বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলনের আমির আতাউল্লাহ হাফেজ্জীর ইন্তেকাল

dailyjanakantha
Image description

হযরত হাফেজ্জী হুজুর রহ.-এর ছোট সাহেবজাদা, বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলনের আমির আল্লামা আতাউল্লাহ হাফেজ্জী ইন্তেকাল কারেছেন। ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন।

 

আজ জুমাবার বেলা ১১টা ১০ মিনিটে কামরাঙ্গীরচর নূরিয়া মাদরাসায় ইন্তেকাল করেন‌ তিনি। খেলাফত আন্দোলনের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মুফতি সুলতান মহিউদ্দিন এ সংবাদটি নিশ্চিত করেন।

 

মরহুম এক স্ত্রী, দুই ছেলে ও এক কন্যা রেখে ইন্তেকাল করেন। তিনি দীর্ঘদিন যাবত অসুস্থ হয়ে চিকিৎসাধীন ছিলেন।

জানাজার সময় পরে জানিয়ে দেয়া হবে ইনশাআল্লাহ।

 

মাওলানা আতাউল্লাহ হাফেজ্জী ছিলেন বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলনের আমির। একইসাথে তিনি হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের নায়েবে আমির, জামিয়া নূরিয়া ইসলামিয়ার পরিচালক এবং আম্বরশাহ শাহী জামে মসজিদের প্রধান খতিব হিসেবেও ব্যস্ত জীবন পার করেন।

 

তিনি ২০১৪ সালের ২৯ নভেম্বর বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলনের প্রতিনিধি সম্মেলনে দলের আমির মনোনীত হন এবং ২০১৫ সালের ৬ আগস্ট জামিয়া নূরিয়া ইসলামিয়ার মুহতামিমের দায়িত্ব পান। ২০২০ সালের ২৯ নভেম্বর তিনি পুনরায় দলের আমির নির্বাচিত হন।

 

১৯৯২ সালে বাবরি মসজিদ ভাঙার প্রতিবাদে, ১৯৯৪ সালে নির্বাসিত লেখক তসলিমা নাসরিনের শাস্তির দাবিতে আন্দোলন ও ২০০১ সালের ফতোয়া বিরোধী আন্দোলনে তিনি সরাসরি নেতৃত্ব দেন। ২০০৭ সালে দৈনিক প্রথম আলো কর্তৃক মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে ব্যঙ্গ করে কার্টুন ছাপা’র প্রতিবাদে সর্বপ্রথম তিনি ও তার বড় ভাইয়ের নেতৃত্বে বায়তুল মোকাররম উত্তর গেটে বিক্ষোভ সমাবেশে নেতৃত্ব দেন এবং পরবর্তীকালে এ আন্দোলন সারাদেশে ছড়িয়ে পড়ে। ২০০৭ সালে নারী নীতিমালা বাতিলের দাবীতে আন্দোলন করেছেন। ২০১৩ সালে নাস্তিক-মুরতাদ-ব্লগারদের বিরুদ্ধে খেলাফত আন্দোলনের ব্যানারে তিনিই প্রথম আন্দোলনের ডাক দেন। পরবর্তীকালে এ আন্দোলন ‘হেফাজতে ইসলামে’র নেতৃত্বে দেশের আনাচে-কানাচে ছড়িয়ে পড়লে হেফাজতের ব্যানারেও তিনি নেতৃত্ব দেন।

 


author

Ari budin

#

Programmer, Father, Husband, I design and develop Bootstrap template, founder