
গান, কবিতা ও আনন্দ শোভাযাত্রায় বরণ করে নেয়া হচ্ছে বাংলা নতুন বছরকে। তবে শুধু দেশের মানুষ নয়, নেচে-গেয়ে উৎসবে মেতে উঠেছেন বিদেশি শিক্ষার্থী ও পর্যটকরাও।
ঐতিহ্যের ধারায় সুর, কাব্য আর কথামালায় নতুন বছর ১৪৩২ বঙ্গাব্দকে স্বাগত জানালো বাংলাদেশ। সোমবার (১৪ এপ্রিল) ভোরের আলো ফুটতেই ছায়ানটের আনুষ্ঠানিকতায় রমনা বটমূলে সুর-লহরীতে বরণ করা হয় নতুন সূর্য।
এবারের মূল বার্তা, ‘আমার মুক্তি আলোয় আলোয়’। অতীতের অশুভকে বিদায় দিয়ে নতুন বছরে সবার চাওয়া-বিভেদ-অশান্তি ঘুচে দৃঢ় হোক সম্প্রীতির বন্ধন। এ আয়োজনের প্রকাশ পায় ফিলিস্তিনের নিপীড়িত মানুষের পাশে থাকার বার্তাও।
সকাল ৯টায় ‘নববর্ষের ঐকতান, ফ্যাসিবাদের অবসান’ প্রতিপাদ্য নিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) চারুকলা অনুষদ থেকে বের হয় ‘বর্ষবরণ আনন্দ শোভাযাত্রা’। এতে অংশ নেন চারুকলার শিক্ষক-শিক্ষার্থী, বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থী, সাংস্কৃতিক সংগঠনের কর্মী এবং নানা বয়সি মানুষ।
এতে অংশ নেন জাপান, ফ্রান্স, রাশিয়া, জার্মানিসহ নানা দেশের পর্যটক ও শিক্ষার্থীরাও। কেউ গলায় বাঁশি ঝুলিয়ে বাজাচ্ছেন, কেউ আবার লাল-সাদা শাড়ি-পাঞ্জাবিতে বাঙালির সাজে ঢুকে পড়েছেন।
শোভাযাত্রায় মুখোশ, পাপেট, বাঁশের তৈরি বাঘ, পাখি, মাছসহ নানা বিশালাকৃতির শিল্পকর্মের মাধ্যমে তুলে ধরা হয় গ্রামীণ জীবন ও প্রকৃতিনির্ভর মানুষের সংগ্রামের রূপ।