
দ্য বিজনেস স্ট্যান্ডার্ডের প্রধান শিরোনাম, ''Intolerable burden': Businesses sound alarm on extortion, crime spikes' অর্থাৎ, 'অসহনীয় বোঝা': চাঁদাবাজি এবং অপরাধ বৃদ্ধিতে উদ্বিগ্ন ব্যবসায়ীরা'
প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, বাংলাদেশে ব্যবসায়িক নেতারা আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি নিয়ে তীব্র উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন।
ঢাকায় এক আলোচনায় তারা বলেন, চাঁদাবাজি এখন এমন এক মাত্রায় পৌঁছেছে যা ব্যবসার পক্ষে সহ্য করা যাচ্ছে না।
সরকার পরিবর্তনের পর আইনশৃঙ্খলার উন্নতির আশা থাকলেও বাস্তবে পরিস্থিতি আরও খারাপ হয়েছে।
ব্যবসায়ীরা জানান, চুরি, ছিনতাই, মালামাল ছিনতাই ও কিশোর গ্যাংয়ের তাণ্ডব তাদের ক্ষতির মুখে ফেলছে।
ঢাকা চেম্বারের সভাপতি তাসকিন আহমেদ বলেন, ব্যবসার পরিবেশ এখন অনিরাপদ। প্রতারণা, সাইবার হুমকি ও চাঁদাবাজি বিনিয়োগ নিরুৎসাহিত করছে।
তিনি ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, গার্মেন্টস খাতে পুলিশ দ্রুত ব্যবস্থা নেয়, কিন্তু ছোট-মাঝারি ব্যবসার পাশে তেমন দাঁড়ায় না।
মসলা, তেল, চিনি ও অন্যান্য পণ্যের ব্যবসায়ীরা জানান, সড়কে চাঁদাবাজি, দালালদের দৌরাত্ম্য ও ডাকাতির কারণে পণ্য পরিবহনও অনিরাপদ হয়ে পড়েছে।
পুলিশ কর্মকর্তারা আংশিক উন্নতির কথা বললেও স্বীকার করেন, ব্যবসার জন্য নিরাপদ পরিবেশ এখনো নিশ্চিত হয়নি।
ঈদের সময় পশুবাহী গাড়ি থেকে চাঁদাবাজি বন্ধে সরকার সচেষ্ট, হটলাইন ও বিশেষ টিম গঠনের ঘোষণা দেওয়া হয়েছে।
সেনাবাহিনীও সহায়তায় মাঠে রয়েছে। ব্যবসায়ীরা বাজারে একচেটিয়া নিয়ন্ত্রণ নিয়েও উদ্বেগ জানান।

প্রথম আলোর প্রধান শিরোনাম, 'ছায়াযুদ্ধে' বিএনপি ও এনসিপি
প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, বিএনপি ও এনসিপির মধ্যে সম্প্রতি রাজনৈতিক উত্তেজনা বেড়েছে, যা রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের মতে এক ধরনের 'ছায়াযুদ্ধ'।
বিএনপি চায় ইশরাক হোসেনকে ঢাকা দক্ষিণ সিটির মেয়র পদে শপথ নিতে দিতে, আর এই ইস্যুকে কেন্দ্র করে সরকারের ওপর দ্রুত জাতীয় নির্বাচনের চাপ তৈরি করতে।
অন্যদিকে, এনসিপি নির্বাচন কমিশন পুনর্গঠন ও স্থানীয় সরকার নির্বাচন আগেভাগে করার দাবিতে পাল্টা কর্মসূচি দিয়েছে।
বিএনপির নেতারা মনে করেন, এনসিপি বিভিন্ন ইস্যু তুলে ধরে নির্বাচন পেছাতে চাইছে, তাই তাদেরও চাপ দিতে হচ্ছে।
এনসিপির পক্ষ থেকে আবার দাবি উঠেছে, বিএনপি ইশরাক ইস্যুকে ব্যবহার করে অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টাদের সরাতে চাইছে।
দুই পক্ষই সরকারের ভেতরের লোকদের 'পক্ষপাতদুষ্ট' বলেও অভিযোগ করছে।
