
কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামের ঘোলপাশা ইউনিয়নের সীমান্তবর্তী সালুকিয়া গ্রামে বিজিবি সদস্যদের ওপর হামলা করেছে মাদক চোরাকারবারিরা। গতকাল বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত সাড়ে ১২টার দিকে টহলরত বিজিবি সদস্যদের ওপর এ হামলার ঘটনা ঘটে। হামলায় বিজিবির নায়েক মো. আবু জাফর ও ন্যান্সনায়েক সাইদুল ইসমাল আহত হয়েছেন।
এ ঘটনায় বিজিবির ক্যাম্প কমান্ডার বাদী হয়ে আটজনের নাম উল্লেখ করে ৪৮ জনের বিরুদ্ধে আজ শুক্রবার সকালে থানায় মামলা করেছেন। চৌদ্দগ্রাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. হিলাল উদ্দিন আহমেদ এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
মামলার আসামিদের মধ্যে রয়েছেন মাদক কারবারি আলেয়া বেগম এবং তাঁর সহযোগী সালুকিয়া দক্ষিণপাড়ার মো. শুভ, আজাদ, মো. ইউসুফ, রুবেল, আল আমিন, খোকন ও শাকিল। এর মধ্যে আলেয়া বেগমকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
বিজিবির আমানগন্ডা বিওপির নায়েক মো. আবু জাফর মামলায় উল্লেখ করেন, আমানগন্ডা বিওপির একটি দল দক্ষিণ শালুকিয়া গ্রামে সীমান্ত পিলার নম্বর ২১০৬/৪ থেকে বাংলাদেশের আনুমানিক ২০০ গজ ভেতরে দায়িত্ব পালন করছিল। এ সময় বিজিবি দেখতে পায় তিন ব্যক্তি মাথায় কোনো বস্তু নিয়া ভারত সীমান্তের দিক থেকে বাংলাদেশের ভেতরে দৌড়ে আসছে। তখন বিজিবি তাদের থামতে বলে। ধাওয়া দিলে চোরাকারবারিরা ধানখেতে ওই বস্তু ফেলে পালিয়ে যায়। পরে বিজিবি সেখান থেকে ১৬ কেজি গাঁজা উদ্ধার করে।
এদিকে মাদক কারবারিরা স্থানীয় গ্রামের মানুষকে মিথ্যা তথ্য দিয়ে মাইকে ঘোষণা দেয় যে এলাকায় ডাকাত ঢুকেছে। পরে স্থানীয় নারী মাদক কারবারি আলেয়া বেগমের নেতৃত্বে ৩৫-৪০ জন রামদা, টেঁটা, লাঠিসোঁটা নিয়ে বিজিবি সদস্যদের ওপর হামলা চালায়। খবর পেয়ে বিজিবির আরও দুটি টিম গিয়ে বিজিবি সদস্যদের উদ্ধার করে। আহত ক্যাম্প কমান্ডার নায়েক মো. আবু জাফর ও ল্যান্সনায়েক সাইদুল ইসলাম চৌদ্দগ্রাম উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা নেন। পরে বিজিবির ওপর হামলা ও ১৬ কেজি মাদক বহনের অভিযোগে আলেয়া বেগমকে আটক করা হয়।
চৌদ্দগ্রাম থানার ওসি মোহাম্মদ হিলাল উদ্দিন আহমেদ বলেন, বিজিবির ওপর হামলার ঘটনায় ক্যাম্প কমান্ডার বাদী হয়ে আটজনের নাম উল্লেখ ও অজ্ঞাতনামা ৪০ মাদক কারবারিদের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন। এ ঘটনায় বিজিবি আলেয়া বেগম (৪৮) নামে এক নারীকে আটক করে থানায় সোপর্দ করেছেন। অপর আসামিদের গ্রেপ্তারে পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।