Image description
জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে তৎপর ইসি। সংস্কারের চেয়ে বিদ্যমান আইন ও বিধিতে অগ্রাধিকার । সরকার আইনের সংশোধনী অনুমোদন না করায় আটকে আছে সংসদীয় আসনের সীমানা নির্ধারণ ।

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন আয়োজনের প্রধান প্রস্তুতিমূলক কাজগুলো গুছিয়ে আনছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। চলতি বছরের ডিসেম্বরে ভোটগ্রহণ এবং অক্টোবরে তফশিল ঘোষণার টার্গেট করে এগোচ্ছে। বিদ্যমান আইন ও বিধিমালাকে প্রাধান্য দিয়ে এসব প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে। এক্ষেত্রে তুলনামূলক কম গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কার সুপারিশগুলোকে। সংস্কার কমিশনগুলোর সুপারিশ নিয়ে অন্তর্বর্তী সরকারের সঙ্গে রাজনৈতিক দলগুলোর সংলাপ চলা অবস্থায় নির্বাচনের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট কয়েকটি নীতিমালার খসড়া অনুমোদন দিয়েছে ইসির এ সংক্রান্ত কমিটি। ওই কমিটি ‘সংসদ নির্বাচনে রাজনৈতিক দল ও প্রার্থীর আচরণ বিধিমালা’র খসড়াও প্রায় চূড়ান্ত করেছে। মোটকথা জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফশিল ঘোষণার আগে যেসব প্রস্তুতি দরকার, সেগুলো জুলাই থেকে আগস্টের মধ্যে শেষ করার লক্ষ্যে কাজ করছে কমিশন। ইসি সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।

সংশ্লিষ্টরা জানান, প্রস্তুতিমূলক কাজগুলো করতে গিয়ে কিছু কিছু ক্ষেত্রে সরকারের সঙ্গে ইসির ‘কিছুটা দূরত্ব’ দেখা যাচ্ছে। সম্প্রতি এর বড় উদাহরণ হচ্ছে জাতীয় সংসদের সীমানা নির্ধারণসংক্রান্ত আইনের খসড়া উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে এজেন্ডাভুক্ত হওয়ার পরও তা প্রত্যাহার করে নেয় আইন মন্ত্রণালয়। ওই সংশোধনীর অধ্যাদেশ জারি না হওয়ায় সীমানা নির্ধারণে মাঠপর্যায়ের কাজ শুরু করা যাচ্ছে না। জুনের মধ্যে এই কাজ শেষ করার লক্ষ্য রয়েছে ইসির। এছাড়া ১৯ মার্চ মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ এক চিঠিতে জাতীয় নির্বাচনের মূল আইন ‘গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ’ (আরপিও), ‘রাজনৈতিক দল ও প্রার্থীর আচরণ বিধিমালা’সহ নয়টি বিষয়ে সংস্কার কমিশনের সুপারিশের ওপর ইসির মতামত চাওয়া হয়েছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ইসির একাধিক কর্মকর্তা জানান, ওই নয়টি বিষয়ে সংস্কার কমিশনের সব সুপারিশ বাস্তবায়নযোগ্য নয় বলে মনে করছে কমিশন। নির্বাচন কমিশন নিজস্ব গতিতে প্রস্তুতি নিচ্ছে। এরই মধ্যে সরকারের এই চিঠি ইসির কাজে কিছুটা হলেও প্রভাব ফেলছে।

তবে জাতীয় সংসদ নির্বাচনের মূল আইন গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ (আরপিও) এবং নির্বাচন পরিচালনা বিধিমালার সংশোধনীর খসড়া চূড়ান্ত করেনি কমিশন। নির্বাচন কর্মকর্তা ও ভোটগ্রহণ কর্মকর্তাদের প্রশিক্ষণ দেওয়ার পরিকল্পনা করা হয়নি। রাজনৈতিক দল, সুশীল সমাজ, নির্বাচন বিশেষজ্ঞসহ বিভিন্ন স্টেকহোল্ডারদের সঙ্গে এপ্রিলের মধ্যে সংলাপের পরিকল্পনা থাকলেও তা শুরু করেনি।