এই বিরোধের মধ্যে ছাত্রদল নেতা সাম্য হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদে ছাত্রদলের আন্দোলনও চলছে। ইশরাকপন্থীরা মনে করেন, উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদের কারণেই ইশরাকের শপথ আটকে আছে, তাই আন্দোলনে তাকে লক্ষ্য করা হচ্ছে।
শুরুতে ইশরাক সমর্থকদের নেতৃত্বে শুরু হলেও পরে বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্বও সক্রিয়ভাবে এতে যুক্ত হয়েছে।
এই পাল্টাপাল্টি কর্মসূচিতে জনজীবন ভোগান্তিতে পড়লেও রাজনৈতিক দলগুলো তাতে গুরুত্ব দিচ্ছে না বলে অনেকে মনে করছেন।

যুগান্তরের প্রধান শিরোনাম, 'দাবি না মানা পর্যন্ত সড়কে অবস্থান'
প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র হিসেবে বিএনপি নেতা ইঞ্জিনিয়ার ইশরাক হোসেনকে শপথ পড়ানো ও দায়িত্ব বুঝিয়ে দেওয়ার দাবিতে টানা আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন তার সমর্থকরা।
১৪ই মে থেকে শুরু হওয়া এ আন্দোলনের ফলে ছয়দিন ধরে নগরভবন ও ওয়ার্ড কার্যালয়সহ নগরসেবা কার্যত বন্ধ রয়েছে।
বর্জ্য অপসারণ, মশা নিয়ন্ত্রণ ও রাস্তাবাতি চালু রাখার মতো জরুরি সেবাও বন্ধ হয়ে পড়েছে।
ইশরাকের সমর্থকরা নগরভবন থেকে সরে কাকরাইল, মৎস্য ভবন ও প্রেস ক্লাব এলাকা ঘেরাও করে রেখেছেন, যার ফলে শহরের গুরুত্বপূর্ণ সড়কে যানজট ও জনদুর্ভোগ তৈরি হয়েছে।
বুধবার সন্ধ্যায় ইশরাক নিজেও রাজপথে অবস্থান নেন এবং ঘোষণা দেন, দাবি না মানা পর্যন্ত আন্দোলন চলবে।
তার দাবি, এই আন্দোলন শুধু একটি পদ নয়, জনগণের ভোটাধিকার প্রতিষ্ঠার লড়াই। হাইকোর্টে নির্বাচন কমিশনের প্রকাশিত গেজেট স্থগিত চেয়ে করা রিটের রায় বৃহস্পতিবার ঘোষণা করা হবে।
ইশরাকের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়, ২০২০ সালের সিটি নির্বাচনে কারচুপি হয়েছিল এবং এখন আদালতের রায়ে তিনি বৈধ মেয়র।
তবে এখনও শপথ না নেওয়ায় তার সমর্থকরা বিক্ষোভ চালিয়ে যাচ্ছেন। তারা সতর্ক করে বলেছে, দাবি না মানলে ঢাকা অচল করে দেবে।

সমকালের প্রথম পাতার খবর 'দক্ষিণ ঢাকা অচল, জনদুর্ভোগ'
প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, বিএনপি নেতা ইশরাক হোসেনকে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) মেয়র হিসেবে শপথ নেওয়ার দাবিতে তার সমর্থকদের নগর ভবন থেকে কাকরাইল পর্যন্ত সড়কে অবস্থান।
এর পাশাপাশি এমপিওভুক্ত শিক্ষকরাও চাকরি জাতীয়করণের দাবিতে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ করে।
এসব কর্মসূচির কারণে গুলিস্তান, মতিঝিল, শাহবাগ, মগবাজার, সায়েদাবাদসহ আশপাশের এলাকায় ব্যাপক যানজট সৃষ্টি হয়। ঢাকার দক্ষিণ অংশ বুধবার পুরোপুরি অচল হয়ে পড়েছে।
বৃষ্টির কারণে পরিস্থিতি আরো খারাপ হয়। রাস্তায় বাস, প্রাইভেটকার, রিকশা ও মোটরসাইকেলের দীর্ঘ জট তৈরি হয়।
