
ভোট প্রস্তুতির অগ্রগতির বিষয়ে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিন বলেছেন, ভোটার তালিকা হালনাগাদ, কেনাকাটা থেকে আইনি সংস্কারে প্রয়োজনীয় সব কাজ করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
আজ বৃহস্পতিবার আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে বাংলাদেশে নবনিযুক্ত অস্ট্রেলিয়ান হাইকমিশনার সুসান রাইলি সিইসির সঙ্গে সাক্ষাৎ শেষে এ কথা জানান তিনি।
ভোট প্রস্তুতির বিষয়ে ‘এসব কাজের বিষয়ে আমরা খুব সিরিয়াস’ উল্লেখ করে সিইসি বলেন, ‘আমরা ভোটার রেজিস্ট্রেশনটাকে মেজর হিসেবে দেখেছি। এটা আমরা অলমোস্ট শেষ পর্যন্ত নিয়ে এসেছি। কেনাকাটার জন্য টেন্ডারের কাজ চলমান রয়েছে। সীমানা নির্ধারণের বিষয়টি আইন সংশোধনের জন্য পাঠানো হয়েছে।’
সিইসি আরও বলেন, রাজনৈতিক দল নিবন্ধনের জন্য দুই মাসের সময় বাড়ানো হয়েছে। আচরণবিধি সংশোধন করার চেষ্টা চলছে। পর্যবেক্ষকদের নীতিমালা নিয়েও কাজ চলছে।
ঐকমত্য কমিশনের মতামতের অপেক্ষা করা হবে কি না—সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে সিইসি নাসির বলেন, ‘আশু বাস্তবায়নযোগ্য, যেগুলো ইমার্জেন্সি রয়েছে যেগুলো আমরা করে ফেলতে পারব, নির্বাচনের আগে করা সম্ভব সেগুলো করে ফেলব। ঐকমত্য কমিশন থেকে বলবে কখন, কীভাবে তাঁরা করবেন। সেটা আমাদের হাতে নেই। নির্বাচনের আগে যেগুলো করা সম্ভব মনে করছি, উই আর ওয়ার্কিং অন দ্যাট।’
বৈঠকে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে ভোটের প্রস্তুতি ও সংস্কার কাজের অগ্রগতি অস্ট্রেলিয়ান হাইকমিশনারের কাছে তুলে ধরা হয়েছে বলে জানান সিইসি।
বৈঠক শেষে তিনি বলেন, ‘অস্ট্রেলিয়ার হাইকমিশনার আমাদের কাছে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনের জন্য আমরা কী প্রস্তুতি নিয়েছি, জানতে চেয়েছেন। আমাদের প্রস্তুতির কথা বিস্তারিতভাবে জানিয়েছি। সংস্কারের বিষয়ে জানতে চেয়েছেন, প্রধান কী কী বিষয়ে আমরা সংস্কার করতে যাচ্ছি।’
অস্ট্রেলিয়া কোনো সাহায্যের প্রয়োজন হলে সব ধরনের সহায়তার আশ্বাস দিয়েছে জানিয়ে সিইসি বলেন, ‘আমি বলেছি, ইউএনডিপি আমাদের সহায়তা করছেন আপনারা এটা দেখেন। দেখার পরে যদি আপনারা কোনো এরিয়ায় ইনভলব হতে চান, ইনভলব হতে পারেন।’
এর আগে অস্ট্রেলিয়ান হাইকমিশনার বলেন, আমাদের সঙ্গে ফলপ্রসূ আলোচনা হয়েছে। বাংলাদেশের আগামী নির্বাচন ফ্রি ও ফেয়ার হবে বলে প্রত্যাশা করি।