জানতে চাইলে নির্বাচন কমিশনার মো. আনোয়ারুল ইসলাম সরকার শনিবার যুগান্তরকে বলেন, জাতীয় ঐকমত্য কমিশন থেকে গুরুত্বপূর্ণ ভালো কিছু সুপারিশ এলে নির্বাচন কমিশন বিবেচনা করবে। তিনি বলেন, চলতি বছরের ডিসেম্বরে ভোটগ্রহণ হবে-এমন লক্ষ্যমাত্রা অনুযায়ী প্রস্তুতি নিচ্ছে। ডিসেম্বরে ভোটগ্রহণ করতে হলে অক্টোবরে তফশিল ঘোষণা করতে হবে। ওই সময়সীমা সামনে রেখে কাজগুলো এগিয়ে নেওয়া হচ্ছে।

তিনি জানান, সীমানা নির্ধারণ আইন সংশোধনীসহ কয়েকটি নীতিমালার সংশোধনী প্রস্তাব ‘সীমানা পুনর্নির্ধারণ, রাজনৈতিক দলের নিবন্ধন, জাতীয় ও স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানের নির্বাচন প্রস্তুতি, ভোটকেন্দ্র স্থাপন, ভোটগ্রহণ কর্মকর্তাদের প্যানেল প্রস্তুত ও তদারকি এবং উপকারভোগী পর্যায়ে আলোচনাবিষয়ক কমিটিতে’ অনুমোদিত হয়েছে। তবে কমিশন সভায় ওইসব প্রস্তাব এখনো পাশ হয়নি। তাই এসবকে এখনোই চূড়ান্ত বলা যাবে না।

সংস্কার কমিশনগুলোর সুপারিশ চূড়ান্ত করতে ২০ মার্চ থেকে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আনুষ্ঠানিক সংলাপ শুরু করেছে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন। লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টি-এলডিপি দিয়ে শুরু হওয়া এ সংলাপে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলকে আমন্ত্রণ জানানো হচ্ছে। সংলাপ শেষ না হওয়ায় সংস্কার কমিশনগুলোর সুপারিশের বিষয়ে সরকার এখনো সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত করেনি। এদিকে সংস্কারের আগে নির্বাচন নাকি সংস্কারের পর নির্বাচন-এ নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে মতপার্থক্য রয়েছে। নির্বাচনের জন্য প্রয়োজনীয় সংস্কার শেষে চলতি বছরের মধ্যে জাতীয় সংসদ নির্বাচন দাবি করেছে বিএনপি। অপরদিকে জামায়াতে ইসলামী ও জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) সংস্কারের পর নির্বাচন চায়।

জানা গেছে, জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফশিল ঘোষণার আগে যেসব মৌলিক প্রস্তুতি নেওয়া দরকার, তার প্রায় সবই এগিয়ে রাখছে ইসি। অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ কাজ নতুন রাজনৈতিক দল নিবন্ধন এবং ভোটার তালিকা হালনাগাদ কার্যক্রম। এ দুটি কার্যক্রম চলমান। জুনের মধ্যে এসব কাজ শেষ করার লক্ষ্য রয়েছে ইসির। এছাড়া ‘বিদেশি পর্যবেক্ষক ও সাংবাদিক নীতিমালা’, ‘নির্বাচন পর্যবেক্ষণ নীতিমালা’ (দেশীয়), ‘গণমাধ্যমকর্মীদের জন্য নীতিমালা’ এবং ‘ভোটকেন্দ্র স্থাপন ও ব্যবস্থাপনা নীতিমালা’র সংশোধনীর খসড়া প্রস্তাব তৈরি করেছে ‘সীমানা পুনর্নির্ধারণ, রাজনৈতিক দলের নিবন্ধন, জাতীয় ও স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানের নির্বাচন প্রস্তুতি, ভোটকেন্দ্র স্থাপন, ভোটগ্রহণ কর্মকর্তাদের প্যানেল প্রস্তুত ও তদারকি’ কমিটি। এই কমিটির আহ্বায়ক নির্বাচন কমিশনার মো. আনোয়ারুল ইসলাম সরকার।

অন্য প্রস্তুতির মধ্যে রয়েছে-স্বচ্ছ ব্যালট বক্স, স্ট্যাম্প প্যাড, বিভিন্ন ধরনের সিলসহ ভোটগ্রহণের সরঞ্জাম সংগ্রহ। সরঞ্জাম সংগ্রহে জাতিসংঘের উন্নয়ন কর্মসূচির (ইউএনডিপি) সঙ্গে ইসির এক ধরনের সমঝোতা হয়েছে। ১২ ধরনের সরঞ্জাম সরবরাহ করতে ইউএনডিপিকে চিঠি দিয়েছে ইসি। পাশাপাশি টেন্ডারের মাধ্যমে সরঞ্জাম কেনার দরকার হলে সেই বিকল্প প্রস্তুতিও নিয়ে রাখছে ইসি সচিবালয়।