রাস্তাগুলোয় এমন অবস্থা হয় যে, কোনোদিকেই যান চলাচল সম্ভব ছিল না। ফুটপাতেও মানুষের ভিড় ছিল।
ট্রাফিক পুলিশ নানা চেষ্টা করেও পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে ব্যর্থ হয়। অ্যাম্বুলেন্স পর্যন্ত আটকে পড়ে।
অনেকে কয়েক ঘণ্টা ধরে আটকে থাকে, কেউ আবার গন্তব্যে পৌঁছাতে হেঁটে রওনা দেন। চালক ও যাত্রীরা অসহায়ভাবে সময় ক্ষেপণ ও ভাড়া ক্ষতির কথা জানান।
বিকেলে কাকরাইল থেকে মগবাজার পর্যন্ত রাস্তা ছিল স্থবির। অফিস শেষে ঘরে ফেরার সময় মানুষ পড়েন চরম দুর্ভোগে। পুরো দক্ষিণ ঢাকা একদিনের জন্য কার্যত অচল হয়ে পড়ে।

নয়া দিগন্তের প্রধান শিরোনাম, 'মানবিক করিডোরের সিদ্ধান্তের এখতিয়ার এ সরকারের নেই'
প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান বলেছেন, মানবিক করিডোরের মতো গুরুত্বপূর্ণ ও ঝুঁকিপূর্ণ সিদ্ধান্ত নেওয়ার এখতিয়ার বর্তমান সরকারের নেই। এসব সিদ্ধান্ত নিতে পারে শুধু একটি নির্বাচিত সরকার।
সেনা কর্মকর্তাদের সঙ্গে এক সভায় তিনি জানান, সরকার করিডোর নিয়ে মানুষকে কিছুই জানায়নি এবং এটি জাতিকে ছায়াযুদ্ধের দিকে ঠেলে দিতে পারে কি না সে বিষয়েও কিছু বলেনি।
তিনি বলেন, দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষার স্বার্থে কোনো করিডোর দেয়া হবে না। এ বিষয়ে সেনা প্রধান সর্বোচ্চ মহলে বার্তা দিয়েছেন।
সেনাপ্রধান আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে হতাশা প্রকাশ করে বলেন, দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি দিন দিন খারাপ হচ্ছে, বেসামরিক প্রশাসন ও অন্যান্য সংস্থা ভেঙে পড়েছে, শুধু সেনাবাহিনী এখনও দায়িত্ব পালন করছে।
কিন্তু তারপরও সেনাবাহিনী ও তাকে উদ্দেশ্য করে মিথ্যা প্রচার চালানো হচ্ছে। তিনি অভিযোগ করেন, সরকার সংস্কারে আন্তরিক নয় এবং সেনাবাহিনীকেও অবহিত করছে না, এমনটা বলা হয়েছে প্রতিবেদনে।
এতে সেনাপ্রধানের বক্তব্য নিয়ে আরও বলা হয়েছে, , ২০২৬ সালের জানুয়ারিতে নির্বাচিত সরকার দায়িত্ব নিলে সেনাবাহিনী ব্যারাকে ফিরে যাবে।
নির্বাচন পর্যন্ত সেনাবাহিনী শান্তিশৃঙ্খলা রক্ষায় মাঠে থাকবে। সভায় সেনাবাহিনীর প্রতি দায়িত্ব পালনে পেশাদারিত্ব, সততা ও দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ থাকার আহ্বান জানান সেনাপ্রধান।

কালের কণ্ঠের প্রধান শিরোনাম, 'অসহযোগে অচল রাজস্ব খাত'
প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) ভাঙার সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে রাজস্ব কর্মকর্তারা লাগাতার অসহযোগ আন্দোলনে নেমেছেন।
ফলে দেশের রাজস্ব খাত প্রায় অচল হয়ে পড়েছে। করদাতা, ব্যবসায়ী ও আমদানিকারকরা সেবা পাচ্ছেন না, রাজস্ব আদায় বন্ধ, বন্দর কার্যক্রমের গতি কমে গিয়েছে।
