Image description

বেসরকারি ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষক হিসেবে যোগদানের প্রস্তাব পেয়েছিলেন অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে চাকরিরত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) সাবেক শিক্ষার্থী জাবের উবায়েদ। তবে অক্সফোর্ডের চাকরি ছেড়ে দেশে ফেরার জন্য বিমানবন্দরে এসে জানতে পারেন, তাকে পাঠানো প্রস্তাব বাতিল করেছে ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। ঠিক কী কারণে প্রস্তাব বাতিল করা হয়েছে, তার কোনো কারণ জানায়নি ব্র্যাক।

ফলে ‘অজ্ঞাত কারণে’ নিয়োগপত্র বাতিল হয়ে যাওয়ায় আপাতদৃষ্টিতে দুই কূলই হারান জাবের উবায়েদ। হতাশ হয়ে ফেসবুকে দীর্ঘ পোস্ট দেন। তার সেই পোস্ট সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়। তুমুল আলোচনা-সমালোচনার মুখেও চুপ থাকে ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।

 

এদিকে, ব্র্যাকে চাকরির সুযোগ হারানোর পর আর দেশে ফেরা হয়নি জাবেরের। সম্প্রতি তিনি আবারও অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের মার্টন কলেজে চাকরি পেয়েছেন। সেখানে তিনি একাডেমিক অফিসার হিসেবে কাজ করবেন।

বৃহস্পতিবার (২৯ মে) রাতে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দেওয়া একটি স্ট্যাটাসে তিনি এ তথ্য জানান। জাবের উবায়েদ লেখেন, আমি আনন্দের সঙ্গে জানাচ্ছি যে, আমাকে অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের মার্টন কলেজে একাডেমিক অফিসার হিসেবে নিযুক্ত করা হয়েছে। এটি আমার আগের পদের চেয়ে ব্যতিক্রম।

 

তিনি লেখেন, ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয় কোনো ব্যাখ্যা ছাড়াই তাদের প্রস্তাব প্রত্যাহার করার পর আমি আল্লাহর ওপর ভরসা রেখে নতুন সুযোগের জন্য আবেদন চালিয়ে যাই। গত ১৯ মে আমি এ পদের জন্য আবেদন জমা দিয়েছিলাম। ২০ মে লিখিত পরীক্ষার জন্য এবং ২৬ মে সাক্ষাৎকারের জন্য আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল। সাক্ষাৎকারের সময় আমার আত্মবিশ্বাস ছিল যে, সবকিছু ঠিকঠাক হবে এবং গতকাল আমি আনুষ্ঠানিক প্রস্তাব পেয়েছি। এ সময়ে যারা আমাকে তাদের দোয়ায় স্মরণ করেছেন এবং সহায়তা দিয়েছেন তাদের সকলের প্রতি আমি আন্তরিকভাবে কৃতজ্ঞ।

জাবের আরও বলেন, ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্ষেত্রে তারা যেভাবে পরিস্থিতি মোকাবিলা করেছে, তা অত্যন্ত হতাশাজনক ছিল। তারা আমার সঙ্গে যোগাযোগ করেনি বা কোনো ব্যাখ্যা দেয়নি। এমনকি সোশ্যাল মিডিয়ায় ব্যাপক সমালোচনার মুখেও তারা মুখ খোলেনি। পরিস্থিতি আরও খারাপ করে তুলেছে। তারা এমন একজন ছাত্রকে লক্ষ্যবস্তু করেছে এবং অপমান করেছে, যে সাহসের সঙ্গে তাদের অপেশাদার আচরণ এবং প্রতিষ্ঠানের মধ্যে বিস্তৃত সমস্যাগুলো নিয়ে কথা বলেছে।

‌‘তাদের দ্বৈত নীতি এখন স্থানীয় ও বিশ্বব্যাপী উভয়ক্ষেত্রেই উন্মোচিত হয়েছে, যা সম্ভাব্য কর্মীদের সঙ্গে তাদের আচরণের বৈষম্যমূলক ধরণ প্রকাশ করে এবং সামাজিক, আদর্শিক বা রাজনৈতিক পটভূমির ওপর ভিত্তি করে বৈষম্য বজায় রাখে’ বলেও উল্লেখ করেন তিনি।