Image description

নরসিংদী জেলা বিএনপির সদস্য সচিব মঞ্জুর এলাহীর বিরুদ্ধে শারীরিক সম্পর্কের অভিযোগ এনে স্ত্রীর মর্যাদা চেয়েছেন শারমিন রেজোয়ানা নামে এক স্কুল শিক্ষিকা। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পোস্ট করা এক ভিডিওতে তিনি এই দাবি করেন। এর জেরে শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগে গত বুধবার ওই শিক্ষিকাকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। 

মঞ্জুর এলাহী নরসিংদী সদর উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান।

তিনি একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপির প্রার্থী হিসেবে নরসিংদী-৩ (শিবপুর) আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। জেলা বিএনপির শীর্ষ নেতার বিরুদ্ধে অনৈতিক সম্পর্কের অভিযোগ প্রকাশ পাওয়ার পর রাজনৈতিক অঙ্গন ও সামাজিক মাধ্যমে সমালোচনার ঝড় উঠেছে।

জানা গেছে, নরসিংদীর মাধবদী থানার আলগী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষিকা শারমিন রেজোয়ানা ফেসবুকে বেশ কয়েকটি পোস্ট করেন। এতে তিনি অভিযোগ করে বলেন, স্বামীর সঙ্গে বিচ্ছেদের পর জেলা বিএনপির সদস্য সচিব মঞ্জুর এলাহীর সঙ্গে তার পরিচয় হয়।

পরিচয়ের এক পর্যায়ে শহরের আজিজ বোডিংয়ের একটি বাসায় নিয়ে বিয়ের আশ্বাস দিয়ে তার সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক করেন মঞ্জুর এলাহী। পরবর্তীতে তার সঙ্গে যোগাযোগ বন্ধ করে দেন মঞ্জুর এলাহী। জেলা বিএনপির শীর্ষ নেতার বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ ওঠার পর বিষয়টি মুহূর্তেই ভাইরাল হয়ে যায়। 

 

এদিকে অনৈতিক সম্পর্কের অভিযোগের মধ্যেই খবর বের হয় ভুক্তভোগী নারীর মুখ বন্ধ করতে বিপুল অর্থ খরচ করেছেন প্রভাবশালী ওই শিল্পপতি বিএনপি নেতা।

টাকা দেওয়ার একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। 

 

এদিকে বিএনপি নেতার সম্পর্কে কুরুচিপূর্ণ বক্তব্যের অভিযোগ এনে শারমিন রেজোয়ানার বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছেন সাতপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক কবির হোসেন ভূঞা। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে গত ৮ এপ্রিল ওই শিক্ষিকাকে সাময়িক বরখাস্ত করেছেন জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা নিরঞ্জন কুমার রায়।

এর আগে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে শিক্ষার্থী হত্যাসহ বিভিন্ন অভিযোগে আদালতে মামলা করার কয়েক ঘণ্টার মধ্যে বাদীকে তুলে নিয়ে মামলা প্রত্যাহার করানোর অভিযোগ রয়েছে মঞ্জুর এলাহীর বিরুদ্ধে। ওই সময় তিনি নিজে আদালতে উপস্থিত থেকে মামলা প্রত্যাহারের বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

এ ঘটনায় নরসিংদীজুড়ে সমালোচনার সৃষ্টি হয়। অভিযোগ আছে ১১ কোটি টাকা লেনদেনের মাধ্যমে মামলাটি তুলে নেওয়া হয়েছিল।