আগামী বাজেট ঘোষণার আগেই রাজস্ব আয়ের এই ধস সরকারের জন্য বড় সংকট তৈরি করছে।
রাজস্ব কর্মকর্তারা দাবি তুলেছেন, এনবিআর বিভক্তির অধ্যাদেশ বাতিল ও চেয়ারম্যান অপসারণ করতে হবে।
তারা অভিযোগ করছেন, সরকারের সঙ্গে আলোচনায় তাদের কথা গুরুত্ব পায়নি এবং এনবিআর চেয়ারম্যান সঠিক তথ্য উপস্থাপন করেননি।
এতে ক্ষুব্ধ হয়ে কর্মকর্তারা শনিবার পর্যন্ত সীমিত এবং সোমবার থেকে পুরোপুরি কর্মবিরতির ঘোষণা দিয়েছেন।
রাজস্ব আদায় কমে যাওয়ায় সরকারের আয় মারাত্মকভাবে কমছে। মে মাসে রাজস্ব আদায় প্রায় ১১ হাজার কোটি টাকা কমেছে।
এতে উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়ন ও দৈনন্দিন ব্যয় চালাতে সরকারকে বিদেশি সহায়তা বা ব্যাংক ঋণের দিকে তাকাতে হতে পারে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই অচলাবস্থা বিনিয়োগ ও বৈদেশিক বাণিজ্যে বিরূপ প্রভাব ফেলবে।
দ্রুত আলোচনার মাধ্যমে সমঝোতায় না পৌঁছালে সংকট আরও বাড়বে এবং অর্থনীতির ওপর বড় প্রভাব ফেলবে বলে তারা জানান।

দেশ রূপান্তরের প্রধান শিরোনাম, '৮ লাখ কোটি টাকার বাজেট'
প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, ২০২৫-২৬ অর্থবছরের জন্য অন্তর্বর্তী সরকার সাত লাখ ৯০ হাজার কোটি টাকার বাজেট ঘোষণা করতে যাচ্ছে, যা আগের বছরের তুলনায় সামান্য কম।
এবারের বাজেট পেশ হবে ২রা জুন টেলিভিশনে, সংসদ না থাকায় এটি ভিন্নভাবে উপস্থাপন করা হচ্ছে। উচ্চ মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে বাজেট হবে সংকোচনমূলক।
করমুক্ত আয়ের সীমা বাড়ানো এবং সামাজিক নিরাপত্তা খাতে বরাদ্দ বৃদ্ধির উদ্যোগ নেওয়া হতে পারে।
জমি ও ফ্ল্যাট রেজিস্ট্রেশনে করহার ১৪-১৫ শতাংশ থেকে কমিয়ে আট থেকে নয় শতাংশ করা হতে পারে, যাতে কালো টাকার ব্যবহার কমে এবং রাজস্ব বাড়ে।
বাজেটে এবার কালো টাকা সাদা করার সুযোগ থাকছে না। সিগারেটের দাম না বাড়ার সম্ভাবনা রয়েছে, কারণ ইতোমধ্যে বছরেই দুইবার শুল্ক বেড়েছে।
এনবিআরের রাজস্ব আহরণে ঘাটতি রয়েছে, যার একটি বড় কারণ কর্মকর্তাদের আন্দোলন।
রাজস্ব লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে পাঁচ লাখ ১৮ হাজার কোটি টাকা। শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও কর্মসংস্থানে বরাদ্দ বাড়ানো হবে।
এডিপির আকার নির্ধারণ হয়েছে দুই লাখ ৩০ হাজার কোটি টাকা, যা গত বছরের চেয়ে কম।
ভ্যাট বাড়ছে এসি, ফ্রিজ ও মোবাইল ফোনে। বিদেশ থেকে বছরে একবার স্বর্ণ আনার সুযোগ থাকবে।
সরকার বলছে, এবারের বাজেট হবে বাস্তবভিত্তিক, অপচয় রোধে কৃচ্ছ্রনীতি অনুসরণ করা হবে।

বণিক বার্তার প্রধান শিরোনাম, 'জ্বালানি তেল আমদানিতে বিপিসির সাশ্রয় হবে ২৩ হাজার কোটি টাকা'
প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, ২০২৪-২৫ অর্থবছরে বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশন (বিপিসি) জ্বালানি তেল আমদানিতে প্রায় ২৩ হাজার কোটি টাকা সাশ্রয় করবে।
বিশ্ববাজারে তেলের দাম কমে যাওয়ায় এই সাশ্রয় সম্ভব হচ্ছে। মূল বাজেটে জ্বালানি তেল আমদানির জন্য ৯৯ হাজার ২৪৯ কোটি টাকা বরাদ্দ ছিল, যা সংশোধিত বাজেটে কমে দাঁড়িয়েছে ৭৫ হাজার ৯৮২ কোটি টাকায়।
এতে পরিশোধিত ও অপরিশোধিত তেল উভয় ক্ষেত্রেই ব্যয় কমেছে। তেলের প্রিমিয়াম খরচও কমানো গেছে দরকষাকষির মাধ্যমে।
বিশ্ববাজারে আরব লাইট ও মারবান ক্রুড অয়েলের দাম আগের তুলনায় অনেক কমেছে। বাংলাদেশে স্থানীয়ভাবে মাত্র আট শতাংশ তেলের চাহিদা পূরণ হয়, বাকি অংশ আমদানির উপর নির্ভরশীল।
সৌদি আরামকো ও অ্যাডনকের কাছ থেকে অপরিশোধিত তেল এবং অন্যান্য দেশ থেকে পরিশোধিত তেল আমদানি করা হয়।
আগে বিপিসি লোকসানে থাকলেও সাম্প্রতিক বছরগুলোতে মুনাফায় এসেছে। ২০২৩-২৪ অর্থবছরে তাদের সংরক্ষিত আয় ছিল ৩১ হাজার ৮৬৭ কোটি টাকা।
চলতি অর্থবছরেও প্রায় দুই ৭৬৭ কোটি টাকা উদ্বৃত্ত থাকতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। সরকারি কৌশলগত সিদ্ধান্ত ও প্রতিযোগিতামূলক দরপত্রের মাধ্যমে আমদানির খরচ হ্রাস পেয়েছে।

আজকের পত্রিকার প্রথম পাতার খবর, 'জমি-ফ্ল্যাটের নিবন্ধনে আসছে বড় সংস্কার'
প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, ২০২৪-২৫ অর্থবছর থেকে জমি ও ফ্ল্যাট রেজিস্ট্রেশনে বড় পরিবর্তন আসছে। এখন থেকে আর 'মৌজা মূল্য' নয়, বাস্তব বাজারদরের ভিত্তিতেই রেজিস্ট্রেশন হবে বাধ্যতামূলকভাবে।
এতে দলিলে প্রকৃত মূল্য দেখাতে হবে, যা কালোটাকার ব্যবহার ও রাজস্ব ফাঁকি রোধে সহায়ক হবে।
পাশাপাশি রেজিস্ট্রেশন ফি ও কর প্রায় ৪০ শতাংশ কমিয়ে আট থেকে নয় শতাংশে নামিয়ে আনার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। আগে করহার ছিল ১৪ থেকে ১৫ শতাংশ পর্যন্ত।
সরকার মনে করছে, এই পরিবর্তনে একদিকে রাজস্ব আদায় স্বচ্ছ হবে, অন্যদিকে জমি বা ফ্ল্যাট কেনাবেচায় কালোটাকার প্রবাহ কমবে।
কারণ, পূর্বের 'মৌজা মূল্য' অনেক ক্ষেত্রেই প্রকৃত দামের চেয়ে ৫ থেকে ১০ গুণ কম ছিল। ফলে রেজিস্ট্রেশনে কম দাম দেখিয়ে প্রকৃত লেনদেন গোপন রাখা হতো।
এই উদ্যোগে আবাসন বাজারের স্বচ্ছতা বাড়বে বলে মনে করছেন অর্থ উপদেষ্টা ও বিশ্লেষকরা। যদিও রিহ্যাব বাজারদর অনুযায়ী দলিল বাধ্যতামূলক করার বিষয়টি নিয়ে আপত্তি জানিয়েছে।
এনবিআরের মতে, এই সংস্কার বাজারকে দীর্ঘমেয়াদে স্থিতিশীল ও দুর্নীতিমুক্ত করবে। প্রতিটি এলাকার বাজারমূল্য নির্ধারণে জেলা প্রশাসকরা দায়িত্ব পাবেন এবং প্রতিবছর তথ্য হালনাগাদ হবে। ফলে রেজিস্ট্রেশন ব্যবস্থা হবে বাস্তবমুখী ও রাজস্ববান্ধব।