নির্বাচন কমিশনের একাধিক কর্মকর্তা জানান, জাতীয় সংসদ নির্বাচনের প্রস্তুতিমূলক কাজগুলোর কোনটি কখন করা হবে-তার একটি চেকলিস্ট তৈরি করা হয়েছে। এতে তফশিল ঘোষণার আগপর্যন্ত যেসব প্রস্তুতিমূলক কাজ রয়েছে, সেগুলো জুন থেকে আগস্টের মধ্যে শেষ করার লক্ষ্য রয়েছে। সেই কাজের মধ্যে নির্বাচনি অংশীজনদের সঙ্গে সংলাপও রয়েছে।

সংসদীয় আসনের সীমানা নির্ধারণ : সূত্র জানায়, জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে সীমানা নির্ধারণ একটি গুরুত্বপূর্ণ ও সময়সাপেক্ষ কাজ। আইনের সংশোধনী পাশ না হওয়ায় সীমানা নির্ধারণে মাঠপর্যায়ের কাজ শুরু করতে পারছে না কমিশন। তবে এ সংক্রান্ত বিভিন্ন দপ্তর ও সংস্থার তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহ করে রেখেছে ইসি। সংশ্লিষ্টরা জানান, সীমানা পুনর্নির্ধারণ আইনে বড় ধরনের পরিবর্তন আনার সুপারিশ করে নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কার কমিশন। আর ইসি বিদ্যমান আইনের ৪, ৬ ও ৮ ধারায় সংশোধনী প্রস্তাব পাঠায়। ওই প্রস্তাবের ওপর মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ বৈঠকের পর তা সংশোধনের জন্য উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে এজেন্ডাভুক্ত করা হয়। পরে ওই এজেন্ডা প্রত্যাহার করে নেয় আইন মন্ত্রণালয়। আইনের সংশোধনী পাশ না হওয়ায় সীমানা নির্ধারণের মাঠপর্যায়ের কাজ শুরু করতে পারছে না ইসি। সংশ্লিষ্টরা জানান, মাঠপর্যায়ের সীমানা নির্ধারণ করতে ৩-৪ মাস সময়ের প্রয়োজন হবে।

জানতে চাইলে নির্বাচন কমিশনের সিনিয়র সচিব আখতার আহমেদ যুগান্তরকে বলেন, আইন সংশোধনীর প্রস্তাব আরও পরীক্ষার জন্য প্রত্যাহার করা হয়েছে। এটি এখন আইন মন্ত্রণালয়ে রয়েছে। তারাই বাকি প্রক্রিয়া করবে। আমাদের প্রস্তাব আগেই পাঠিয়েছি। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আইন সংশোধন না হলে সীমানা নির্ধারণের কাজ শুরু করা যাচ্ছে না। আগে যে সীমানা ছিল, তাই থাকবে।

রাজনৈতিক দল নিবন্ধন ও ভোটার তালিকা হালনাগাদ : বাড়ি বাড়ি গিয়ে তথ্য সংগ্রহের মাধ্যমে ভোটার তালিকা হালনাগাদ করছে ইসি। ইতোমধ্যে ৫৭ লাখের বেশি নাগরিকের তথ্য সংগ্রহ হয়েছে। ২ আগস্ট হালনাগাদ চূড়ান্ত ভোটার তালিকা প্রকাশের পরিকল্পনা রয়েছে ইসির। এদিকে আরপিও সংশোধনী ছাড়াই বিদ্যমান আইনেই নতুন রাজনৈতিক দল নিবন্ধনে ২০ মার্চ গণবিজ্ঞপ্তি জারি করেছে ইসি। নিবন্ধন পেতে ইচ্ছুক দলগুলোকে ২০ এপ্রিলের মধ্যে আবেদন করতে বলা হয়েছে। ৩০ জুনের মধ্যে নতুন দল নিবন্ধন কার্যক্রম শেষ করার লক্ষ্য রয়েছে ইসির।

