
তৈরি পোশাক শিল্প মালিকদের সংগঠনের বিজিএমইএর নির্বাচনকেন্দ্রিক জোট ফোরামের পক্ষ থেকে চট্টগ্রামে আনুষ্ঠানিক প্রচারণা শুরু করেছেন প্রার্থীরা। ফোরামের প্যানেল লিডার মাহমুদ হাসান খান (বাবু) ও চট্টগ্রামের প্যানেল লিডার সেলিম রহমানের নেতৃত্বে শনিবার বিভিন্ন গ্রুপে বিভক্ত হয়ে ভোটারদের দ্বারে দ্বারে গেছেন। তাদের কাছে পৌঁছে দিয়েছেন পরিবর্তনের বার্তা।
প্রচারণা শুরুর প্রাক্কালে চট্টগ্রামের প্যানেল লিডার সেলিম রমহান বলেন, ‘বাংলাদেশের পোশাক শিল্পের বিষয়ে আন্তর্জাতিক এবং অভ্যন্তরীণভাবে যে দৃষ্টিকোণ রয়েছে সেখানে একটা বড় ধরণের পরিবর্তন আনতে চাই। আমাদের নির্বাচনি ইশতেহারে তৈরি পোশাক শিল্পের উন্নয়নে বিভিন্ন পরিকল্পনার কথা আমরা তুলে ধরেছি। কারখানা মালিক ও ভোটারদেরকে আমরা সেসব বিষয়ে বলতে চাই। এ শিল্পের অগ্রযাত্রা সহজ করতে পলিসি তৈরি ও বাস্তবায়নের বিষয়ে আমরা জোর দেব। মন্ত্রণালয় ও পলিসি লেভেলে দেন-দরবার করতে হবে।’
ফোরামের প্রার্থী ও কো-অর্ডিনেটর ড. রশীদ আহমেদ হোসাইনী বলেন, ‘বিজিএমইএ নির্বাচনে দুইটা গ্রুপ আছে। একটা গ্রুপ বার বারই ক্ষমতায় এসেছে। তাদের দুষ্টুবুদ্ধির কাছে ফোরাম বারবারই হেরে যায়। আমরা চাই ৫ আগস্টের পরে একটি সুষ্ঠু নির্বাচন হোক। যাতে সত্যিকার মালিকরা ভোট দিতে পারেন। ফোরামের পক্ষে যেন রায় দেন তারা। ফোরামের যারা প্রার্থী তারা নিজেরা ব্যবসা বুঝেন। নিজেরা ব্যবসা করেন। ব্যবসা কিভাবে টিকিয়ে রাখতে হয় সেটাও জানেন তারা। সে কারণে আমরা নিজেরাও ভোটারদের দ্বারে দ্বারে যাচ্ছি।’
নতুন প্রজন্মের প্রার্থী হিসেবে ফোরামে যুক্ত হয়েছেন যমুনা ডেনিমস লিমিটেডের পরিচালক সুমাইয়া ইসলাম রোজালিন। চট্টগ্রামে নির্বাচনি প্রচারণা শুরুর প্রাক্কালে তিলি বলেন, ‘আমি নতুন প্রজন্মের একজন। বর্তমানে বাংলাদেশ একটি পরিবর্তনের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। আমি বিশ্বাস করি, এ নির্বাচনে ফোরাম জয়ী হলে বাংলাদেশের পোশাক শিল্পখাতে ব্যাপক ইতিবাচক পরিবর্তন আনতে পারবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘ফোরামের উদ্দেশে হচ্ছে একটি স্বচ্ছ ও সুষ্ঠু নির্বাচন। চট্টগ্রামের পোশাক শিল্প মালিকসহ সারাদেশের বিজিএমইএ সদস্যদের কাছে আমি তাদের আন্তরিক সমর্থন এবং সহযোগিতা প্রত্যাশা করছি।’
আগামী ৩১ মে বিজিএমইএর নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে।