
আওয়ামী লীগের কার্যক্রম নিষিদ্ধ করার কারণে বাংলাদেশের মানুষ স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলেছে বলে মন্তব্য করেছেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম। তার ভাষায়, জাতিসংঘের এক প্রতিবেদনে ১ হাজার ৪০০ জন হত্যার তথ্য উঠে এলেও বাস্তবে এ সংখ্যা আরও বেশি বলে তাদের ধারণা। তবু এ নিয়ে আওয়ামী লীগের মধ্যে বিন্দুমাত্র অনুশোচনার দেখা মেলেনি। বরং, তাদের শাসনামলে যাকে খুশি তাকে জঙ্গি হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। এখন দলটি নিষিদ্ধ হওয়ায় দেশের মানুষ স্বস্তি ফিরে পেয়েছে।
আজ সোমবার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির ‘মিট দ্য প্রেস’ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন রিপোর্টার্স ইউনিটির সভাপতি আবু সালেহ আকন, সাধারণ সম্পাদক মাইনুল হোসেন সোহেলসহ নির্বাহী কমিটির অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।
শফিকুল আলম বলেন, “আওয়ামী লীগের নিষিদ্ধ হওয়ার বিষয়টি সার্বিকভাবে গ্রহণযোগ্যতা পেয়েছে। কোথাও কোথাও সামান্য আপত্তি থাকতে পারে, তবে তা কোনো বড় ইস্যু নয়।”
সাংবাদিকদের অধিকার ও সুযোগ-সুবিধা নিয়ে তিনি বলেন, “এই বিষয়গুলো নিয়ে সাংবাদিক ইউনিয়নগুলোর সোচ্চার হওয়া উচিত ছিল। মালিকদের সঙ্গে আলোচনা করে এসব সমস্যা সমাধানে তাদের উদ্যোগী হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু গত ১৫ বছরে আমাদের ইউনিয়নগুলো পূর্বাচলে প্লট পাওয়ার দৌড়ঝাঁপেই ব্যস্ত থেকেছে। এর মাধ্যমে তারা সাংবাদিকদের চরমভাবে প্রতারিত করেছে।”
এ সময় তিনি সরকারি গণসংযোগ অধিদপ্তর (ডিএফপি) নিয়েও সমালোচনা করেন। বলেন, “একটি আন্ডারগ্রাউন্ড পত্রিকা তথ্য চুরি করে অন্য পত্রিকা থেকে প্রতিবেদন কপি করে ছাপাচ্ছে—এটা কখনো ভালো সাংবাদিকতা হতে পারে না।”
বেতন কাঠামো প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “সাংবাদিকদের মাসিক বেতন ৩০ হাজার টাকার নিচে হওয়া উচিত নয়। কেউ এই বেতন দিতে না পারলে পত্রিকা বন্ধ করে দেওয়াই ভালো।”
অনুষ্ঠানে আরও বিভিন্ন প্রশ্নের জবাব দেন তিনি এবং সাংবাদিকদের সঙ্গে খোলামেলা মতবিনিময় করেন।