Image description

নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. এনায়েত হোসেনের একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে, যেখানে তাকে সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করতে অর্থ নিতে দেখা গেছে বলে অভিযোগ উঠেছে। তবে ওসি এ অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।

ভাইরাল হওয়া ভিডিওতে দেখা যায়, এক ব্যক্তি জিডি করার জন্য আবেদনপত্রের সঙ্গে টাকা দেন। তখন ওসিকে বলতে শোনা যায়, “কম টাকা দিলে ইজ্জত থাকে?” এ কথা বলেই তিনি আবেদনপত্রসহ টাকাটি তার ড্রয়ারে রেখে দেন। ভিডিওতে আরও দেখা যায়, ওই সময় ওসির সামনে দু’জন ব্যক্তি বসা ছিলেন এবং তাদের সামনেই ঘটনাটি ঘটে।

গতকাল শুক্রবার ভিডিওটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। তবে ভিডিওটি কবে ধারণ করা হয়েছে তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি। সূত্রে জানা গেছে, এটি বিএনপির খাগকান্দা ইউনিয়ন শাখার সভাপতি বেলায়েত হোসেন ও ওসি এনায়েত হোসেনের মধ্যে কথোপকথনের অংশ। একটি বিষয়ে জিডি করতে গেলে এ ঘটনা ঘটে এবং কারও দ্বারা ভিডিওটি গোপনে ধারণ করা হয়।

ঘুষ লেনদেনের বিষয়টি অস্বীকার করে আড়াইহাজার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এনায়েত হোসেন বলেন, ‘২-৩ মাস আগে খাগকান্দা এলাকায় কিস্তির টাকা নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে বিরোধ দেখা দেয়। এ নিয়ে ভুক্তভোগী এক নারী থানায় অভিযোগ করেন। তবে ঘটনাটি অনেকদিন আগের হওয়ায় ভুক্তভোগীদের নাম ভুলে গেছি। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে বিএনপি নেতা বেলায়েত হোসেন, মাসুম শিকারীসহ আরও কয়েকজনের সামনে পাওনাদারের আনুমানিক দুই থেকে আড়াই হাজার টাকা আমার হাতে দেওয়া হয়। সেই টাকা ভুক্তভোগীকে দিয়ে দেওয়া হয়েছে।’

তিনি আরও বলেন, ‘তবে সেই টাকার পরিমাণ কম দেওয়ায় আমি বলেছি, এত অল্প টাকায় মানসম্মান থাকে না। সেই ঘটনাকে কে বা কারা ভিন্ন রূপ দিয়ে পুলিশ প্রশাসনকে চাপে ফেলার চেষ্টা করছে।’ ওসি এনায়েত হোসেন বলেন, ‘আমি কারও কাছ থেকে ঘুষ নিইনি। আর জিডি করতে কাউকে কোনো টাকা দিতে হয় না। প্রয়োজনে কেউ গোপনে এসে এটা যাচাই-বাছাই করতে পারে।’

বিষয়টি নিয়ে জানতে বিএনপি নেতা বেলায়েত হোসনের সঙ্গে যোগযোগ করা হলে তিনি বলেন, ‘ঘটনাটি আমার মনে নেই। কি কারণে ওসিকে টাকা দিয়েছি তাও এ মুহূর্তে মনে পড়ছে না।’