আচরণবিধি সংশোধন : আরপিও সংশোধনের আগেই ‘রাজনৈতিক দল ও প্রার্থী আচরণ বিধিমালা’ সংশোধনীর খসড়া চূড়ান্ত করে আনছে ‘সীমানা পুনর্নির্ধারণ, রাজনৈতিক দলের নিবন্ধন, জাতীয় ও স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানের নির্বাচন প্রস্তুতি, ভোটকেন্দ্র স্থাপন, ভোটগ্রহণ কর্মকর্তাদের প্যানেল প্রস্তুত ও তদারকি এবং উপকারভোগী পর্যায়ে আলোচনা বিষয়ক কমিটি’। এতে জাতীয় সংসদ নির্বাচনে রাজনৈতিক দল বা প্রার্থীর পক্ষে প্রচারণাসহ নির্বাচনি কার্যক্রমে সরকারের উপদেষ্টাদের সম্পৃক্ত হওয়ার ওপর বিধিনিষেধ আরোপ করা হচ্ছে। এজন্য ‘সরকারি সুবিধাভোগী অতি গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি’র সংজ্ঞায় ‘অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্যসহ সমপর্যায়ের ব্যক্তি’ অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। খসড়া বিধিমালায় আরও কিছু সংশোধনী আনার প্রস্তাব করা হয়েছে। কোনো প্রার্থী আচরণ বিধিমালা লঙ্ঘন করলে তার প্রার্থিতা বাতিলের যে ক্ষমতা আরপিওতে ইসিকে দেওয়া হয়েছে, সেটা আবারও যুক্ত করা হয়েছে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নির্বাচনি প্রচারকে আইনি কাঠামোয় আনা হচ্ছে। নির্বাচনি প্রচারের মিছিল করার সুযোগ ফিরিয়ে আনা হচ্ছে। তবে বন্ধ করা হচ্ছে জনসভা এবং বিলবোর্ড। এছাড়া পরিবেশের মান রক্ষায় নির্বাচনি পোস্টারে পলিথিন এবং প্লাস্টিক ব্যানার (পিভিসি) ব্যবহারে নিষেধাজ্ঞা আরোপের প্রস্তাব করা হয়েছে। মাইক ব্যবহারের ক্ষেত্রে শব্দের মান ৬০ ডেসিবল প্রস্তাব করা হয়েছে।

ভোটকেন্দ্র নীতিমালা : জানা গেছে, ২০০৮ সালের আদলে ‘জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ভোটকেন্দ্র স্থাপনা এবং ব্যবস্থাপনা নীতিমালা’র খসড়া অনুমোদন করেছে এ সংক্রান্ত কমিটি। প্রস্তাবিত নীতিমালায় বিগত জাতীয় সংসদ নির্বাচনে (২০২৪ সালের দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন) যেসব ভোটকেন্দ্র ছিল, সেগুলো বহাল রাখার ওপর জোর দেওয়া হয়েছে। ভোটকেন্দ্র স্থাপনে জেলা নির্বাচন কর্মকর্তাদের একক ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে। কেন্দ্র স্থাপনে স্থানীয় রাজনীতিক ও রাজনৈতিক দলের সহায়তা নেওয়ার কথা বলা হয়েছে।

দেশি ও বিদেশি পর্যবেক্ষক এবং সাংবাদিক নীতিমালা : ‘নির্বাচনি সংবাদ সংগ্রহে দায়িত্বপ্রাপ্ত সাংবাদিক/গণমাধ্যমকর্মীদের জন্য নীতিমালা’, বিদেশি পর্যবেক্ষক ও সাংবাদিক নীতিমালা এবং দেশীয় পর্যবেক্ষক সংস্থাগুলোর জন্য ‘নির্বাচন পর্যবেক্ষণ নীতিমালা’র খসড়া সংশোধনী অনুমোদন করেছে ‘সীমানা পুনর্নির্ধারণ, রাজনৈতিক দলের নিবন্ধন, জাতীয় ও স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানের নির্বাচন প্রস্তুতি, ভোটকেন্দ্র স্থাপন, ভোটগ্রহণ কর্মকর্তাদের প্যানেল প্রস্তুত ও তদারকি এবং উপকারভোগী পর্যায়ে আলোচনা বিষয়ক কমিটি।’ সংশ্লিষ্টরা জানান, এই তিন নীতিমালা চূড়ান্ত অনুমোদনের জন্য কমিশনে ফাইল তোলা হলেও তা এখনো অনুমোদন হয়নি।