Image description
 

অন্তর্বর্তী সরকারের সহযোগিতায় ফ্যাসিবাদ আমলের সাবেক রাষ্ট্রপতি ও হত্যা মামলার আসামি আবদুল হামিদের দেশ ছাড়ার প্রতিবাদে সচিবালয় ঘেরাওয়ের চূড়ান্ত ডাক দিয়েছেন ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ উসমান হাদি।

বৃহস্পতিবার দুপুরে শরিফ উসমান হাদি তার ভেরিফায়েড ফেসবুক অ্যাকাউন্টে এই হুঁশিয়ারি দেন।

পোস্টে হাদি লেখেন, হামিদরেও বিদেশে পাড় কইরা দেওয়া হইছে! বাকিরাও কয়দিন পর জেল থেকে বের হয়ে নির্বাচন করবে!

তিনি আরও লেখেন, যদি কাফনের কাপড় পরে জীবন বাজি রেখে সচিবালয় ঘেরাওয়ের চূড়ান্ত ডাক দিই আমরা, কে কে আসবেন? 

 

ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র লেখেন, যারা নিশ্চিত করবেন, তাদের নামের তালিকা করে আমরা রাজপথে নামবো। এভাবে আর চলে না! আমরা বাঁইচা রইছি শহিদ হওয়ার জন্যই!

প্রসঙ্গত, গত বছরের ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার তীব্র আন্দোলনের মুখে পতন হয় শেখ হাসিনা ও তার দল আওয়ামী লীগের। এরপর থেকেই আত্মগোপনে রয়েছেন দলটির নেতাকর্মীরা। অনেকে ইতোমধ্যে দেশ ছাড়লেও এতদিন দেশেই ছিলেন আওয়ামী লীগ সরকারের আমলের সাবেক রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ। অবশেষে তিনিও দেশ ছাড়লেন।

ছাত্র জনতার অভ্যুত্থানের ৯ মাস পর বুধবার মধ্যরাতে দেশ ছাড়েন সাবেক রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ। এ সময় ছেলে ও শ্যালক তার সঙ্গে ছিলেন। 

বুধবার দিবাগত রাত ৩টা ৫ মিনিটে তিনি শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে থাইল্যান্ডের উদ্দেশে রওনা দেন। বিমানবন্দর সংশ্লিষ্ট সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

সূত্রটি জানিয়েছে, রাত ১১টার দিকে শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে যান আবদুল হামিদ। এ সময় তার সঙ্গে ছেলে রিয়াদ আহমেদ ও শ্যালক ড. এএম নওশাদ ছিলেন। সেখানে যাওয়ার পর ইমিগ্রেশনে প্রয়োজনীয় যাচাই-বাছাই শেষে দেশছাড়ার সবুজ সংকেত পান সাবেক রাষ্ট্রপতি।

আবদুল হামিদের বিরুদ্ধে কোনো সংস্থার কাছে কোন অভিযোগ ছিল না বলে জানা গেছে। রাত ৩টা ৫ মিনিটে থাই এয়ারওয়েজের টিজি ৩৪০ নম্বর ফ্লাইটে তারা তিনজন ব্যাংককের উদ্দেশে রওনা দেন। 

উল্লেখ্য, আবদুল হামিদ আওয়ামী লীগের সময় ২০১৩ থেকে ২০২৩ সাল পর্যন্ত টানা দুই মেয়াদে বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। তার আগে ২০০৯ থেকে ২০১৩ সালের এপ্রিল পর্যন্ত জাতীয় সংসদের স্পিকার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন।