
শিক্ষার্থীদের দেওয়া চার দফা দাবী মেনে না নেওয়া ও তাদের সঙ্গে কোনো আলোচনায় না বসায় বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের (ববি) প্রশাসনের প্রতীকী জানাজা দিয়েছেন শিক্ষার্থীরা। বৃহস্পতিবার (৩০ এপ্রিল) রাত ৮ টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকের সামনে বরিশাল-কুয়াকাটা মহাসড়কে তারা এ জানাজার আয়োজন করে।
প্রতীকী জানাজা শেষে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরের রুমে তালা ঝুলিয়ে গ্রাউন্ড ফ্লোরে "বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় উপাচার্যের ব্যর্থতার উপাখ্যান ও শিক্ষার্থীদের হাহাকার" শিরোনামে একটি ব্যানার টানিয়ে দেন। পরে তারা শিক্ষার্থীদের মাঝে সচেতনমূলক লিফলেট বিতরণ ও মুক্তমঞ্চে দাবিগুলো তুলে ধরেন।
এর আগে জুলাই আন্দোলনের সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করা শিক্ষকদের গুরুত্বপূর্ণ পদ থেকে অব্যহতি দেওয়া ও আওয়ামী ফ্যাসিস্টদের বিভিন্ন পদে আসীন করার কারণ দীর্ঘ প্রায় দশ দিন ধরে শিক্ষার্থীরা ক্যাম্পাসের ভিতরে আন্দোলন করেছে। কিন্তু প্রশাসন আমলে না নওলে গতকাল চার দফা দাবি নিয়ে মশাল মিছিল ও তিন ঘণ্টা বরিশাল-কুয়াকাটা মহাসড়ক অবরোধ করে রাখলেও প্রশাসনের কেউ শিক্ষার্থীদের সঙ্গে যোগাযোগ করেনি।
আন্দোলনকারী শিক্ষার্থী মোকাব্বেল শেখ বলেন, আমরা গত ১০ দিন ধরে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের ফ্যাসিস্টদের বিদায়ে আন্দোলন করছি কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন এখন পর্যন্ত আমাদের কোনো দাবি মেনে নেয়নি এমনকি গতকাল আমরা সড়ক অবরোধ করে আন্দোলন করলে পুলিশ, সেনাবাহিনী প্রশাসনের সঙ্গে যোগাযোগ করলেও তারা আমাদের সঙ্গে দেখা পর্যন্ত করতে আসেনি। সুতরাং আমরা মনে করছি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসন মারা গেছে সেকারণে আমরা আজকে প্রতীকী জানাজা ও কফিন মিছিল করেছি।
নাজমুল ঢালি বলেন, শিক্ষার্থীদের যৌক্তিক দাবি দীর্ঘদিন ধরে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনকে জানিয়ে আসছি কিন্তু প্রশাসন এখনো পর্যন্ত কোনো কার্যকরী পদক্ষেপ নেয়নি এবং তাদের এই নিস্তব্ধতার জন্য আজকে আমাদের এই কফিন মিছিল কর্মসূচি পালিত হয়েছে। আমরা আমাদের যৌক্তিক দাবি জানালে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসন থেকে আমাদের নামে মিথ্যা হয়রানিমূলক মামলা ও জিডি করে আন্দোলনকে দমন করার প্রচেষ্টা চালিয়েছে যা সম্পূর্ণ স্বৈরাচারী মনোভাবের বহিঃপ্রকাশ। আমরা অতিশীঘ্রই এই প্রশাসনের পদত্যাগ দাবি করছি। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের ব্যর্থতা কিনা জানতে প্রক্টর সোনিয়া খান সনিকে একাধিকবার ফোন করলেও তিনি ফোন ধরেননি।