
রাজধানীর ধানমন্ডি সেন্ট্রাল রোডের ভূতের গলিতে এক যুবককে প্রকাশ্যে কুপিয়ে জখম করার একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। গত রবিবার রাতের এই ঘটনায় গুরুতর আহত ওই যুবক বর্তমানে পঙ্গু হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। এ ঘটনায় সোমবার দিবাগত রাত সোয়া ১২টার দিকে নিউমার্কেট থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে।জানা গেছে, ভুক্তভোগী ওই যুবকের নাম সাইফ হোসেন মুন্না। তিনি নিউমার্কেট থানাধীন ১০ নং সেন্ট্রাল রোড পানির পাম্পের গলির মৃত জমির হোসেনের ছেলে। তাদের বাসা ভূতের গলির শেষ মাথায় চিলড্রেন হোম স্কুলের পাশে।পুলিশ জানিয়েছে, আহত ওই যুবক বিএনপির কর্মী। এই ঘটনায় মুন্নার ছোট বোন জামিলা কবির লাবনী বাদী হয়ে ৫ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতদের আসামি করে মামলা দায়ের করেছেন।
মামলার আসামিরা হলেন- ভূতের গলির পুকুরপাড় এলাকার এমসি শুভ (৩৫), মামুন (৩২), রানা (৩৩), শামীম (৩১) ও মোবারক (৩৩)। মামলায় পূর্ব শত্রুতার জেরে হামলার অভিযোগ করেছেন বাদী জামিলা কবির লাবনী।এ বিষয়ে কলাবাগান থানার ওসি মো. ফজলে আশিক গণমাধ্যমকে বলেন, ‘আমরা খবর পাওয়ার পরই ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। তবে ঘটনাস্থল নিউমার্কেট থানার অধীনে হওয়ায় সেখানেই মামলা হয়েছে।’
নিউমার্কেট থানার ওসি একে এম মাহফুজুল হক বলেন, ‘এই ঘটনায় সোমবার দিবাগত রাত সোয়া ১২টা দিকে মামলা হয়েছে। মামলায় ৫ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত কয়েকজনকে আসামি করা হয়েছে। ভুক্তভোগী ওই যুবকের বাবা নেই। এলাকাবাসী জানিয়েছে, তিনি খুবই নিরীহ প্রকৃতির, ৫ ওয়াক্ত নামাজ পড়েন। ওই যুবক বিএনপির কর্মী বলে জানা গেছে। তিনি সার্বক্ষণিক স্থানীয় বিএনপি নেতা মাইনুল হোসেনের সঙ্গেই থাকেন।’
তিনি আরও বলেন, ‘মুন্নার ওপর হামলার ঘটনাটি ঘটেছে সেন্ট্রাল রোডস্থ সুমাইয়া হোটেলের সামনে পাকা রাস্তার উপর। মামলায় বাদী অভিযোগ করেছেন পূর্ব শত্রুতার জেরে তার ভাইয়ের ওপর হামলা হয়েছে। আশা করি পুলিশি তদন্তে সবকিছু বেরিয়ে আসবে।’
এদিকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া মুন্নার ওপর হামলার ভিডিওতে দেখা গেছে, সড়কের ওপর সাইফ হোসেন মুন্নার গতিরোধ করেন একজন। এ সময় মোটরসাইকেলে ঘটনাস্থলে আসেন আরও দুইজন। আরেকটি মোটরসাইকেলে সেখানে হাজির হন আরেকজন। এ সময় মুন্নাকে প্রথমে একজন ধাক্কা দিয়ে ফেলে দেন এক হামলাকারী। পরে মোটরসাইকেল থেকে নেমে ধারালো অস্ত্র দিয়ে একজন এলোপাতাড়ি কোপানো শুরু করেন। ওই ব্যক্তি কালো পাঞ্জাবি এবং হেলমেট পরা ছিলেন। প্রাণ বাঁচাতে দৌড় দেওয়ার চেষ্টা করলে অন্যরা মুন্নাকে ধরে মারধর করেন।
জানা গেছে, ধারালো অস্ত্রের আঘাতে মুন্নার হাত ও পায়ে জখম হয়েছেন। তার শরীরে বেশ কয়েকটি কোপের দাগ রয়েছে। দুর্বৃত্তরা মুন্নাকে কুপিয়ে রাস্তায় ফেলে রেখে যায়। পরে স্থানীয়দের সহায়তায় পরিবারের লোকজন মুন্নাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যান।