এখন থেকেই সত্য ও ন্যায়ের পক্ষে কলম ধরার অভ্যাস গড়ে তুলতে হবে বলে জানিয়েছেন আমার দেশ সম্পাদক মাহমুদুর রহমান। তিনি জানান, কলেজজীবন থেকেই দায়িত্বশীল সাংবাদিকতা শেখা গেলে, ভবিষ্যতে জাতীয় পর্যায়ের সাংবাদিকতায় নেতৃত্ব দেওয়া সম্ভব।
মঙ্গলবার সকাল ১১টায় সরকারি শহীদ সোহরাওয়ার্দী কলেজ সাংবাদিক সমিতি (সোকসাস)-এর চতুর্থ বর্ষে পদার্পণ উপলক্ষে হাসান মেহেদী অডিটোরিয়ামে প্রধান আলোচকের বক্তব্যে আমার দেশ সম্পাদক এ কথা বলেন।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সরকারি শহীদ সোহরাওয়ার্দী কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. কাকলী মুখোপাধ্যায়। বিশেষ আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি শহিদুল ইসলাম।
অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন কলেজের উপাধ্যক্ষ ড. ফরিদা ইয়াসমিন, দৈনিক প্রতিদিনের কাগজের ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক খায়রুল আলম রফিক, আজকের পত্রিকার হেড অব এডুকেশন আব্দুল রাজ্জাকসহ অনেকে।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে অধ্যাপক ড. কাকলী মুখোপাধ্যায় বলেন, সাংবাদিকতা মানেই দায়িত্বশীলতা ও বস্তুনিষ্ঠতা। সোকসাসের সদস্যরা যেভাবে সচেতনভাবে কাজ করে যাচ্ছে, তা সত্যিই প্রশংসনীয়। কলেজ প্রশাসন সবসময়ই তাদের পাশে থাকবে।
বিশেষ আলোচক শহিদুল ইসলাম বলেন, যেকোনো ভালো সাংবাদিকতার শুরু হয় ক্যাম্পাস থেকেই। সোকসাস সেই জায়গা থেকে একটি শক্তিশালী প্ল্যাটফর্ম হিসেবে প্রতিষ্ঠা পেয়েছে।
দৈনিক প্রতিদিনের কাগজের ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক খায়রুল আলম রফিক বলেন, সাংবাদিকতা শুধু পেশা নয়, এটি একটি নৈতিক দায়িত্ব। তরুণরা যদি এই মূল্যবোধ নিয়ে এগিয়ে আসে, তবে গণমাধ্যম আরও শক্তিশালী হবে।
সোকসাসের সভাপতি ইয়াসিন মোল্লা বলেন, গত তিন বছর ধরে আমরা তথ্যভিত্তিক সাংবাদিকতা, শিক্ষামূলক প্রতিবেদন ও ক্যাম্পাস বিষয়ক নানা ইস্যুতে কাজ করেছি। আজ আমাদের নিজস্ব কার্যালয় উদ্বোধনের মাধ্যমে সেই পথচলা আরও সুদৃঢ় হলো।
এ ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন ঢাকা ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি সাংবাদিক সমিতি, বাঙলা কলেজ সাংবাদিক সমিতি, ইডেন মহিলা কলেজ সাংবাদিক সমিতি, বদরুন্নেসা কলেজ সাংবাদিক সমিতি, তিতুমীর কলেজ সাংবাদিক সমিতির সদস্যরা। এছাড়াও কলেজের বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষক, সাবেক ও বর্তমান সাংবাদিক সদস্য, শিক্ষার্থী ও আমন্ত্রিত অতিথিরা অনুষ্ঠানটিকে প্রাণবন্ত করে তোলেন।
অনুষ্ঠানের শেষপর্বে কেক কেটে সোকসাসের ৩য় বর্ষপূর্তি এবং ৪র্থ বর্ষে পদার্পণ উদযাপন করা হয় এবং নতুন কার্যালয়ের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন ঘোষণা করা হয়।
