Image description

জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) সংশোধন প্রক্রিয়া দ্রুত সম্পন্ন করতে নির্বাচন কমিশন (ইসি) সারা দেশের জেলা পর্যায়ে ‘ক্র্যাশ প্রোগ্রাম’ চালু করেছে। এ কার্যক্রমের আওতায় আগামী ৩০ জুন পর্যন্ত সংশোধন আবেদনের দ্রুত নিষ্পত্তি নিশ্চিত করতে জেলা অফিসারদের বিশেষ দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।

জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন অনুবিভাগের পরিচালক মো. আব্দুল হালিম খান স্বাক্ষরিত এক অফিস আদেশে এ তথ্য জানানো হয়।

ইসি সূত্রে জানা গেছে, দীর্ঘদিন ধরে এনআইডি সংশোধন প্রক্রিয়ায় ধীরগতির অভিযোগ থাকায় নাগরিকদের হয়রানি এড়াতে এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। সংশ্লিষ্ট জেলা অফিসাররা প্রতিদিন নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত কাজ করে দ্রুত আবেদন নিষ্পত্তির ব্যবস্থা করবেন। প্রক্রিয়াটি সহজ করতে অনলাইন আবেদন যাচাই, সরল নথি যাচাই এবং মাঠপর্যায়ে সরেজমিন যাচাই কার্যক্রমকেও গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে।

অফিস আদেশে জানানো হয়, জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) সংশোধনের গতি বাড়াতে সারা দেশে বিশেষ ‘ক্র্যাশ প্রোগ্রাম’ চালু করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। এ উদ্যোগের আওতায় ‘গ’ ক্যাটাগরির আবেদন দ্রুত নিষ্পত্তির জন্য ৬৪ জেলার জেলা নির্বাচন কর্মকর্তাদের ক্ষমতা প্রদান করা হয়েছে। আগে শুধুমাত্র আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তারাই ‘গ’ ক্যাটাগরির আবেদন নিষ্পত্তির ক্ষমতা রাখতেন। তবে এখন থেকে প্রতিটি জেলার জেলা নির্বাচন কর্মকর্তারাও এই কাজ করতে পারবেন, যাতে সেবা আরও দ্রুত ও কার্যকরভাবে দেওয়া সম্ভব হয়। ঢাকা, কুমিল্লা, চট্টগ্রাম ও ময়মনসিংহ অঞ্চলে এনআইডি সংশোধনের আবেদন সংখ্যা তুলনামূলক বেশি হওয়ায় এসব অঞ্চলের সিনিয়র জেলা নির্বাচন কর্মকর্তাদের পাশাপাশি জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন অনুবিভাগের কর্মকর্তাদেরও সংশোধন কাজের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।

এতে বলা হয়, এ ছাড়া বৃহত্তর ১৯টি সিনিয়র জেলার ‘খ’ ক্যাটাগরির অনিষ্পন্ন আবেদন নিষ্পত্তির লক্ষ্যে সংশ্লিষ্ট অতিরিক্ত জেলা নির্বাচন কর্মকর্তাদের বিশেষ ক্ষমতা প্রদান করা হয়েছে। বিশেষ করে ঢাকা ও চট্টগ্রাম জেলার ক্ষেত্রে অতিরিক্ত জেলা নির্বাচন কর্মকর্তাদের পাশাপাশি উপজেলা ও থানা নির্বাচন কর্মকর্তাদেরও সংশ্লিষ্ট ‘খ’ ক্যাটাগরির আবেদন নিষ্পত্তির ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে। নির্বাচন কমিশনের নির্দেশনা অনুযায়ী, ক্ষমতাপ্রাপ্ত কর্মকর্তারা নিজ নিজ অঞ্চলের সব অনিষ্পন্ন আবেদন আগামী ৩০ জুনের মধ্যে নিষ্পত্তি করবেন।

অফিস আদেশে আরও জানানো হয়, আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তারা ‘গ’ ক্যাটাগরির আবেদনগুলো নিষ্পত্তিসহ বিশেষ কার্যক্রম (ক্র্যাশ প্রোগ্রাম) সফল করতে প্রয়োজনীয় সমন্বয় ও তত্ত্বাবধান করবেন বলেও অফিস আদেশে জানানো হয়। ঢাকা ও চট্টগ্রাম জেলার সিনিয়র জেলা নির্বাচন কর্মকর্তারা নিজ দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি বিশেষ কার্যক্রমের (ক্রাশ প্রোগ্রাম) সমন্বয় ও তত্ত্বাবধান করবেন। দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তারা অবশ্যই পুরাতন আবেদনগুলো অগ্রাধিকার ভিত্তিতে নিষ্পত্তি করবেন। সেইসঙ্গে জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন অনুবিভাগে পরিচালক (পরিচালনা) বিশেষ কার্যক্রম (ক্রাশ প্রোগ্রাম) সামগ্রিক বিষয় মনিটরিং এবং প্রতি ১৫ দিন অন্তর অন্তর এ কাজের অগ্রগতির প্রতিবেদন এনআইডি মহাপরিচালককে অবগত করবেন।