Image description

Taib Ahmed(তাইয়িব আহমেদ)


সামগ্রিকভাবে আমাদের ইতিহাস পাঠ হলো মেহেদীর আকা এইরকম কার্টুন ভিত্তিক। আমরা ছোট থেকে বড় হয়েছি দেয়াল ভরা গোলাম আজম -নিজামীদের বিভতস সব কার্টুন দেখে দেখে। এই গুলান দেখে দেখে মনের অজান্তেই গ্রোথিত হয়ে গেছে যে তারা যুদ্ধাপরাধী। এটাই হলো আমাদের ইতিহাস পাঠ পদ্ধতি।

শাহবাগীরা এইভাবেই নিজেদের মত করে কার্টুন একে সেই কার্টুন ভিত্তিক ইতিহাস নির্মান করছে। ৭১ এর ইতিহাসই হলো কার্টুন ভিত্তিক ইতিহাস। যেই ইতিহাস আপনাকে শেখাবে যে জামায়াত ৭১ এ সব মানুষই মারছে।

সত্য জানতে ও সত্য মানতে মানুষকে স্রোতের বিপরীতে হাটতে হয়। আপনি যখনই এই কার্টুনভিত্তিক ইতিহাসের বাইরে গিয়ে একাডেমিক এবং আন্তর্জাতিক রিসার্চারদের লেখা পড়বেন দেখবেন ৭১ এ সবচে বেশি খুন, ঝখম, ধর্ষণ ও রাহাজানির সাথে বা যুদ্ধাপরাধের যুক্ত ছিলো আওয়ামী লীগ। সন্দেহাতীতভাবে। যেটা কিনা তাদের বর্তমান চরিত্রের সাথে একেবারে খাপের খাপ মিলে যায়। বাংলাদেশের ৫৫ বছরের ইতিহাসে যেই দলটি সবচে বেশি খুন, গুম, ধর্ষন, রাহাজানি করেছে সেটা হলো আওয়ামী। আর সবচে কম সন্ত্রাসী কার্যক্রম করার রেকর্ডটি কিন্তু জামায়াতেরই।

ভালো করে খেয়াল করলে দেখবেন, শাহবাগীরা বা বামেদের চাওয়া এটা নয় যে ৭১ এর যুদ্ধাপরাধের সুবিচার নিশিচত হউক। যদি তারা সেটা সত্যি সত্যিই চাইতো তাইলে ৭১ এর সবচে সুচিহ্নিত, সুস্পষ্ যুদ্ধাপরাধী কাদের সিদ্দিকীর ফাসির দাবিতে শাহবাগে নামতো। প্রথম আলো, স্টার, নিউ এজ, ঢাকা ট্রিবিউন যুগলবন্ধী কলাম লিখতো দুদিন পর পর। তানা করে তারা কাদের সিদ্দিকীর কলাম ছাপে যেখানে সে যুদ্ধাপরাধের বিচার চায়।

এরা হলো সুস্পষ্ট হিপোক্রেট।

শাহবাগী ও বামদের সমস্যা যুদ্ধাপরাধে না তাদের সমস্যা "পলিটিক্যাল ইসলামে"। আমি হলফ করে বলতে পারি জামায়াতের কোন নেতা যদি জামায়াত ছেড়ে আওয়ামী লীগ বা বিএনপিতে যায়, তখন শাহবাগীরা তার বিরুদ্ধে এক্টা কথাও বলবেনা।

আমরা জানি মাওলানা সাঈদী জামায়াত ছেড়ে আসলে বিরোধী দলীয় নেতা বানানো হবে সেই অফারও হাসিনা সেই সময় সাঈদীকে দিয়েছিলো।

আরও খেয়াল করুন। ৭১ এ শুধু জামায়াতই যে পাকিস্তান নামক দেশ ভাংগার কথা বলেছিলো তা কিন্তু নয়। আরও অনেকে করেছিলো।তাদের বিরুদ্ধে কিন্তু শাহবাগী, বামদের কোন রা নাই।

কারন , বস্তুত তাদের ইসলা্মে বা পলিটিক্যাল ইসলামে চুলকানি আছে। তারা তথাকথিত যুদ্ধাপরাধের বিচার চায় ইসলাফোবিক পজিশন থেকে।

শাহবাগ, বাম ও আওয়ামী লীগ এইটা এক্টা এভিল এক্সিস। দেশবিরোধী এই এভিল এক্সিসের রাহুগ্রাস থেকে বাংলাদেশকে মুক্ত করতে না পারলে বাংলাদেশ এগোতে পারবেনা।