Image description

অস্থিতিশীলতার মাধ্যমে দেশে রাজনৈতিক সংকট সৃষ্টি করার মিশন নিয়ে নেমেছিল সুব্রত বাইন ও মোল।লা মাসুদরা। এ জন্য বিশেষ করে তিনটি রাজনৈতিক দলের নেতাদের হত্যার পরিকল্পনা করা হয়েছিল। আর এতে অর্থ জোগান দিচ্ছে গণঅভ্যুত্থানে পতিত আওয়ামী লীগ।

গ্রেপ্তারের পর গোয়েন্দা হেফাজতে তাদের জিজ্ঞাসাবাদে এসব তথ্য জানা যায় বলে সূত্রে জানা যায়। এ পরিকল্পনার প্রধান সহযোগী ছিলেন সুব্রত বাইনের শিষ্য আবু রাসেল মাসুদ ওরফে মোল্লা মাসুদ। তাকেও পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে। এ ছাড়া তাদের বাহিনীর আরাফাত ইবনে নাসির ওরফে শ্যুটার আরাফাত ও এমএএস শরীফকেও গ্রেপ্তার করা হয়।

গোয়েন্দা সূত্র জানায়, পরিকল্পনায় লক্ষ্যবস্তু ছিলেন বিএনপি, জামায়াত এবং নবগঠিত এনসিপির শীর্ষ পর্যায়ের নেতারা। এ জন্য বিভিন্ন এলাকায় শুটারদের সংগঠিত করছিল সুব্রত বাইন বাহিনী।

সূত্র জানায়, গোয়েন্দা কার্যালয়ে প্রথমে শ্যুটার আরাফাত ও শরীফকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। একপর্যায়ে তাদের কাছ থেকে অস্ত্র ও গুলির বিষয়ে তথ্য বেরিয়ে আসে। অস্ত্র ও গুলি সীমান্ত থেকে সংগ্রহের পর মগবাজার, শাহবাগ, গুলশান ও বাড্ডা এলাকার সন্ত্রাসীদের হাতে পৌঁছে দেওয়ার পরিকল্পনা ছিল। ওই সন্ত্রাসীরা ৫ আগস্টের পর সুব্রত বাইন ও মাসুদের দলে যোগ দেয়।

গতকাল রাজধানীর হাতিরঝিল থানার অস্ত্র মামলায় সুব্রত বাইনকে আট দিন ও অপর তিনজনকে ৬ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট জাকির হোসাইনের আদালত এই আদেশ দেন। অন্য আসামিরা হলেন মোল্লা মাসুদ, আরাফাত ইবনে নাসির ওরফে শ্যুটার আরাফাত ও এমএএস শরীফ।

এর আগে কুষ্টিয়া থেকে সন্ত্রাসী সুব্রত বাইন ওরফে ফতেহ আলী ও তার ঘনিষ্ঠ সহযোগী মোল্লা মাসুদকে গ্রেপ্তার করে। পরে তাদের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী রাজধানী থেকে গ্রেপ্তার করা হয় সহযোগী শুটার আরাফাত ও শরীফকে।

অভিযানের সময় গ্রেপ্তার ব্যক্তিদের কাছ থেকে ৫টি বিদেশি পিস্তল, ১০টি ম্যাগাজিন, ৫৩টি গুলি এবং ১টি স্যাটেলাইট ফোন উদ্ধার করা হয়। গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা স্যাটেলাইট ফোন ব্যবহার করতেন বলে জানায় অভিযানসংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো।

সুব্রত-মোল্লা মাসুদদের গ্রেপ্তারের পর আইএসপিআরের পরিচালক লেফটেন্যান্ট কর্নেল সামি উদ দৌলা সংবাদ সম্মেলনে জানান, সেনাবাহিনীর বিশেষ অভিযানে মঙ্গলবার ভোর পাঁচটার পর কুষ্টিয়া থেকে গ্রেপ্তার করা হয় সুব্রত বাইন ও মোল্লা মাসুদকে। পরে তাদের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে রাজধানীর হাতিরঝিল এলাকা থেকে সুব্রত বাইনের অপর দুই সহযোগী শুটার আরাফাত ও শরীফকে গ্রেপ্তার করা হয়।