
বিদেশে পালিয়ে থাকা অর্থপাচারকারীদের নাগরিকত্ব বাতিলের উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুর। মঙ্গলবার (১৯ মে) প্রধান উপদেষ্টার সভাপতিত্বে আয়োজিত এক উচ্চপর্যায়ের বৈঠক শেষে সংবাদ সম্মেলনে তিনি একথা জানান। বৈঠকে অর্থ উপদেষ্টা, গভর্নরসহ আর্থিক খাতের শীর্ষ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
গভর্নর জানান, বিগত সরকারের আমলে দেশের ব্যাংকিং ও আর্থিক খাতে ব্যাপক লুটপাট হয়েছে। এ সময়ে প্রায় ২৩৪ বিলিয়ন ডলার বিদেশে পাচার হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে। এসব অর্থ ফেরত আনার জন্য ইতোমধ্যে সংযুক্ত আরব আমিরাত, কানাডা, সিঙ্গাপুরসহ বিভিন্ন দেশের সঙ্গে আলোচনা চলছে। সংশ্লিষ্ট দেশগুলো বাংলাদেশের অনুরোধে তথ্যভিত্তিক সহায়তা দেওয়ার আশ্বাস দিয়েছে।
তিনি আরও জানান, পাচার হওয়া অর্থ ও জব্দ করা সম্পদের ব্যবস্থাপনার জন্য একটি বিশেষ তহবিল গঠনের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এই তহবিল থেকে ক্ষতিগ্রস্ত ব্যাংকগুলোকে ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে এবং আমানতকারীদের অর্থ ফেরত দেওয়ার ব্যবস্থাও করা হবে। তহবিলের একটি অংশ দরিদ্র জনগোষ্ঠীর কল্যাণেও ব্যয় করা হবে।
গভর্নরের ভাষ্যমতে, ইতোমধ্যে জব্দকৃত অবৈধ অর্থ, শেয়ার ও সম্পদের পরিমাণ প্রায় ২ লাখ কোটি টাকা। এর মধ্যে দেশে জব্দ হওয়া স্থাবর ও অস্থাবর সম্পদের মূল্য ১ লাখ ৩০ হাজার ৭৫৮ কোটি টাকা, এবং বিদেশে শনাক্ত ও ফ্রিজ করা সম্পদের পরিমাণ ১৬৪.০৩ মিলিয়ন ডলার। এছাড়া বিদেশে অবস্থিত ১৮ কোটি ডলারের সম্পদের হদিসও মিলেছে।
তিনি জোর দিয়ে বলেন, পাচার হওয়া অর্থ উদ্ধারে প্রতিটি পদক্ষেপ আইনগত প্রক্রিয়ার মাধ্যমে সম্পন্ন করা হবে এবং জনগণের কল্যাণে তা ব্যয় করা হবে।