস্থা ভেঙে পড়েছে।

বৃষ্টির পাশাপাশি উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢল পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ করে তুলছে। গত ৬০ ঘণ্টায় সিলেটে রেকর্ড ৫১১ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে, আর উজানে ভারতের চেরাপুঞ্জিতে বৃষ্টি হয়েছে প্রায় ১৩০০ মিলিমিটার।

সুরমা ও কুশিয়ারা নদীর পানি বাড়ছে, যা আরও প্লাবনের আশঙ্কা তৈরি করেছে।

অন্যদিকে নারায়ণগঞ্জের ডিএনডি এলাকাসহ নিম্নাঞ্চলে জলাবদ্ধতা দেখা দিয়েছে। অলিগলিতে পানি জমে আছে, রাস্তাঘাট পানির নিচে তলিয়ে গেছে।

এতে কয়েক লাখ মানুষ চরম দুর্ভোগে পড়েছেন। স্থানীয়রা বলছেন, প্রতি বছর বর্ষায় একই সমস্যার মুখে পড়তে হয়।

অপরিকল্পিত বসতি, কলকারখানা ও পর্যাপ্ত ড্রেনেজ ব্যবস্থার অভাব এই সমস্যার মূল কারণ। জলাবদ্ধতা কমাতে হাজার কোটি টাকার প্রকল্প চললেও এখনো স্থায়ী সমাধান হয়নি।

বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, বর্ষা মৌসুমে ভারী বৃষ্টিপাত ও পাহাড়ি ঢলের কারণে দেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চলে বন্যার ঝুঁকি আরও বাড়ছে।

পত্রিকা

দ্য ডেইলি স্টারের প্রধান শিরোনাম, 'A blatant river grab' অর্থাৎ, 'একটি নির্মম নদী দখল'

প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, মুন্সিগঞ্জে ধলেশ্বরী ও শীতলক্ষ্যা নদীর সংযোগস্থলে শাহ সিমেন্ট একটি বিশাল কারখানা গড়ে তুলেছে, যা সরকারি নথি অনুযায়ী দুই নদীর জমি দখল করে গড়ে উঠেছে।

স্থানীয় প্রশাসন ও নদী রক্ষা কমিশনের একাধিক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, প্রতিষ্ঠানটি নদীর স্বাভাবিক গতিপথ বাধাগ্রস্ত করছে এবং পরিবেশ দূষণ করছে।

২০১৮, ২০১৯ ও ২০২৩ সালে শাহ সিমেন্টকে নদী দখলকারী হিসেবে চিহ্নিত করা হলেও এখন পর্যন্ত সরকারের পক্ষ থেকে কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।

বিআইডব্লিউটিএ এবং জেলা প্রশাসন জানিয়েছে, কোম্পানিটি ধীরে ধীরে বালি ফেলে নদীর অংশ ভরাট করে জমি তৈরি করেছে, যা নদীর নাব্যতা কমিয়ে জাহাজ চলাচল ব্যাহত করছে এবং পরিবেশ বিপর্যয়ের আশঙ্কা তৈরি করেছে।

সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশনায় নদীকে "জীবন্ত সত্তা" হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছে, ফলে যেকোনো অবৈধ দখল প্রশাসনের পক্ষে তাৎক্ষণিকভাবে উচ্ছেদযোগ্য।

শাহ সিমেন্ট দাবি করেছে, নদীর গতিপথ পরিবর্তনের ফলে এই জমি তাদের মালিকানায় এসেছে, তবে তারা প্রমাণ দেখাতে ব্যর্থ হয়েছে।

বিভিন্ন জরিপ অনুযায়ী কোম্পানিটি কমপক্ষে ২৪ একর নদীর জমি দখল করেছে, যা আসলে সরকারের মালিকানাধীন।

তবু এখন পর্যন্ত নদী উদ্ধার বা পরিবেশ রক্ষায় উল্লেখযোগ্য পদক্ষেপ দেখা যায়নি।